আইফতোয়াতে ওয়াসওয়াসা সংক্রান্ত প্রশ্নের উত্তর দেওয়া হবে না। ওয়াসওয়াসায় আক্রান্ত ব্যক্তির চিকিৎসা ও করণীয় সম্পর্কে জানতে এখানে ক্লিক করুন

0 votes
85 views
in বিবিধ মাস’আলা (Miscellaneous Fiqh) by (27 points)
edited by
আসসালামু আলাইকুম
আমি আগে একটি বেসরকারি কোম্পানিতে কর্মরত ছিলাম। আমার কাজগুলো ছিল হারাম হালাল মিশ্রিত বেশিরভাগ হারামই ছিল। আলহামদুলিল্লাহ আমি চাকরিটি ছেড়ে দিয়েছি। কর্মরত অবস্থায় কোম্পানি থেকে আমাকে একটি ইমেইল আইডি দিয়েছিল আমার নামে যেমন (xyz@company name.com)।
এখন আমার আগের বস আমার ইমেইল আইডিটি চাচ্ছে পাসওয়ার্ড সহকারে। ওই ইমেল আইডি দিয়েই বাহিরের কোম্পানির দের সাথে যোগাযোগ করতাম মেইলের মাধ্যমে। কাজগুলো হারাম হালাল মিশ্রিত ছিল যেখানে হারামের পরিমাণে বেশি। এখন আমি আমার মেইল আইডিটি পাসওয়ার্ড সহকারে দিয়ে দিলে অন্য আরেকজন ব্যবহার করবে যিনি আমার জায়গায় আসছে। প্রথম কয়েকদিন আমার নামের ইমেইল আইডি দিয়ে উনি আগের মেইল গুলো পড়ে আইডিয়া নিবে, পরবর্তীতে ইমেইল আইডিটি রিনেম করে আমার নামের জায়গায় তার নাম হবে। এতে করে আমার আগের আদান প্রদান করা মেইলগুলো থেকে যাবে। এখন আমি আমার আগের মেইল গুলো মধ্যে যেগুলো ডিলিট করতে পেরেছি ওইগুলো ডিলিট করে দিয়েছি কিন্তু বেশি ভাগ ডিলিট করতে পারতেছি না কারণ আগের বস ক্ষেপে যাবে এবং এগুলো প্রজেক্টের কাজের সাথে সম্পর্কিত।

আমি অফিসের একজনের সাথে কথা বললাম যে ইমেইল আইডি গুলো কিনেছিল তার সাথে কথা বলে বুঝতে পারলাম আমি যদি ইমেইলে পাসওয়ার্ড নাও দেই উনারা এক্সেস করতে পারবে এবং আমার করা আগের মেইল গুলো থেকে যাবে।  
এক্ষেত্রে এখন আমাকে ইমেইল আইডি এবং পাসওয়ার্ডটি দিয়ে দিতে হবে কারণ ইমেইলটি কোম্পানির সম্পদ। এখন আমার প্রশ্ন হচ্ছে ওই মেইলগুলো ব্যবহার করে/ মাধ্যমে  আরেকজন যদি মেইল আদান-প্রদান করে তাহলে এটা কি আমার গুনাহ হতেই থাকবে?

1 Answer

0 votes
by (574,260 points)
জবাবঃ-
وعليكم السلام ورحمة الله وبركاته 
بسم الله الرحمن الرحيم 

মহান আল্লাহ তায়ালা ইরশাদ করেনঃ 

اِنۡ تَکۡفُرُوۡا فَاِنَّ اللّٰہَ غَنِیٌّ عَنۡکُمۡ ۟ وَ لَا یَرۡضٰی لِعِبَادِہِ الۡکُفۡرَ ۚ وَ اِنۡ تَشۡکُرُوۡا یَرۡضَہُ لَکُمۡ ؕ وَ لَا تَزِرُ وَازِرَۃٌ وِّزۡرَ اُخۡرٰی ؕ ثُمَّ اِلٰی رَبِّکُمۡ مَّرۡجِعُکُمۡ فَیُنَبِّئُکُمۡ بِمَا کُنۡتُمۡ تَعۡمَلُوۡنَ ؕ اِنَّہٗ عَلِیۡمٌۢ بِذَاتِ الصُّدُوۡرِ ﴿۷﴾ 

যদি তোমরা কুফরী কর তবে (জেনে রাখ) আল্লাহ তোমাদের মুখাপেক্ষী নন। আর তিনি তার বান্দাদের জন্য কুফরী পছন্দ করেন না। এবং যদি তোমরা কৃতজ্ঞ হও তবে তিনি তোমাদের জন্য তা-ই পছন্দ করেন। আর কোন বোঝা বহনকারী অপরের বোঝা বহন করবে না। তারপর তোমাদের রবের কাছেই তোমাদের ফিরে যাওয়া। তখন তোমরা যা আমল করতে তা তিনি তোমাদেরকে অবহিত করবেন। নিশ্চয় অন্তরে যা আছে তিনি তা সম্যক অবগত।
(সুরা আয যুমার ০৭)

وَ لَا تَزِرُ وَازِرَۃٌ وِّزۡرَ اُخۡرٰی

কোনো ব্যাক্তি অন্য কোনো ব্যাক্তির গুনাহের বোঝা বহন করবেনা।
(সুরা ফাতির ১৮)

অর্থাৎ কেয়ামতের দিন কোন মানুষ অন্য মানুষের পাপভার বহন করতে পারবে না। প্রত্যেককে নিজের বোঝা নিজেই বহন করতে হবে। “বোঝা” মানে কৃতকর্মের দায়দায়িত্বের বোঝা। এর অর্থ হচ্ছে, আল্লাহর কাছে প্রত্যেক ব্যক্তি নিজেই তার কাজের জন্য দায়ী এবং প্রত্যেকের ওপর কেবলমাত্র তার নিজের কাজের দায়-দায়িত্ব আরোপিত হয়। এক ব্যক্তির কাজের দায়-দায়িত্বের বোঝা আল্লাহর পক্ষ থেকে অন্য ব্যক্তির ঘাড়ে চাপিয়ে দেবার কোন সম্ভাবনা নেই। কোন ব্যক্তি অন্যের দায়-দায়িত্বের বোঝা নিজের ওপর চাপিয়ে নেবে এবং তাকে বাঁচাবার জন্য তার অপরাধে নিজেকে পাকড়াও করাবে  এরও কোন সম্ভাবনা নেই।
,
★সু-প্রিয় প্রশ্নকারী দ্বীনি ভাই,    
প্রশ্নে উল্লেখিত ছুরতে আপনাকে ইমেইল আইডি এবং পাসওয়ার্ডটি দিয়ে দিতে হবে কারণ ইমেইলটি কোম্পানির সম্পদ। 

এক্ষেত্রে পরবর্তীতে সেই ইমেইল ব্যবহার এর দরুন আপনার কোনো গুনাহ হবেনা।


(আল্লাহ-ই ভালো জানেন)

------------------------
মুফতী ওলি উল্লাহ
ইফতা বিভাগ
Islamic Online Madrasah(IOM)

আই ফতোয়া  ওয়েবসাইট বাংলাদেশের অন্যতম একটি নির্ভরযোগ্য ফতোয়া বিষয়ক সাইট। যেটি IOM এর ইফতা বিভাগ দ্বারা পরিচালিত।  যেকোন প্রশ্ন করার আগে আপনার প্রশ্নটি সার্চ বক্সে লিখে সার্চ করে দেখুন। উত্তর না পেলে প্রশ্ন করতে পারেন। আপনি প্রতিমাসে সর্বোচ্চ ৪ টি প্রশ্ন করতে পারবেন। এই প্রশ্ন ও উত্তরগুলো আমাদের ফেসবুকেও শেয়ার করা হবে। তাই প্রশ্ন করার সময় সুন্দর ও সাবলীল ভাষা ব্যবহার করুন।

বি.দ্র: প্রশ্ন করা ও ইলম অর্জনের সবচেয়ে ভালো মাধ্যম হলো সরাসরি মুফতি সাহেবের কাছে গিয়ে প্রশ্ন করা যেখানে প্রশ্নকারীর প্রশ্ন বিস্তারিত জানার ও বোঝার সুযোগ থাকে। যাদের এই ধরণের সুযোগ কম তাদের জন্য এই সাইট। প্রশ্নকারীর প্রশ্নের অস্পষ্টতার কারনে ও কিছু বিষয়ে কোরআন ও হাদীসের একাধিক বর্ণনার কারনে অনেক সময় কিছু উত্তরে ভিন্নতা আসতে পারে। তাই কোনো বড় সিদ্ধান্ত এই সাইটের উপর ভিত্তি করে না নিয়ে বরং সরাসরি স্থানীয় মুফতি সাহেবদের সাথে যোগাযোগ করতে হবে।

Related questions

...