আইফতোয়াতে ওয়াসওয়াসা সংক্রান্ত প্রশ্নের উত্তর দেওয়া হবে না। ওয়াসওয়াসায় আক্রান্ত ব্যক্তির চিকিৎসা ও করণীয় সম্পর্কে জানতে এখানে ক্লিক করুন

0 votes
103 views
in সাওম (Fasting) by (18 points)
আসসালামু আলাইকুম ওয়া রহমাতুল্লাহি ওয়া বারকাতুহ

শায়েখ....

রমাদ্বন মাসে ২য় রোজায় ইফতারির পর দেখি লাল স্রাব আসছে।আমি ভেবেছি হায়েজ হয়েছে।পরে আমি সালাত বন্ধ করে দিই।আমার হায়েজ মাঝে মাঝে অনিয়মিত হয়।প্রায় ২ মাস পর এমন লাল স্রাব দেখেছি।তো ব্লিডিং হচ্ছিল না।আমি ভেবেছি অনেক দিন পর তাই একটু লেট হবে।এভাবে ২ দিন পার হয় কোন ব্লাড আর আসেনি।নরমাল সাদা স্রাব।তখন আমার মনে হয় ইস্তেহাযার কথা।৩ দিন অপেক্ষার পর আমি ফরজ গোসল করে সালাত শুরু করি।

প্রশ্ন: ১/ আমি এই ৩ দিনের ১ম ২ দিন এমনি রোজার মতো ছিলাম। সম্পূর্ণ পানাহার থেকে বিরত ছিলাম।নিয়ত ছিল নফসকে দূর্বল রাখা। যখন আমার ইস্তেহাযার কথা মনে পড়ল তখন ৩য় দিন রোজার নিয়তই করেছিলাম।এই ৩ টা রোজা কি কাজা করতে হবে?

২/ বিতর সালাত ও তো কাজা আদায় করতে হবে।এই সালাত কি ৩ রাকাআতই কাজা আদায় করতে হবে?

৩/ শাওয়ালের রোজার সাথে বীদ্বের রোজা ও সাপ্তাহিক রোজার নিয়ত এক সাথে করা যাবে?

1 Answer

0 votes
by (574,260 points)
জবাবঃ-
وعليكم السلام ورحمة الله وبركاته 
بسم الله الرحمن الرحيم

(০১)
প্রশ্নের বিবরন মতে ২ টি রোযার কাজা আদায় করতে হবে।

(০২)
বিতর সালাত ৩ রাকাতই কাজা আদায় করতে হবে।

(০৩)
https://ifatwa.info/17910/ নং ফতোয়াতে উল্লেখ রয়েছেঃ- 
শরীয়তের বিধান হলো একই দিনে একাধিক নফল রোযার নিয়ত করা যাবে।
এতে সবকটিরই ছওয়াব পাওয়া যাবে,ইনশাআল্লাহ। 
,
তবে নফল রোযার সাথে ফরজ রোযার নিয়ত করা যাবেনা।

ফরজ রোজা কাযা হলে তা পরবর্তীতে আদায় করে নেয়াও ফরজ। কারণ পবিত্র কুরআনে কাযা রোযা রাখতে নির্দেশ দেয়া হয়েছে। 

মহান আল্লাহ তায়ালা ইরশাদ করেনঃ 

شَہۡرُ رَمَضَانَ الَّذِیۡۤ اُنۡزِلَ فِیۡہِ الۡقُرۡاٰنُ ہُدًی لِّلنَّاسِ وَ بَیِّنٰتٍ مِّنَ الۡہُدٰی وَ الۡفُرۡقَانِ ۚ فَمَنۡ شَہِدَ مِنۡکُمُ الشَّہۡرَ فَلۡیَصُمۡہُ ؕ وَ مَنۡ کَانَ مَرِیۡضًا اَوۡ عَلٰی سَفَرٍ فَعِدَّۃٌ مِّنۡ اَیَّامٍ اُخَرَ ؕ یُرِیۡدُ اللّٰہُ بِکُمُ الۡیُسۡرَ وَ لَا یُرِیۡدُ بِکُمُ الۡعُسۡرَ ۫ وَ لِتُکۡمِلُوا الۡعِدَّۃَ وَ لِتُکَبِّرُوا اللّٰہَ عَلٰی مَا ہَدٰىکُمۡ وَ لَعَلَّکُمۡ تَشۡکُرُوۡنَ ﴿۱۸۵﴾

রমাদান মাস, এতে কুরআন নাযিল করা হয়েছে মানুষের হেদায়াতের জন্য এবং হিদায়তের স্পষ্ট নিদর্শন ও সত্যাসত্যের পার্থক্যকারীরূপে। কাজেই তোমাদের মধ্যে যে এ মাস পাবে সে যেন এ মাসে সিয়াম পালন করে। তবে তোমাদের কেউ অসুস্থ থাকলে বা সফরে থাকলে অন্য দিনগুলোতে এ সংখ্যা পূরণ করবে। আল্লাহ তোমাদের জন্য সহজ চান এবং তোমাদের জন্য কষ্ট চান না। আর যাতে তোমরা সংখ্যা পূর্ণ কর এবং তিনি তোমাদেরকে যে হিদায়াত দিয়েছেন সে জন্য তোমরা আল্লাহর মহিমা ঘোষণা কর এবং যাতে তোমরা কৃতজ্ঞতা প্রকাশ কর।

আরো জানুনঃ

আল আশবাহ ওয়ান নাজায়ের গ্রন্থে আছেঃ 

قال في الأشباہ: وأما إذا نوی نافلتین کما إذا نوی برکعتي الفجر التحیة والسنة أجزأت عنہما (فی حاشیتہ: أجزأت عنہما لأن التحیة والسنة قربتان: أحدہما: وہي التحیة تحصل بلا قصدٍ فلا یمنع حصولہا قصد غیرہا وکذا لو نوی الفجر والتحیة کما في فتح القدیر قیل ولو تعرض المصنف لنفل مختلف السبب لکان أولی کمن أخر التراویح إلی آخر اللیل ونوی التراویح، وقیام آخر اللیل؛ لأن سبب التراویح غیر سبب قیام اللیل․ (الأشباہ: ۱/۱۴۷)
সারমর্মঃ
কেহ যদি দুটি নফলের নিয়ত করে,যেমন কেহ যদি ফজরের দুই রাকাত সুন্নাতের ক্ষেত্রে তাহিয়্যাতুল অযুর নামাজেরও নিয়ত করে,তাহলে উভয়টিই আদায় হয়ে যাবে।,,,    


حاشیۃ الطحطاوي ے:
"ثم إنه إن جمع بين عبادات الوسائل في النية صح، كما لو اغتسل لجنابة وعيد وجمعة اجتمعت ونال ثواب الكل، وكما لو توضأ لنوم وبعد غيبة وأكل لحم جزور، وكذا يصح لو نوى نافلتين أو أكثر، كما لو نوى تحية مسجد وسنة وضوء وضحى وكسوف، والمعتمد أن العبادات ذات الأفعال يكتفي بالنية في أولها ولا يحتاج إليها في كل جزء اكتفاء بانسحابها عليها، ويشترط لها الإسلام والتمييز والعلم بالمنوى، وأن لا يأتي بمناف بين النية والمنوي".
(باب شروط الصلاة وأركانها: 1/216، ط: دار الكتب العلمية)
সারমর্মঃ
যদি কেহ কিছু ইবাদতে ওসাইল এর ক্ষেত্রে নিয়ত জমা করে,যেমন কেহ যদি ফরজ গোসল করা অবস্থায় জুম'আ,এবং সেদিন ঈদের দিন হওয়ায় ঈদের গোসলেরও নিয়ত করে,তাহলে সে সবকটিরই ছওয়াব পাবে।
,
★শাওয়ালের রোজা, সাপ্তাহিক রোজা ও আইয়্যামে বীজের রোজা- এই তিন রোজা যদি অভিন্ন দিনে হয়, তাহলে একসাথে তিন রকমের রোজারই নিয়্যাত করা যাবে এবং এতে তিন রকমের রোজারই সাওয়াব অর্জিত হবে।কোনো সমস্যা নেই।

★সু-প্রিয় প্রশ্নকারী দ্বীনি ভাই/বোন,
সুতরাং প্রশ্নে উল্লেখিত ছুরতে শাওয়ালের রোজার সাথে আইয়ামে বীদ্বের রোজা ও সাপ্তাহিক রোজার নিয়ত এক সাথে করা যাবে।


(আল্লাহ-ই ভালো জানেন)

------------------------
মুফতী ওলি উল্লাহ
ইফতা বিভাগ
Islamic Online Madrasah(IOM)

আই ফতোয়া  ওয়েবসাইট বাংলাদেশের অন্যতম একটি নির্ভরযোগ্য ফতোয়া বিষয়ক সাইট। যেটি IOM এর ইফতা বিভাগ দ্বারা পরিচালিত।  যেকোন প্রশ্ন করার আগে আপনার প্রশ্নটি সার্চ বক্সে লিখে সার্চ করে দেখুন। উত্তর না পেলে প্রশ্ন করতে পারেন। আপনি প্রতিমাসে সর্বোচ্চ ৪ টি প্রশ্ন করতে পারবেন। এই প্রশ্ন ও উত্তরগুলো আমাদের ফেসবুকেও শেয়ার করা হবে। তাই প্রশ্ন করার সময় সুন্দর ও সাবলীল ভাষা ব্যবহার করুন।

বি.দ্র: প্রশ্ন করা ও ইলম অর্জনের সবচেয়ে ভালো মাধ্যম হলো সরাসরি মুফতি সাহেবের কাছে গিয়ে প্রশ্ন করা যেখানে প্রশ্নকারীর প্রশ্ন বিস্তারিত জানার ও বোঝার সুযোগ থাকে। যাদের এই ধরণের সুযোগ কম তাদের জন্য এই সাইট। প্রশ্নকারীর প্রশ্নের অস্পষ্টতার কারনে ও কিছু বিষয়ে কোরআন ও হাদীসের একাধিক বর্ণনার কারনে অনেক সময় কিছু উত্তরে ভিন্নতা আসতে পারে। তাই কোনো বড় সিদ্ধান্ত এই সাইটের উপর ভিত্তি করে না নিয়ে বরং সরাসরি স্থানীয় মুফতি সাহেবদের সাথে যোগাযোগ করতে হবে।

Related questions

+1 vote
1 answer 330 views
...