আইফতোয়াতে ওয়াসওয়াসা সংক্রান্ত প্রশ্নের উত্তর দেওয়া হবে না। ওয়াসওয়াসায় আক্রান্ত ব্যক্তির চিকিৎসা ও করণীয় সম্পর্কে জানতে এখানে ক্লিক করুন

0 votes
735 views
in বিবিধ মাস’আলা (Miscellaneous Fiqh) by (62 points)
১. থার্ড জেন্ডারদের কি বিয়ে করা, সংসার করা হারাম? তাদের ক্ষেত্রে জীবনগঠনের বিধান কি?

২. ইসলামে ঠিক কাদের জন্য বিয়ে করা, সংসার করা হারাম? এরকম কিছু কি আছে ইসলামে?

1 Answer

0 votes
by (597,330 points)
বিসমিল্লাহির রাহমানির রাহিম।
জবাবঃ-
(১)
বিয়েঃ-
খুনছা মুশকিলের বিয়ে সহীহ হবে না।তবে গায়রে মুশকিলের বিবাহ বিপরীতলিঙ্গ কারো সাথে বৈধ হবে।যেমনঃ-
نكاحه:
وإن زوجه أبوه أو مولاه امرأة أو رجلا لا يحكم بصحته حتى يتبين حاله أنه رجل أو امرأة فإذا ظهر أنه خلاف ما زوج به تبين أن العقد كان صحيحا، وإلا فباطل لعدم مصادفة المحل
যদি "খুনছা মুশকিল"কে তার পিতা বা মালিক কোনো পুরুষ বা মহিলার সাথে বিয়ে দিয়ে দেয় তাহলে যতক্ষণ পর্যন্ত তার পুরুষ বা মহিলা হওয়ার পৃথক নির্ভরযোগ্য কোনো প্রমান পাওয়া যাবে না ততক্ষণ পর্যন্ত বিবাহ বৈধ হবে না।সুতরাংযখন প্রমানিত হবে যে,তার বিবাহ বিপরীতলিঙ্গ কারো সাথে হয়েছে তখন উক্ত বিবাহ বৈধ হবে।নতুবা বিয়ের মহল না হওয়ার ধরুণ বিবাহ বাতিল হয়ে যাবে।(তাবয়ীনুল হাক্বাঈক-৬/২১৮)

١٦ - ذهب الحنفية إلى أن الخنثى إن زوجه أبوه رجلا فوصل إليه جاز، وكذلك إن زوجه امرأة فوصل إليها، وإلا أجل كالعنين 
الأشباه والنظائر لابن نجيم / ٣٨٢، ٣٨٣، ط دار الفكر.
হানাফী উলামায়ে কেরামদের মতে
যদি ''খুনছা মুশকিল"কে তার পিতা কোনো পুরুষের কাছে বিয়ে দিয়ে দেয়, এবং উক্ত পুরুষ তার সাথে সঙ্গম করতে সক্ষম হয়ে যায় তাহলে বিবাহ বৈধ রয়েছে। 
ঠিকতেমনিভাবে যদি "খুনছা মুশকিলকে"তার পিতা বিয়ে করিয়ে কোনো মহিলাকে ঘরে নিয়ে আসে,এবং উক্ত খুনছা মুশকিল নির্দিষ্ট পদ্ধতিতে উক্ত মহিলার সাথে সঙ্গম করতে সক্ষম হয়ে যায়, তাহলে ও উক্ত বিবাহ বৈধ রয়েছে।নতুবা তার হুকুম ধ্বজভঙ্গের হুকুমের মত হবে।(আল-আশবাহ-ইবনে নুজাইম-৩৮২)


(২)গায়রে মুশকিলঃ
আবার কয়েক ধরণের হতে পারে যথাঃ-
(ক)
যার শুধুমাত্র পুঃ লিঙ্গ আছে, কিন্তু আবার তার স্তনও কিছুটা উন্নত রয়েছে,এবং তার সাধারণ চলাফেরা প্রায় মহিলাদের মত।
(খ)
যার শুধুমাত্র স্ত্রীঃলিঙ্গ আছে,কিন্তু তার স্তন মোটেই নেই,আবার চলাফেরা, মনমানসিকতা প্রায় পুরুষদের মত।
বিয়ের ক্ষেত্রে "ক"কে পুরুষ এবং "খ"কে নারী সাব্যস্ত করে তাদের মধ্যকার বিবাহ বৈধ হবে।এবং মিরাছের ক্ষেত্রেও উপরোক্ত হুকুম প্রযোজ্য হবে।
(গ)
যার পুঃলিঙ্গ বা স্ত্রীঃলিঙ্গ উভয়টি আছে কিন্তু উপরোল্লিখিত আলামত সমুহের মাধ্যমে তাকে পুরুষ বা স্ত্রী হিসাবে নির্ণয় করা যায়।


এসমস্ত ব্যক্তিবর্গকে পুরুষ বা মহিলা হিসাবে চিন্থিত করা যাবে।এবং ইসলামী শরীয়ত ও তাদেরকে মিরাছ ও বিয়ের ক্ষেত্রে পুরুষ বা মহিলা হিসাবে চিন্থিত করে তাদের উপর সাধারণ পুরুষ বা মহিলা হুকুম আরোপ করে থাকে।অর্থাৎ এক হিজড়া বিপরীতধর্মী অন্য হিজড়ার সাথে বা সাধারণ কোনো মানুষের সাথে বিবাহ বন্ধনে আবদ্ধ হতে পারবে।তবে এক্ষেত্রে শরীয়ত সমর্থিত সহবাসের বৈধ পদ্ধতিকে অনুসরণ করতে হবে।

এ সম্পর্কে তাবয়ীনুল হাক্বাঈক নামক গ্রন্থে বর্ণিত আছে,
[تزوج الخنثى من خنثى]
وكذا إذا زوج الخنثى من خنثى آخر لا يحكم بصحة النكاح حتى يظهر أن أحدهما ذكر، والآخر أنثى، وإن ظهر أنهما ذكران أو أنثيان بطل النكاح،
যদি কোনো খুনছা(হিজড়া)অপর কোনো খুনছা(হিজড়া)কে বিয়ে করে, তাহলে যতক্ষণ পর্যন্ত নিশ্চিত হওয়া যাবে না যে,বিপরীতলিঙ্গ দুজনের বিয়ে হয়েছে ততক্ষণ বিবাহ শুদ্ধ হওয়ার হুকুম আরোপ করা যাবে না।কিন্তু যদি প্রকাশ হয় যে,দুজনই পুরুষ বা দুজনই মহিলা তাহলে বিবাহ বাতিল বলে পরিগণিত হবে।(তাবয়ীনুল হাক্বাঈক-৬/২১৮)


(২)
যাদের যৌনক্ষমতা অক্ষম এবং যাদের ভরণপোষণ  ও মহর দেওয়ার ক্ষমতা নেই,তাদের জন্য বিয়ে করা হারাম।


(আল্লাহ-ই ভালো জানেন)

--------------------------------
মুফতী ইমদাদুল হক
ইফতা বিভাগ
Islamic Online Madrasah(IOM)

আই ফতোয়া  ওয়েবসাইট বাংলাদেশের অন্যতম একটি নির্ভরযোগ্য ফতোয়া বিষয়ক সাইট। যেটি IOM এর ইফতা বিভাগ দ্বারা পরিচালিত।  যেকোন প্রশ্ন করার আগে আপনার প্রশ্নটি সার্চ বক্সে লিখে সার্চ করে দেখুন। উত্তর না পেলে প্রশ্ন করতে পারেন। আপনি প্রতিমাসে সর্বোচ্চ ৪ টি প্রশ্ন করতে পারবেন। এই প্রশ্ন ও উত্তরগুলো আমাদের ফেসবুকেও শেয়ার করা হবে। তাই প্রশ্ন করার সময় সুন্দর ও সাবলীল ভাষা ব্যবহার করুন।

বি.দ্র: প্রশ্ন করা ও ইলম অর্জনের সবচেয়ে ভালো মাধ্যম হলো সরাসরি মুফতি সাহেবের কাছে গিয়ে প্রশ্ন করা যেখানে প্রশ্নকারীর প্রশ্ন বিস্তারিত জানার ও বোঝার সুযোগ থাকে। যাদের এই ধরণের সুযোগ কম তাদের জন্য এই সাইট। প্রশ্নকারীর প্রশ্নের অস্পষ্টতার কারনে ও কিছু বিষয়ে কোরআন ও হাদীসের একাধিক বর্ণনার কারনে অনেক সময় কিছু উত্তরে ভিন্নতা আসতে পারে। তাই কোনো বড় সিদ্ধান্ত এই সাইটের উপর ভিত্তি করে না নিয়ে বরং সরাসরি স্থানীয় মুফতি সাহেবদের সাথে যোগাযোগ করতে হবে।

Related questions

...