আইফতোয়াতে ওয়াসওয়াসা সংক্রান্ত প্রশ্নের উত্তর দেওয়া হবে না। ওয়াসওয়াসায় আক্রান্ত ব্যক্তির চিকিৎসা ও করণীয় সম্পর্কে জানতে এখানে ক্লিক করুন

0 votes
124 views
in ব্যবসা ও চাকুরী (Business & Job) by (14 points)
edited by
আসসালামু আলাইকুম হুজুর,
আমার হাসবেন্ড দেশের বাহিরে থাকে... সে কন্সট্রাকশন এর কাজ করায়। অর্থাৎ বিভিন্ন ডুপ্লেক্স বিল্ডিং এর প্রজেক্ট।  উনার বেতনধারী অনেক লোক আছে আবার অনেক কাজ কন্ট্রাকেও করায়। আমি জানতে চাচ্ছি যে,
১) আমার এক আত্বীয়, উনি খুব অসহায় অবস্থায় আছে। উনার কিছু টাকা আমার হাসবেন্ড এর ব্যবসায় দিতে চাইছে। আমার হাসবেন্ড এর কাজ এখানে মিটার হিসাবে। আমার হাসবেন্ড যেই কাজ গুলো চুক্তিতে দিয়ে দেয় সেই খাতে আমার আত্বীয়ের টাকা টা লাগাবে।যেমন,,বিল্ডিংয়ের টাইলস এর কাজ।  তাই কত টাকা মিটারে লাভ  থাকে তা আমার হাসবেন্ড এর মুখস্থ।  আমার হাসবেন্ড বলতেছে,  প্রতি মিটারের লাভএর ৩ ভাগের ১ ভাগ আত্বীয়কে দিয়ে দিবে। যেমন ৯ টাকা থাকে ৩ টাকা দিয়ে দিবে।আরও কমে কাজটা করাতে পারলে আরও লাভ থাকবে তবে বর্তমানে কত টাকায় কাজগুলো করাতে পারে আর কত টাকা থাকে তা আমার হাসব্যান্ড এর মুখস্ত। উনি বলছে লাভের  মিটারে ৩ ভাগের ১ ভাগ লাভ দিয়ে দিবে।এভাবে ৩ ভাগের ১ ভাগ লভ্যাংশ দিবে চুক্তি করা যাবে?? নাকি পার্সেন্টেজ হিসেবে চুক্তি করতে হবে??

  ২) যে পরিমাণ টাকা আমার আত্বীয়  দিবে তা দিয়ে ২ টা বিল্ডিং এর টাইলস এর কাজ কন্ট্রাক দিতে পারবে। ২ টা বিল্ডিং এর টাইলস এর কাজ ১ মাসেও শেষ হতে পারে আবার ২ মাসও লাগতে পারে।। এতে করে ১ টা বিল্ডিং এর টাকার লভ্যাংশ এই মাসে পেলে পরের মাসে অন্য বিল্ডিংয়ের লভ্যাংশ দিবে। আমার হাসবেন্ডও এভাবেই কম্পানি থেকে বিল পাই। যেটা ফুল কমপ্লিট হয় সেটার টাকা পায়। অন্যটার জন্য পরের মাস অপেক্ষা করতে হয়।
এভাবে আবার এই টাকা তুলে আবার ২ টা বিল্ডিং কন্ট্রাক দিবে আমার আত্বীয় এর নামে । ২ টা বিল্ডিং এর টাইলস এর কাজ যতদিন লাগবে শেষ হতে ততদিন পর লভ্যাংশ পাবে।১ মাসও লাগতে পারে বা ২ মাসও লাগতে পারে। মাসিক হিসাবে লভ্যাংশ  হওয়া কি জরুরি? এভাবে করে লভ্যাংশ দিলে কি কোন সমস্যা হবে?
এভাবে আমার আত্বীয়ের সাথে ব্যবসার  চুক্তি কি ঠিক আছে??

1 Answer

0 votes
by (566,280 points)
জবাবঃ-
وعليكم السلام ورحمة الله وبركاته 
بسم الله الرحمن الرحيم

ব্যবসার ক্ষেত্রে এক পক্ষের মাল,অপর পক্ষের শ্রম দেওয়াকে মুদারাবা বলা হয়।
এটি জায়েজ আছে। 
,
মুদারাবার ক্ষেত্রে শরীয়তের উসুল হলো যাহা লাভ হবে,তাহা শতকরা হারে উভয়ের মাঝে বন্টন করার চুক্তি করতে হবে।
কোনো নির্দিষ্ট টাকার চুক্তি করা যাবেনা,লোকসান হলে আগে লাভের টাকা থেকে সেটা পূরন করা হবে,অতঃপর মূলধন থেকে পূরন করা হবে।
,
হাদীস শরীফে এসেছেঃ     
بَاب الشَّرِكَةِ وَالْمُضَارَبَةِ
حَدَّثَنَا أَبُو السَّائِبِ، سَلْمُ بْنُ جُنَادَةَ حَدَّثَنَا أَبُو دَاوُدَ الْحَفَرِيُّ، عَنْ سُفْيَانَ، عَنْ أَبِي إِسْحَاقَ، عَنْ أَبِي عُبَيْدَةَ، عَنْ عَبْدِ اللَّهِ، قَالَ اشْتَرَكْتُ أَنَا وَسَعْدٌ، وَعَمَّارٌ، يَوْمَ بَدْرٍ فِيمَا نُصِيبُ فَلَمْ أَجِئْ أَنَا وَلاَ عَمَّارٌ بِشَىْءٍ وَجَاءَ سَعْدٌ بِرَجُلَيْنِ .
শারীকাত (অংশিদারী) ও মুদারাবা ব্যবসা
আবদুল্লাহ (রাঃ) থেকে বর্ণিত। তিনি বলেন, বদর যুদ্ধের দিন সাদ (রাঃ) , আম্মার (রাঃ) ও আমি গানীমাতের মালের ব্যাপারে অংশীদার হই (এই মর্মে যে, আমরা যা পাবো তা তিনজনে ভাগ করে নিবো)। আম্মার ও আমি কিছুই আনতে পারিনি। অবশ্য সাদ (রাঃ) দু’জন যুদ্ধবন্দী নিয়ে আসেন।
নাসায়ী ৪৬৯৭, আবূ দাউদ ৩৩৮৮, বায়হাকী ফিস সুনান ৪/১৯৪, ইরওয়া ১৪৭৪। 

 مَالِك وَجْهُ الْقِرَاضِ الْمَعْرُوفِ الْجَائِزِ أَنْ يَأْخُذَ الرَّجُلُ الْمَالَ مِنْ صَاحِبِهِ عَلَى أَنْ يَعْمَلَ فِيهِ وَلَا ضَمَانَ عَلَيْهِ وَنَفَقَةُ الْعَامِلِ فِي الْمَالِ فِي سَفَرِهِ مِنْ طَعَامِهِ وَكِسْوَتِهِ وَمَا يُصْلِحُهُ بِالْمَعْرُوفِ بِقَدْرِ الْمَالِ إِذَا شَخَصَ فِي الْمَالِ إِذَا كَانَ الْمَالُ يَحْمِلُ ذَلِكَ فَإِنْ كَانَ مُقِيمًا فِي أَهْلِهِ فَلَا نَفَقَةَ لَهُ مِنْ الْمَالِ وَلَا كِسْوَةَ قَالَ مَالِك وَلَا بَأْسَ بِأَنْ يُعِينَ الْمُتَقَارِضَانِ كُلُّ وَاحِدٍ مِنْهُمَا صَاحِبَهُ عَلَى وَجْهِ الْمَعْرُوفِ إِذَا صَحَّ ذَلِكَ مِنْهُمَا قَالَ مَالِك وَلَا بَأْسَ بِأَنْ يَشْتَرِيَ رَبُّ الْمَالِ مِمَّنْ قَارَضَهُ بَعْضَ مَا يَشْتَرِي مِنْ السِّلَعِ إِذَا كَانَ ذَلِكَ صَحِيحًا عَلَى غَيْرِ شَرْطٍ قَالَ مَالِك فِيمَنْ دَفَعَ إِلَى رَجُلٍ وَإِلَى غُلَامٍ لَهُ مَالًا قِرَاضًا يَعْمَلَانِ فِيهِ جَمِيعًا إِنَّ ذَلِكَ جَائِزٌ لَا بَأْسَ بِهِ لِأَنَّ الرِّبْحَ مَالٌ لِغُلَامِهِ لَا يَكُونُ الرِّبْحُ لِلسَّيِّدِ حَتَّى يَنْتَزِعَهُ مِنْهُ وَهُوَ بِمَنْزِلَةِ غَيْرِهِ مِنْ كَسْبِهِ 
মালিক (রহঃ) বলেনঃ মুযারাবাত বা শরীকী কারবার এইভাবে বৈধ যে, কেহ কাহারও নিকট হইতে এই শর্তে টাকা নেয় যে, সে শ্রম ও মেহনত করিবে। ক্ষতি হইলে সে দায়ী থাকিবে না। সফরে খাওয়া-দাওয়া এবং বহন খরচ ও অন্যান্য বৈধ খরচ ঐ মাল হইতে নিয়ম মাফিক ব্যয় করা হইবে মূলধন অনুযায়ী। অবশ্য অর্থ গ্রহণকারী আবাসে থাকিলে মূলধন হইতে ব্যয় করিতে পারবে না।

মালিক (রহঃ) বলেনঃ যদি অর্থ গ্রহণকারী অর্থদাতাকে, অর্থদাতা অর্থ গ্রহণকারীকে তাহার শ্রমের পরিমাণ মতো কোন শর্ত ব্যতীত সাহায্য করে তবে তাহাতে কোন ক্ষতি নাই। যদি অর্থদাতা অর্থ গ্রহণকারী হইতে শর্ত ব্যতীত কোন বস্তু খরিদ করে তবে ইহাতেও কোন ক্ষতি নাই।

মালিক (রহঃ) বলেনঃ যদি এক ব্যক্তি অপর এক ব্যক্তিকে এবং স্বীয় দাসকে শরীকী কারবারের জন্য অর্থ দেয় এবং এই শর্ত করে যে, উভয়ই ইহাতে কাজ করিবে, তবে তাহা জায়েয আছে। কারণ নির্ধারিত লভ্যাংশের মালিক ক্রীতদাস হইবে, তাহার প্রভু উহা ছিনাইয়া লইতে পরিবে না, এই মালের স্বত্বাধিকারী ক্রীতদাসই থাকিবে।
(মুয়াত্তা মালিক ১৩৮৯)

বিস্তারিত জানুনঃ  

★সু-প্রিয় প্রশ্নকারী দ্বীনি বোন,
প্রশ্নের বিবরন মতে এটি সাধারণ ব্যবসার মতো ব্যবসা নয়।
এখানে ব্যবসার পন্য কই?
এখানে ক্রেতা বিক্রেতা কোথায়?
এখানে ঐ আত্মীয়ের টাকা দিয়ে কি ক্রয় করা হলো?

মূলত আপনার হাসবেন্ড দেশের বাহিরে কন্সট্রাকশন এর কাজ করায়।

সুতরাং এমতাবস্থায় প্রশ্নে উল্লেখিত পদ্ধতিতে লভ্যাংশ গ্রহন আপনার আত্মীয়ের জন্য সহীহ হবেনা।


(আল্লাহ-ই ভালো জানেন)

------------------------
মুফতী ওলি উল্লাহ
ইফতা বিভাগ
Islamic Online Madrasah(IOM)

আই ফতোয়া  ওয়েবসাইট বাংলাদেশের অন্যতম একটি নির্ভরযোগ্য ফতোয়া বিষয়ক সাইট। যেটি IOM এর ইফতা বিভাগ দ্বারা পরিচালিত।  যেকোন প্রশ্ন করার আগে আপনার প্রশ্নটি সার্চ বক্সে লিখে সার্চ করে দেখুন। উত্তর না পেলে প্রশ্ন করতে পারেন। আপনি প্রতিমাসে সর্বোচ্চ ৪ টি প্রশ্ন করতে পারবেন। এই প্রশ্ন ও উত্তরগুলো আমাদের ফেসবুকেও শেয়ার করা হবে। তাই প্রশ্ন করার সময় সুন্দর ও সাবলীল ভাষা ব্যবহার করুন।

বি.দ্র: প্রশ্ন করা ও ইলম অর্জনের সবচেয়ে ভালো মাধ্যম হলো সরাসরি মুফতি সাহেবের কাছে গিয়ে প্রশ্ন করা যেখানে প্রশ্নকারীর প্রশ্ন বিস্তারিত জানার ও বোঝার সুযোগ থাকে। যাদের এই ধরণের সুযোগ কম তাদের জন্য এই সাইট। প্রশ্নকারীর প্রশ্নের অস্পষ্টতার কারনে ও কিছু বিষয়ে কোরআন ও হাদীসের একাধিক বর্ণনার কারনে অনেক সময় কিছু উত্তরে ভিন্নতা আসতে পারে। তাই কোনো বড় সিদ্ধান্ত এই সাইটের উপর ভিত্তি করে না নিয়ে বরং সরাসরি স্থানীয় মুফতি সাহেবদের সাথে যোগাযোগ করতে হবে।

Related questions

...