জবাব
بسم الله الرحمن الرحيم
(১.২)
আদম আঃ জীবদ্দশায় আল্লাহকে সরাসরি চোখে দেখেননি।
ইবলিশ আল্লাহকে সরাসরি দেখেননি।
আরো জানুনঃ
(০৩)
সুরা আল ইমরানের ২৬ নং আয়াতে আল্লাহ তায়ালা ইরশাদ করেনঃ
قُلِ اللّٰہُمَّ مٰلِکَ الۡمُلۡکِ تُؤۡتِی الۡمُلۡکَ مَنۡ تَشَآءُ وَ تَنۡزِعُ الۡمُلۡکَ مِمَّنۡ تَشَآءُ ۫ وَ تُعِزُّ مَنۡ تَشَآءُ وَ تُذِلُّ مَنۡ تَشَآءُ ؕ بِیَدِکَ الۡخَیۡرُ ؕ اِنَّکَ عَلٰی کُلِّ شَیۡءٍ قَدِیۡرٌ ﴿۲۶﴾
বল, ‘হে আল্লাহ, রাজত্বের মালিক, আপনি যাকে চান রাজত্ব দান করেন, আর যার থেকে চান রাজত্ব কেড়ে নেন এবং আপনি যাকে চান সম্মান দান করেন। আর যাকে চান অপমানিত করেন, আপনার হাতেই কল্যাণ। নিশ্চয় আপনি সব কিছুর উপর ক্ষমতাবান’।
আয়াতে আল্লাহকে উদ্দেশ্য করে বলা হয়েছেঃ “আপনার হাতেই রয়েছে যাবতীয় কল্যাণ”। আয়াতের প্রথমাংশে রাজত্ব দান করা ও ছিনিয়ে নেয়া এবং সম্মান ও অপমান উভয়দিক উল্লেখ করা হয়েছিল। এতে রয়েছে কল্যাণ ও অকল্যাণ। কিন্তু আয়াতে শুধু আল্লাহর হাতেই রয়েছে যাবতীয় কল্যাণ একথা বলা হয়েছে। অকল্যাণ আল্লাহর পক্ষ থেকে হয় এধরণের শব্দ ব্যবহার করা হয়নি। তার কারণ হল, সহীহ আকীদা অনুসারে আল্লাহর প্রতি অকল্যাণের সম্পর্ক দেখানো জায়েয নেই। রাসূল সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম এক হাদীসে বলেছেনঃ অকল্যাণ আপনার পক্ষ থেকে নয়। [মুসলিমঃ ৭৭১] কেননা, আল্লাহ্ তা'আলা বান্দার জন্য অকল্যাণ চান না। মানুষের যাবতীয় অকল্যাণ মানুষের হাতের কামাই করা।
,
আল্লাহ ছাড়া আনুগত্য পাওয়ার মতো আর কেউ নেই, তিনি বাদশাহ, অতি পবিত্র, শান্তির আধার, নিরাপত্তাদাতা, রক্ষক, সবার ওপর বিজয়ী, নিজ হুকুম প্রয়োগে পূর্ণ ক্ষমতাবান এবং প্রবল পরাক্রমশালী। সবকিছুর ওপর ক্ষমতাশালী এবং ক্ষমতার নিরঙ্কুশ মালিক।
,
বর্ণিত আয়াতে জগতের বৈপ্লবিক ঘটনা সম্পর্কে অজ্ঞ এবং অতীতকালের শক্তিশালী জাতিগুলোর উত্থান-পতনের ইতিহাস সম্পর্কে উদাসীনদের হুঁশিয়ার করা হয়েছে। স্পষ্টভাবে বলে দেয়া হয়েছে, এ জগতের সব শক্তি ও রাষ্ট্রক্ষমতা একমাত্র আল্লাহতায়ালার করায়ত্ত। সম্মান ও অপমান তারই নিয়ন্ত্রণাধীন। তিনি দরিদ্র ও পথের ভিখারীকে রাজ সিংহাসন ও মুকুটের অধিকারী করতে পারেন এবং প্রবল প্রতাপান্বিত সম্রাটের হাত থেকে রাষ্ট্র ও ঐশ্বর্য ছিনিয়ে নিতে পারেন। এ আয়াতের শেষাংশেই বলা হয়েছে, আল্লাহর হাতেই যাবতীয় কল্যাণ। আয়াতের প্রথমাংশে রাজত্ব দান করা ও ছিনিয়ে নেয়া এবং সম্মান ও অপমান উভয়দিক উল্লেখ করা হয়েছিল।
এ কারণে এখানে খায়ের বা কল্যাণ শব্দ ব্যবহার করে একটি গুরুত্বপূর্ণ বিষয়ের প্রতি ইঙ্গিত করা হয়েছে, যে বিষয়কে কোনো ব্যক্তি বা জাতি অকল্যাণকর বা বিপজ্জনক মনে করে, তা সংশ্লিষ্ট ব্যক্তি অথবা জাতির জন্য আপাতদৃষ্টিতে অকল্যাণকর ও বিপজ্জনক মনে হলেও পরিণামের সামগ্রিক দিক দিয়ে তা অকল্যাণকর নাও হতে পারে। মোট কথা, আমরা যেসব বিষয়কে মন্দ বলি, সেগুলো পুরোপুরি মন্দ নয় আংশিক মন্দ মাত্র। আল্লাহপাক রাব্বুল আলামিনের দিকে সম্বন্ধ এবং সামগ্রিক উপযোগিতার দিক দিয়ে কোনো বস্তুই মন্দ নয়। আর এই বিশ্বাসই মুমিনের পথ চলার অবলম্বন ও ঈমানের দাবি।
,
★★প্রিয় প্রশ্নকারী দ্বীনি ভাই বোন,
পরিবার মানুষের শক্তির উৎস দুর্বলতা নয়,এখানে সাধারণত মানুষ বুঝায় যে পরিবারের সাথে চললে শক্তি পাওয়া যায়,ভালো ভাবে থাকা যায়,তাতে বরকত হয়।
এই অর্থে উক্ত বাক্য বলাতে কোনো সমস্যা নেই।
,
কারন হাদীস শরীফে এসেছেঃ
حَدَّثَنَا يَحْيَى بْنُ مُوسَى، حَدَّثَنَا عَبْدُ الرَّزَّاقِ، أَخْبَرَنَا إِبْرَاهِيمُ بْنُ مَيْمُونٍ، عَنِ ابْنِ طَاوُسٍ، عَنْ أَبِيهِ، عَنِ ابْنِ عَبَّاسٍ، قَالَ قَالَ رَسُولُ اللَّهِ صلى الله عليه وسلم " يَدُ اللَّهِ مَعَ الْجَمَاعَةِ " . هَذَا حَدِيثٌ حَسَنٌ غَرِيبٌ لاَ نَعْرِفُهُ مِنْ حَدِيثِ ابْنِ عَبَّاسٍ إِلاَّ مِنْ هَذَا الْوَجْهِ .
.
ইয়াহইয়া ইবন মূসা (রহঃ) ..... ইবন আব্বাস রাদিয়াল্লাহু আনহু থেকে বর্ণিত, তিনি বলেন, রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বলেছেন, আল্লাহর হাত হল জামাআতের উপর। সহীহ, তাখরিজু ইসলাহিল মাসাজিদ ৬১, যিলালুল জান্নাত ১-৮, মিশকাত ১৭৩, বিদায়াতুস সূল ৭০/১৩৩, তিরমিজী হাদিস নম্বরঃ ২১৬৬ [আল মাদানী প্রকাশনী]
.
তবে উল্লেখত অর্থ যদি না ধরা হয়,কেহ যদি এই অর্থ মানে যে তাদের সাথে থাকলেই শক্তি হবে,অন্যথায় শক্তিই হবেনা,পরিবারই সমস্ত শক্তির উৎস বলা জায়েজ নেই।
এটি কুফরি বাক্য।
,
(০৪) নামাজকে কেহ কেহ দোয়া বলে,কারন যেহেতু নামাজের মাধ্যমে মানুষ আল্লাহর কাছ থেকে বরকত,নাজাত,মাগফিরাত ইত্যাদি চায়।