আইফতোয়াতে ওয়াসওয়াসা সংক্রান্ত প্রশ্নের উত্তর দেওয়া হবে না। ওয়াসওয়াসায় আক্রান্ত ব্যক্তির চিকিৎসা ও করণীয় সম্পর্কে জানতে এখানে ক্লিক করুন

0 votes
86 views
in বিবিধ মাস’আলা (Miscellaneous Fiqh) by (10 points)
আসসালামু আলাইকুম ওয়া রহমাতুল্লহি ওয়া বারাকাতুহ।আমার আজকে পরীক্ষা ছিল,মূলত এ পরীক্ষাটির পাশ ফেইল এর উপর অনেক কিছু নির্ভর করছে।তো আজকে পরীক্ষায় আমার খাতা দেখে আমার সহপাঠী লেখে,সে লেখার পর আমি বুঝতে পারি আমি ভুল লিখেছি এরপরে আমি সে ভুলটি সমাধান করি এবং সমাধান করার পর তাকে আর বলিনি,তখন বলতে ইচ্ছে হয়নি কেন জানি।বাসায় এসে আমার খুবই খারাপ লাগছে।আমার অনেক অন্যায় বোধ হচ্ছে।এ কাজের জন্য কি আমার পরীক্ষার রেজাল্ট ফেইল আসবে?আমি কিভাবে আল্লাহর কাছে ক্ষমা চাইবো?

1 Answer

0 votes
by (589,680 points)
ওয়া আলাইকুমুস-সালাম ওয়া রাহমাতুল্লাহি ওয়া বারাকাতুহু। 
বিসমিল্লাহির রাহমানির রাহিম।
জবাবঃ-
আলহামদুলিল্লাহ!
নকল করা, জালিয়াতি করা ইত্যাদি নাজায়েয ও হারাম।চায় তা ক্রয়-বিক্রয়ে হোক বা পরীক্ষায় হোক,কিংবা সার্টিফিকেট গ্রহণের ক্ষেত্রে হোক, সর্বাবস্থায়-ই নাজায়েয ও হারাম।যেমন হাদীসে বর্ণিত রয়েছে, হযরত আবু হুরায়রা রাযি থেকে বর্ণিত,
عن ﺃﺑﻲ ﻫﺮﻳﺮﺓ ﺭﺿﻲ ﺍﻟﻠﻪ ﻋﻨﻪ قال،قال رسول اللّٰه 
ﺻﻠﻰ ﺍﻟﻠﻪ ﻋﻠﻴﻪ ﻭﺳﻠﻢ : ( ﻣَﻦْ ﻏَﺶَّ ﻓَﻠَﻴْﺲَ ﻣِﻨِّﻲ )
রাসূলুল্লাহ সাঃ বলেন,যে ব্যক্তি ধোকা দিবে সে আমার উম্মতভূক্ত নয়। (সহীহ মুসলিম-১০২)

বিশেষকরে পরীক্ষায় নকল করার অপরাধ এবং তার অপরাধবোধ দীর্ঘমেয়াদী।শায়েখ উসাইমিন রাহ. এটাকে কবিরা গুনাহের অন্তর্ভুক্ত করেন।কেননা এই নকলকৃত পরীক্ষার উপর ভবিষ্যৎ জীবনের অনেক কিছু নির্ভর করে থাকে।সুতরাং মূল ভিত্তিতে ধোকা থাকলে তার শাখাপ্রশাখায় এর বয়ে যাওয়া ইতিবৃত্ত ধোকার মধ্যেই থাকবে।(অাল্লাহ আমাদের হেফাজত করুক)

মানুষ পরীক্ষায় নকল করে সাধারণত নিজ পরিবারবর্গ বা বন্ধুবান্ধবকে খুশী করার জন্য। নিজের ব্যক্তিত্বকে সমাজে প্রতিষ্টিত করার জন্য। অথচ হাদীসে বর্ণিত রয়েছে, হযরত আয়েশা রাযি থেকে বর্ণিত,রাসূলুল্লাহ সাঃ বলেন,
ﻋﻦ ﻋﺎﺋﺸﺔ ﺭﺿﻲ ﺍﻟﻠﻪ ﻋﻨﻬﺎ ﻗﺎﻟﺖ : ﻗﺎﻝ ﺭﺳﻮﻝ ﺍﻟﻠﻪ ﺻﻠﻰ ﺍﻟﻠﻪ ﻋﻠﻴﻪ ﻭﺳﻠﻢ : ( ﻣﻦ ﺍﻟﺘﻤﺲ ﺭﺿﺎ ﺍﻟﻨﺎﺱ ﺑﺴﺨﻂ ﺍﻟﻠﻪ ﺳﺨﻂ ﺍﻟﻠﻪ ﻋﻠﻴﻪ ﻭﺃﺳﺨﻂ ﻋﻠﻴﻪ ﺍﻟﻨﺎﺱ )
যে ব্যক্তি মানুষের সন্তুষ্টি অর্জনের লক্ষ্যে আল্লাহর অসুন্তুষ্টিকে অগ্রাধিকার দেয়,আল্লাহ তার উপর অসন্তুষ্ট হবেন,এবং মানুষদেরকেও তার উপর অসন্তুষ্ট করে দেবেন।(সহীহ ইবনে হিব্বান-২৭৬) এ সম্পর্কে বিস্তারিত জানতে ক্লিক করুন- 539 

সু-প্রিয় প্রশ্নকারী দ্বীনী ভাই/বোন!
নিজে অন্যরটা দেখে লিখা বা অন্যকে নিজের লিখা দেখে লিখার সুযোগ দেওয়া উভয়টিই হারাম ও নাজায়েয। আপনি নকল করার সুযোগ দিয়েছেন, এভাবে সুযোগ প্রদান করা আপনার জন্য জায়েয হয়নি, তাই আল্লাহর কাছে ক্ষমা চাইতে হবে। তবে তাকে যে, শেষ পর্যন্ত উত্তর সম্পর্কে অবগত করেননি, সেটাও উচিৎ হয়নি। ভবিষ্যতে নকল করার সুযোগ দিবেন না।


(আল্লাহ-ই ভালো জানেন)

--------------------------------
মুফতী ইমদাদুল হক
ইফতা বিভাগ
Islamic Online Madrasah(IOM)

আই ফতোয়া  ওয়েবসাইট বাংলাদেশের অন্যতম একটি নির্ভরযোগ্য ফতোয়া বিষয়ক সাইট। যেটি IOM এর ইফতা বিভাগ দ্বারা পরিচালিত।  যেকোন প্রশ্ন করার আগে আপনার প্রশ্নটি সার্চ বক্সে লিখে সার্চ করে দেখুন। উত্তর না পেলে প্রশ্ন করতে পারেন। আপনি প্রতিমাসে সর্বোচ্চ ৪ টি প্রশ্ন করতে পারবেন। এই প্রশ্ন ও উত্তরগুলো আমাদের ফেসবুকেও শেয়ার করা হবে। তাই প্রশ্ন করার সময় সুন্দর ও সাবলীল ভাষা ব্যবহার করুন।

বি.দ্র: প্রশ্ন করা ও ইলম অর্জনের সবচেয়ে ভালো মাধ্যম হলো সরাসরি মুফতি সাহেবের কাছে গিয়ে প্রশ্ন করা যেখানে প্রশ্নকারীর প্রশ্ন বিস্তারিত জানার ও বোঝার সুযোগ থাকে। যাদের এই ধরণের সুযোগ কম তাদের জন্য এই সাইট। প্রশ্নকারীর প্রশ্নের অস্পষ্টতার কারনে ও কিছু বিষয়ে কোরআন ও হাদীসের একাধিক বর্ণনার কারনে অনেক সময় কিছু উত্তরে ভিন্নতা আসতে পারে। তাই কোনো বড় সিদ্ধান্ত এই সাইটের উপর ভিত্তি করে না নিয়ে বরং সরাসরি স্থানীয় মুফতি সাহেবদের সাথে যোগাযোগ করতে হবে।

Related questions

...