আইফতোয়াতে ওয়াসওয়াসা সংক্রান্ত প্রশ্নের উত্তর দেওয়া হবে না। ওয়াসওয়াসায় আক্রান্ত ব্যক্তির চিকিৎসা ও করণীয় সম্পর্কে জানতে এখানে ক্লিক করুন

0 votes
188 views
in হালাল ও হারাম (Halal & Haram) by (39 points)
আসসালামু আলাইকুম,
আমি একটি সরকারি অফিসে চাকুরি করি৷ অফিস চালানোর জন্য কিছু আনুষঙ্গিক খরচাপাতি থাকে যা অফিসের স্টেশনারি বাবদ যে বরাদ্দ থাকে সেখান থেকে খরচ করা হয় এবং এজন্য স্টেশনারি খরচপত্র বাড়িয়ে দেখানো হয়। আনুষঙ্গিক খরচের মধ্যে এই চা-কফিও অন্তর্ভুক্ত যতদুর জানতে পেরেছি। সেই সাথে অফিসের কোন জিনিসটা নষ্ট হলে সেটার মেরামতও সম্ভবত এই ফান্ড থেকে হয় প্লাস রমজানে স্টাফদের ইফতারেও এই ফান্ডের টাকা ব্যয় হয়। এমতাবস্থায় ওই ফান্ড রিলেটেড জিনিসপত্র ভোগ করা আমার জন্য ঠিক হবে কি?
by (39 points)
এটা মোটামুটি সব সরকারি অফিসেরই অলিখিত নিয়ম বলা যায়

1 Answer

0 votes
by (583,410 points)
ওয়া আলাইকুমুস-সালাম ওয়া রাহমাতুল্লাহি ওয়া বারাকাতুহু। 
বিসমিল্লাহির রাহমানির রাহিম।
জবাবঃ-
আলহামদুলিল্লাহ!
অন্যর মাল তার অন্তরের সন্তুষ্টি ব্যতীত কারো জন্য হালাল হয় না।
কেননা আল্লাহ তা'আলা বলেনঃ
ﻳَﺎ ﺃَﻳُّﻬَﺎ ﺍﻟَّﺬِﻳﻦَ ﺁﻣَﻨُﻮﺍْ ﻻَ ﺗَﺄْﻛُﻠُﻮﺍْ ﺃَﻣْﻮَﺍﻟَﻜُﻢْ ﺑَﻴْﻨَﻜُﻢْ ﺑِﺎﻟْﺒَﺎﻃِﻞِ ﺇِﻻَّ ﺃَﻥ ﺗَﻜُﻮﻥَ ﺗِﺠَﺎﺭَﺓً ﻋَﻦ ﺗَﺮَﺍﺽٍ ﻣِّﻨﻜُﻢْ ﻭَﻻَ ﺗَﻘْﺘُﻠُﻮﺍْ ﺃَﻧﻔُﺴَﻜُﻢْ ﺇِﻥَّ ﺍﻟﻠّﻪَ ﻛَﺎﻥَ ﺑِﻜُﻢْ ﺭَﺣِﻴﻤًﺎ
তরজমাঃ-হে ঈমানদারগণ! তোমরা একে অপরের সম্পদ অন্যায়ভাবে গ্রাস করো না। কেবলমাত্র তোমাদের পরস্পরের সম্মতিক্রমে যে ব্যবসা করা হয় তা বৈধ। আর তোমরা নিজেদের কাউকে হত্যা করো না। নিঃসন্দেহে আল্লাহ তা’আলা তোমাদের প্রতি দয়ালু। (সূরা নিসা(২৯)

এবং হযরত ইবনে আব্বাস রাঃ থেকে বর্ণিত,
عن ابن عباس قال;قال رسول اللّٰه صلى اللّٰه عليه و سلم ﻻ ﻳﺤﻞ ﻣﺎﻝ ﺍﻣﺮﺉ ﻣﺴﻠﻢ ﺇﻻ ﺑﻄﻴﺐ ﻧﻔﺲ ﻣﻨﻪ " 
নবী কারীম সাঃ বলেনঃ"কোন মুসলমানের জন্য  অন্য কোনো মুসলমানের মাল তার অন্তরের সন্তুষ্টি ব্যতীত হালাল হবে না। (তালখিসুল হাবীর-১২৪৯) আরো জানুন- 3747 

সুপ্রিয় প্রশ্নকারী দ্বীনি ভাই/বোন!
কর্তৃপক্ষের পক্ষ্য থেকে যতটুকু খরচ ও ভোগ করার অনুমতি থাকবে, ততটুকুই আপনি খরচ বা ভোগ করতে পারবেন।অতিরিক্ত কিছুই আপনি পারবেন না। এজন্য কর্তৃপক্ষের সাথে সবিস্তারে আলোচনা করে নিবেন। জাযাকুমুল্লাহ।


(আল্লাহ-ই ভালো জানেন)

--------------------------------
মুফতী ইমদাদুল হক
ইফতা বিভাগ
Islamic Online Madrasah(IOM)

by (39 points)
শায়েখ, আমার জানার বিষয় ছিলো অফিস কর্তৃপক্ষ যে স্টেশনারি কেনার সময় বেশি বিল দেখালো এবং সেই অতিরিক্ত বিল পরবর্তীতে অফিসের বিভিন্ন খাতে ব্যয় করলো, সেটা জায়েজ কিনা? এক্ষেত্রে আমি ব্যক্তিগত ভাবে যতটা প্রয়োজন সেটা ব্যবহার করলে জায়েজ হবে কি যেহেতু আমার মনে হয়েছে এইভাবে ফান্ডিং করা প্রতারণার শামিল। জানাবেন প্লিজ
by (583,410 points)
এই ফান্ডিং করাটাও এক প্রকারের প্রতারণার মত। সুতরাং এত্থেকে বেঁচে থাকাই উত্তম।

আই ফতোয়া  ওয়েবসাইট বাংলাদেশের অন্যতম একটি নির্ভরযোগ্য ফতোয়া বিষয়ক সাইট। যেটি IOM এর ইফতা বিভাগ দ্বারা পরিচালিত।  যেকোন প্রশ্ন করার আগে আপনার প্রশ্নটি সার্চ বক্সে লিখে সার্চ করে দেখুন। উত্তর না পেলে প্রশ্ন করতে পারেন। আপনি প্রতিমাসে সর্বোচ্চ ৪ টি প্রশ্ন করতে পারবেন। এই প্রশ্ন ও উত্তরগুলো আমাদের ফেসবুকেও শেয়ার করা হবে। তাই প্রশ্ন করার সময় সুন্দর ও সাবলীল ভাষা ব্যবহার করুন।

বি.দ্র: প্রশ্ন করা ও ইলম অর্জনের সবচেয়ে ভালো মাধ্যম হলো সরাসরি মুফতি সাহেবের কাছে গিয়ে প্রশ্ন করা যেখানে প্রশ্নকারীর প্রশ্ন বিস্তারিত জানার ও বোঝার সুযোগ থাকে। যাদের এই ধরণের সুযোগ কম তাদের জন্য এই সাইট। প্রশ্নকারীর প্রশ্নের অস্পষ্টতার কারনে ও কিছু বিষয়ে কোরআন ও হাদীসের একাধিক বর্ণনার কারনে অনেক সময় কিছু উত্তরে ভিন্নতা আসতে পারে। তাই কোনো বড় সিদ্ধান্ত এই সাইটের উপর ভিত্তি করে না নিয়ে বরং সরাসরি স্থানীয় মুফতি সাহেবদের সাথে যোগাযোগ করতে হবে।

Related questions

...