আইফতোয়াতে ওয়াসওয়াসা সংক্রান্ত প্রশ্নের উত্তর দেওয়া হবে না। ওয়াসওয়াসায় আক্রান্ত ব্যক্তির চিকিৎসা ও করণীয় সম্পর্কে জানতে এখানে ক্লিক করুন

0 votes
177 views
in পবিত্রতা (Purity) by (22 points)
আসসালামু আলাইকুম।
১।ঘরের দেয়াল প্লাস্টার করার পর রং করা হয়। রং করার আগে ও পরে দেয়ালে তায়াম্মুম করা যাবে কি?
২। আমরা জানি, তায়াম্মুম হয় না এমন বস্তুর উপর ধূলা পড়লে সেটার উপর তায়াম্মুম করা যায়। প্রশ্ন হল কী পরিমাণ ধুলা লাগলে? হালকা একটু পড়লেই কি হবে?

1 Answer

0 votes
by (567,240 points)
জবাবঃ-
وعليكم السلام ورحمة الله وبركاته 
بسم الله الرحمن الرحيم

মহান আল্লাহ তাআলা ইরশাদ করেনঃ- 

وَإِن كُنتُم مَّرْضَى أَوْ عَلَى سَفَرٍ أَوْ جَاءَ أَحَدٌ مِّنكُم مِّنَ الْغَائِطِ أَوْ لَامَسْتُمُ النِّسَاءَ فَلَمْ تَجِدُوا مَاءً فَتَيَمَّمُوا صَعِيدًا طَيِّبًا فَامْسَحُوا بِوُجُوهِكُمْ وَأَيْدِيكُم مِّنْهُ مَا يُرِيدُ اللَّـهُ لِيَجْعَلَ عَلَيْكُم مِّنْ حَرَجٍ وَلَـكِن يُرِيدُ لِيُطَهِّرَكُمْ وَلِيُتِمَّ نِعْمَتَهُ عَلَيْكُمْ لَعَلَّكُمْ تَشْكُرُونَ

অর্থ : যদি তোমরা রুগ্ন হও, অথবা সফরে থাক অথবা তোমাদের কেউ প্রসাব-পায়খানা সেরে আসে অথবা তোমরা স্ত্রীদের সঙ্গে সহবাস করো, অতঃপর পানি না পাও, তাহলে তোমরা পবিত্র মাটি দ্বারা তায়াম্মুম করে নাও। আল্লাহ তোমাদের অসুবিধায় ফেলতে চান না; কিন্তু তোমাদের পবিত্র রাখতে চান এবং তোমাদের প্রতি স্বীয় নেয়ামত পূর্ণ করতে চান, যাতে তোমরা কৃতজ্ঞাতা প্রকাশ করো।(সুরা মায়েদা : ৬)

শরীয়তের বিধান হলো পবিত্র মাটি, পাথর, বালু, চুনা, মাটির তৈরি কাঁচা অথবা পাকা ইট, ধুলা, পাথর, ইটের তৈরি দেয়াল, পাকা বাসন, লাকড়ি বা কাপড়ে অথবা অন্য কোনো পবিত্র বস্তুতে ধুলা লেগে থাকলে এসব বস্তু দিয়ে তায়াম্মুম করা যাবে।
 
ফাতাওয়ায়ে হিন্দিয়াতে বর্ণিত রয়েছে,কোন জিনিষ দ্বারা তায়াম্মুম করা যাবে আর কোন জিনিষ দ্বারা তায়াম্মুম করা যাবে না।

(وَمِنْهَا الصَّعِيدُ الطَّيِّبُ) يَتَيَمَّمُ بِطَاهِرٍ مِنْ جِنْسِ الْأَرْضِ. كَذَا فِي التَّبْيِينِ كُلُّ مَا يَحْتَرِقُ فَيَصِيرُ رَمَادًا كَالْحَطَبِ وَالْحَشِيشِ وَنَحْوِهِمَا أَوْ مَا يَنْطَبِعُ وَيَلِينُ كَالْحَدِيدِ وَالصُّفْرِ وَالنُّحَاسِ وَالزُّجَاجِ وَعَيْنِ الذَّهَبِ وَالْفِضَّةِ وَنَحْوِهَا فَلَيْسَ مِنْ جِنْسِ الْأَرْضِ وَمَا كَانَ بِخِلَافِ ذَلِكَ فَهُوَ مِنْ جِنْسِهَا. كَذَا فِي الْبَدَائِعِ.

যে জিনিষ মাঠির জিনস বা প্রকার থেকে হবে,সে জিনিষ দ্বারা তায়াম্মুম জায়েয রয়েছে।যে জিনিস আগুনে দিলে জ্বলেও না, গলেও না তাহা মাটি জাতীয়। তাহার উপর তায়াম্মুম দুরুস্ত আছে। যে জিনিস জ্বলিয়া ছাই হইয়া যায় বা গলিয়া যায়,যেমন স্বর্ণ রৌপ্য ইত্যাদি।তাহার উপর দুরুস্ত নহে।এবং ছাইয়ের উপর তায়াম্মুম দুরুস্ত নহে।
(ফাতাওয়ায়ে হিন্দিয়া-১/২৬)

বিস্তারিত জানুনঃ 

★সু-প্রিয় প্রশ্নকারী দ্বীনি ভাই/বোন,
(০১)
প্রশ্নে উল্লেখিত দেয়ালের উপর তায়াম্মুম করা সহীহ হবেনা।

(০২)
এতটুকু ধুলা হওয়া লাগবে,যাতে তার উপর হাত মারার পর হাতে ভালোভাবে ধুলা দেখা যায়। 
বা তায়াম্মুমের পর হাত চেহারার উপর ধুলার চিহ্ন দেখা যায়।

ফাতওয়ার কিতাবে এসেছেঃ-

مجمع الانہر (۱: ۶۰ مطبوعہ دارالکتب العلمیہ بیروت) : و”یجوز بالنقع حال الاختیار“ حتی لو تیمم بغبار ثوبہ أو ہبت الریح فارتفع الغبار فأصاب وجہہ وذراعیہ فمسحہ بنیة التیمم جاز لأن الغبار جزء من التراب فکما جاز التیمم بالخشن منہ جاز بالرقیق منہ اھ․

সারমর্মঃ-
যদি কেহ তার কাপড়ের ধুলা দ্বারা তায়াম্মুম করে,অথবা বাতাস প্রবাহিত হয়,তাতে ধুলা উড়ে,এরপর ধুলা এসে চেহারা ও হাতে এসে লাগে,তারপর সে তায়াম্মুমের নিয়তে চেহারা এবং হাত মাসাহ করে,তাহলে তায়াম্মুম জায়েজ হবে।

الدر المختار وحاشية ابن عابدين (رد المحتار) (1/ 240):

" (ومعادن) في محالها فيجوز التراب عليها، وقيده الإسبيجابي بأن يستبين أثر التراب بمد يده عليه، وإن لم يستبن لم يجز؛ وكذا كل ما لا يجوز التيمم عليه كحنطة وجوخة فليحفظ.

সারমর্মঃ-
যদি মাটির চিহ্ন হাত মারার পর হাতে প্রকাশ পায়,সেক্ষেত্রে তায়াম্মুম জায়েজ।
অন্যথায় তায়াম্মুম জায়েজ নয়।


(আল্লাহ-ই ভালো জানেন)

------------------------
মুফতী ওলি উল্লাহ
ইফতা বিভাগ
Islamic Online Madrasah(IOM)

আই ফতোয়া  ওয়েবসাইট বাংলাদেশের অন্যতম একটি নির্ভরযোগ্য ফতোয়া বিষয়ক সাইট। যেটি IOM এর ইফতা বিভাগ দ্বারা পরিচালিত।  যেকোন প্রশ্ন করার আগে আপনার প্রশ্নটি সার্চ বক্সে লিখে সার্চ করে দেখুন। উত্তর না পেলে প্রশ্ন করতে পারেন। আপনি প্রতিমাসে সর্বোচ্চ ৪ টি প্রশ্ন করতে পারবেন। এই প্রশ্ন ও উত্তরগুলো আমাদের ফেসবুকেও শেয়ার করা হবে। তাই প্রশ্ন করার সময় সুন্দর ও সাবলীল ভাষা ব্যবহার করুন।

বি.দ্র: প্রশ্ন করা ও ইলম অর্জনের সবচেয়ে ভালো মাধ্যম হলো সরাসরি মুফতি সাহেবের কাছে গিয়ে প্রশ্ন করা যেখানে প্রশ্নকারীর প্রশ্ন বিস্তারিত জানার ও বোঝার সুযোগ থাকে। যাদের এই ধরণের সুযোগ কম তাদের জন্য এই সাইট। প্রশ্নকারীর প্রশ্নের অস্পষ্টতার কারনে ও কিছু বিষয়ে কোরআন ও হাদীসের একাধিক বর্ণনার কারনে অনেক সময় কিছু উত্তরে ভিন্নতা আসতে পারে। তাই কোনো বড় সিদ্ধান্ত এই সাইটের উপর ভিত্তি করে না নিয়ে বরং সরাসরি স্থানীয় মুফতি সাহেবদের সাথে যোগাযোগ করতে হবে।

Related questions

...