আসসালামু আলাইকুম। আমি একটি সরকারি প্রতিষ্ঠানে পড়াশোনা করি এবং সেই প্রতিষ্ঠানের হোস্টেলে থাকি। অফিসিয়ালি হোস্টেলে থাকা অবস্থায় রুমে নিজস্ব সব ধরনের ইলেক্ট্রিক কুকার, হিটার, ফ্রীজ ইত্যাদি ব্যবহার করতে নিষেধাজ্ঞা দেওয়া আছে, তবুও অনেকে লুকিয়ে ব্যবহার করে। আগে হোস্টেলে ডাইনিং এ দুইবেলা খাবার রান্না করা হতো, ওখানে খেতাম। কিন্তু বছর দুই হলো হোস্টেলে ডাইনিং এ রান্না করা বন্ধ হয়ে গেছে, এখন অনেকে বাইরের খাবার হোটেলগুলো থেকে খাবার কিনে খায় অথবা হোস্টেলে ইলেক্ট্রিক কুকার ইত্যাদিতে রান্না করে খায়। আমি একজনের কাছ থেকে জানতে পেরেছিলাম যে হোস্টেলে যেহেতু নিজস্ব কুকার হিটার চালানোর অনুমতি নেই সেহেতু এগুলো লুকিয়ে ব্যবহার করে খাবার রান্না করে খেলে সে খাবার হারাম হওয়ার সম্ভাবনা আছে। তাই আমি এগুলো ব্যবহার করতাম না, বাইরের হোটেল থেকে খাবার কিনে খেতাম। কিন্তু বাইরের হোটেলের খাবার ততটা স্বাস্থ্যকর না, দুই মাস মত খাবার কিনে খেয়েছিলাম, এর মধ্যে বেশকয়েকবার ফুডপয়জনিং হয়, ডায়রিয়া ইত্যাদি হওয়াতে এখন নতুন করে পেটের আইবিএস নামক রোগ হয়ে গেছে তাই বাসা থেকে একসপ্তাহ পর পর তরকারি রান্না করে নিয়ে এসে হোস্টেলের ডাইনিং এ যে ফ্রীজ আছে ওটাতে রাখি। নিজে গ্যাসের সিলিন্ডার আর চুলা কিনে নিয়েছি, সেটাতে ভাত তরকারি রান্না করে বা গরম করে খাই। হোস্টেলের ডাইনিং এ তিনটা ফ্রীজ ছিল আগে, একটা নষ্ট হয়ে গেছে দুই বছর আগে, আরেকটা নষ্ট হয়েছে দুই তিন মাস আগে, বাকি একটা সচল ছিল। কলেজ থেকে ডাইনিং এর রান্না চালু করা বা ফ্রীজ এগুলো ঠিক করার কোনো উদ্যোগ নেয়না, তাদের কাছে ঠিক করতে বললেও ঠিক করেনা, বলে সরকার থেকে টাকা দেয়না। গত ঈদের পর এক সপ্তাহের মত তরকারি রান্না করে এনেছিলাম, কিন্তু হোস্টেলে এসে দেখি যেই একটা ফ্রীজ ভালো ছিল ওটাও নষ্ট হয়ে গেছে। এতগুলো তরকারি তো একদিনে খাওয়া সম্ভব না, নিরুপায় হয়ে অর্ধেক তরকারি দুইটা পাতিলে গরম করে করে গত দুই তিন দিন ধরে খাচ্ছি, আর বাকি তরকারি আমার হোস্টেলে থাকে এমন এক সহপাঠী যে কিনা হোস্টেলে নিজের মত ফ্রীজ কিনে ব্যবহার করছে, ওর ফ্রীজে রেখেছি। এখন এই তরকারি কি খাওয়া আমার জন্য হারাম হবে? ফ্রীজে না রাখলে তরকারি না রাখলে নষ্ট হয়ে যেত যেটা কিনা অপচয়ের মধ্যে পরে, তাই রেখেছিলাম। এখন কি করা যাবে একটু বলবেন