আইফতোয়াতে ওয়াসওয়াসা সংক্রান্ত প্রশ্নের উত্তর দেওয়া হবে না। ওয়াসওয়াসায় আক্রান্ত ব্যক্তির চিকিৎসা ও করণীয় সম্পর্কে জানতে এখানে ক্লিক করুন

0 votes
104 views
in সালাত(Prayer) by (4 points)
আমার স্বামী রোজা রাখেন, দাড়ি আছে, মানুষের সাথে ভালো ব্যবহার করেন, অন্যের হক আদায়ে যথাযথ সচেষ্ট থাকার চেষ্টা করেন আলহামদুলিল্লাহ। কিন্তু তিনি নামাজ পড়েন না। জুমাুআ ও ঈদের নামাজ পড়েন। আগে ফজর ছাড়া বাকি ওয়াক্ত পড়লেও গত একমাস ধরে কোনো ওয়াক্ত ই পড়েন না। তাকে যতভাবে নসীহা করা যায় আমি চেষ্টা করে যাচ্ছি। মুমিন ও কাফেরের মধ্যে পার্থক্য হল নামাজ এই হাদিসটি নিয়ে যখন বলি কিংবা বলি যে নামাজ না পড়লে কাফের হয়ে যাবে না ত? তখন তিনি বলেন হানাফি মাজহাবে নামাজ অস্বীকার না করলে কাফির হয় না। তিনি অলসতা ও ব্যস্ততার জন্য নামাজ পড়েন না তাই তিনি কাফের হবেন না। আল্লাহর দেওয়া একটি ফরজ বিধানকে দিনের পর দিন তিনি অমান্য করছেন, আমার চোখের সামনে আমার এটি মেনে নিতে খুবই কষ্ট হচ্ছে। আমি জানি হিদায়াত একমাত্র আল্লাহর কাছ থেকেই আসে। আর আমাদের উচিত সবর ও দুআ করা। দয়া করে আমাকে সবরের জন্য কিছু নসীহা করুন। মাঝেমাঝে এমন উদাসীন মানুষের সাথে থেকে নিজের আমলের আগ্রহও কমে যায়, এ থেকে বাঁচারও কোনো উপায় জানা থাকলে বলুন দয়া করে।

1 Answer

0 votes
by (574,470 points)
জবাবঃ-
بسم الله الرحمن الرحيم

নামাজ ত্যাগকারীর ব্যাপারে হাদীস শরীফে কঠিন হুমকি এসেছে। 

হাদীস শরীফে এসেছেঃ

عَنْ مُعَاذِ بْنِ جَبَلٍ قَالَ: أَتَى رَسُوْلُ اللهِ صَلَّى اللهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ رَجُلٌ فَقَالَ: يَا رَسُولَ اللهِ عَلِّمْنِيْ عَمَلًا إِذَا أَناَ عَمِلْتُهُ دَخَلْتُ الْجَنَّةَ قَالَ لاَ تُشْرِكْ بِاللهِ شيئاً وَإِنْ عُذِّبْتَ وَحُرِّقْتَ وَأَطِعْ وَالِدَيْكَ وَإِنَّ أخرجاك مِنْ مَالِكٍ وَمِنْ كُلِّ شَيٍّء هُوَ لَكَ وَلاَ تَتْرُكِ الصَّلاَةَ مُتَعَمِّدًا فَإِنَّهُ مَنْ تَرَكَ الصَّلاَةَ مُتَعَمِّدًا فَقَدْ بَرِئَتْ مِنْهُ ذِمَّةُ اللهِ

মুআয বিন জাবাল (রাঃ) কর্তৃক বর্ণিত, তিনি বলেন, একদা এক ব্যক্তি নবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম এর নিকট এসে বলল, ‘হে আল্লাহর রসূল! আমাকে এমন আমল শিখিয়ে দেন; যা করলে আমি জান্নাত প্রবেশ করতে পারব।’ তিনি বললেন, ‘‘তুমি আল্লাহর সাথে কোন কিছুকে শরীক (অংশী) করো না; যদিও তোমাকে সে ব্যাপারে শাস্তি দেওয়া হয় এবং পুড়িয়ে মেরে ফেলা হয়। তোমার মাতা-পিতার আনুগত্য কর; যদিও তারা তোমাকে তোমার ধন-সম্পদ এবং সমস্ত কিছু থেকে দূর করতে চায়। আর ইচ্ছাকৃত নামায ত্যাগ করো না; কারণ, যে ব্যক্তি ইচ্ছাকৃত নামায ত্যাগ করে তার উপর থেকে আল্লাহর দায়িত্ব উঠে যায়। (ত্বাবারানীর আউসাত্ব ৭৯৫৬, সহীহ তারগীব ৫৬৯)

অন্য হাদীসে আছে,

عَن ابنِ مَسْعُوْدٍ رَضِيَ اللَّهُ عَنهُ قَالَ مَن تَرَكَ الصَّلاَةَ فَلاَ دِينَ لَه

ইবনে মাসউদ (রাঃ) হতে বর্ণিত, তিনি বলেন, যে ব্যক্তি নামায ত্যাগ করে, তার দ্বীনই নেই।(মুছান্নাফে ইবনে আবী শাইবা ৭৬৩৭, ৩০৩৯৭, ত্বাবারানীর কাবীর ৮৮৪৭-৮৮৪৮, বাইহাক্বীর শুআবুল ঈমান ৪৩, সহীহ তারগীব ৫৭৪)

রাসূল (সা. ) বলেন-

إن بين الرجل وبين الشرك والكفر ترك الصلاة

‘কোনো ব্যক্তির মাঝে এবং শিরক ও কুফরের মাঝে পার্থক্য হলো নামাজ ত্যাগ করা।’ [সহিহ মুসলিম, হাদিস: ১৩৪]

আরো জানুনঃ- 

★সু-প্রিয় প্রশ্নকারী দ্বীনি বোন,
আপনার স্বামীর অন্তরে নামাজের গুরুত্ব নেই।
তার অন্তরে নামাজের গুরুত্ব বসাতে নেককারদের সাথে বেশি উঠাবসা করতে হবে।

দাওয়াত তাবলিগের মেহনতের সাথে যুক্ত হতে হবে। কমপক্ষে এক চিল্লা দেয়ার পরামর্শ থাকবে। 
অথবা কোনো হক্কানী শায়েখের নিকটে যাওয়ার পরামর্শ থাকবে। 

 আল্লাহ তাআলা বলেন,
يَا أَيُّهَا الَّذِينَ آمَنُواْ اتَّقُواْ اللّهَ وَكُونُواْ مَعَ الصَّادِقِينَ

হে ঈমানদারগণ, আল্লাহকে ভয় কর এবং সত্যবাদীদের সাথে থাক। (সূরা আত তাওবাহ ১১৯)


(আল্লাহ-ই ভালো জানেন)

------------------------
মুফতী ওলি উল্লাহ
ইফতা বিভাগ
Islamic Online Madrasah(IOM)

আই ফতোয়া  ওয়েবসাইট বাংলাদেশের অন্যতম একটি নির্ভরযোগ্য ফতোয়া বিষয়ক সাইট। যেটি IOM এর ইফতা বিভাগ দ্বারা পরিচালিত।  যেকোন প্রশ্ন করার আগে আপনার প্রশ্নটি সার্চ বক্সে লিখে সার্চ করে দেখুন। উত্তর না পেলে প্রশ্ন করতে পারেন। আপনি প্রতিমাসে সর্বোচ্চ ৪ টি প্রশ্ন করতে পারবেন। এই প্রশ্ন ও উত্তরগুলো আমাদের ফেসবুকেও শেয়ার করা হবে। তাই প্রশ্ন করার সময় সুন্দর ও সাবলীল ভাষা ব্যবহার করুন।

বি.দ্র: প্রশ্ন করা ও ইলম অর্জনের সবচেয়ে ভালো মাধ্যম হলো সরাসরি মুফতি সাহেবের কাছে গিয়ে প্রশ্ন করা যেখানে প্রশ্নকারীর প্রশ্ন বিস্তারিত জানার ও বোঝার সুযোগ থাকে। যাদের এই ধরণের সুযোগ কম তাদের জন্য এই সাইট। প্রশ্নকারীর প্রশ্নের অস্পষ্টতার কারনে ও কিছু বিষয়ে কোরআন ও হাদীসের একাধিক বর্ণনার কারনে অনেক সময় কিছু উত্তরে ভিন্নতা আসতে পারে। তাই কোনো বড় সিদ্ধান্ত এই সাইটের উপর ভিত্তি করে না নিয়ে বরং সরাসরি স্থানীয় মুফতি সাহেবদের সাথে যোগাযোগ করতে হবে।

Related questions

...