সূরা ফাতিহায় মহান আল্লাহ তায়ালা ইরশাদ করেনঃ-
اِیَّاكَ نَعْبُدُ وَ اِیَّاكَ نَسْتَعِیْنُ.
আমরা আপনারই ইবাদত করি এবং আপনারই কাছে সাহায্য চাই। [সূরা ফাতেহা (১) : ৪]
অন্যত্র ইরশাদ হয়েছে-
اَمَرَ اَلَّا تَعْبُدُوْۤا اِلَّاۤ اِیَّاهُ.
আল্লাহ তাআলা আদেশ করেছেন, তোমরা একমাত্র তারই ইবাদত করবে। -সূরা ইউসুফ (১২) : ৪০
সূরা রা‘দে (আয়াত : ১৪) আল্লাহ তাআলা ইরশাদ করেছেন-
لَهٗ دَعْوَةُ الْحَقِّ وَ الَّذِیْنَ یَدْعُوْنَ مِنْ دُوْنِهٖ لَا یَسْتَجِیْبُوْنَ لَهُمْ بِشَیْءٍ اِلَّا كَبَاسِطِ كَفَّیْهِ اِلَی الْمَآءِ لِیَبْلُغَ فَاهُ وَ مَا هُوَ بِبَالِغِهٖ وَ مَا دُعَآءُ الْكٰفِرِیْنَ اِلَّا فِیْ ضَلٰلٍ.
এ আয়াতে বলা হয়েছে, সত্য প্রার্থনা সেটিই, যা আল্লাহ তাআলার কাছে চাওয়া হয়। আল্লাহ তাআলা ছাড়া অন্য যে কারো কাছেই প্রার্থনা করা হোক তা বৃথা এবং তা কাফেরদেরই কাজ।
মান্নত একমাত্র আল্লাহ তাআলার নামেই করা যায়। আল্লাহ তাআলা ছাড়া অন্য কারো নামে মান্নত করা হারাম ও শিরক।
আলবাহরুর রায়েকে আছে-
...فهذا النذر باطل بالإجماع لوجوه منها أنه نذر لمخلوق والنذر للمخلوق لا يجوز؛ لأنه عبادة والعبادة لا تكون للمخلوق.
মাজার ও পীরদের নামে মান্নত করা সকলের ঐক্যমতে বাতিল। এর একাধিক কারণ রয়েছে। তন্মধ্যে একটি হল, এ মান্নত মাখলুকের নামে হচ্ছে। আর কোনো মাখলুকের জন্য মান্নত করা জায়েয নেই। কেননা, মান্নত করা একটি ইবাদত। আর ইবাদত কোনো মাখলুকের জন্য হতে পারে না। (আল বাহরুর রায়েক ২/২৯৮)
মাজারে মান্নত করা হারাম। কেননা, মান্নত পূরণ করা একটি ইবাদত। তাই মান্নত করতে হবে শুধুমাত্র আল্লাহ তাআলার উদ্দেশ্যে। মান্নত পূরণ করতে হবে তারই সন্তুষ্টি অর্জনের নিয়তে। সুতরাং কোনো মাযার বা পীরের নামে মান্নত করলে তা শিরক হবে। কেউ এমন মান্নত করলেও তা পালন করা থেকে বিরত থাকা জরুরি। উপরন্তু উক্ত মান্নতের কারণে তওবা-ইস্তেগফার করা জরুরি। ( আলমুহীতুল বুরহানী ৬/৩৫২; আলবাহরুর রায়েক ২/২৯৮; বাদায়েউস সানায়ে ৪/২২৬; ফাতহুল কাদীর ৪/৩৭৪; আদ্দুররুল মুখতার ২/৪৩৯)
হাদিস শরিফে এসেছে, রাসুলুল্লাহ ﷺ বলেছেন,
مَنْ نَذَرَ أَنْ يُطِيعَ اللَّهَ فَلْيُطِعْهُ ، وَمَنْ نَذَرَ أَنْ يَعْصِيَهُ فَلَا يَعْصِهِ
যে ব্যক্তি আল্লাহ তাআলার আনুগত্য করার মান্নত করে সে যেন (তা পূরণ করে) তাঁর আনুগত্য করে । আর যে অবাধ্যতার কোনো বিষয়ে মান্নত করে সে যেন তাঁর অবাধ্যতা না করে। (সহীহ বুখারী ৬৬৯৬)