আইফতোয়াতে ওয়াসওয়াসা সংক্রান্ত প্রশ্নের উত্তর দেওয়া হবে না। ওয়াসওয়াসায় আক্রান্ত ব্যক্তির চিকিৎসা ও করণীয় সম্পর্কে জানতে এখানে ক্লিক করুন

0 votes
97 views
in পবিত্রতা (Purity) by (6 points)
আসসালামুয়ালাইকুম, আমি গত ১ মাসের অধিক সময় ধরে ইস্তিহাজায় আক্রান্ত। এর মাঝে ১৫ দিন ব্যবধানে দুবার মাসিকের সময় ধরে নিয়েছিলাম আর আজ ২য় বার ধরে নেওয়া মাসিক শেষ হওয়ার ৫ম দিন কিন্তু এই অসুখ সাড়ানোর জন্য হোমিওপ্যাথি খাচ্ছি গত ২ দিন যাবত আর আমার মাসিক বন্ধ না হয়ে নরমাল মাসিকের মতো হয় আর অতি দুর্গন্ধ যুক্ত। উল্লেখ্য যে ২য় বার যে মাসিক এর সময় গেছে সে সময় রক্তের মত লাল মাসিক বাহিত হয়েছে আর একদম দুর্গন্ধ ছিল না। এমতাবস্থায় আমার কি নামাজ চালিয়ে যাওয়া উচিত? নাকি এটা মাসিক ধরে নিয়ে পরবর্তীতে পূর্বের ধরে নেওয়া মাসিকের জন্য কাজা পরে দেওয়া উচিত? জাজাক আল্লাহু খাইরান।

1 Answer

0 votes
by (565,890 points)
জবাবঃ-
وعليكم السلام ورحمة الله وبركاته 
بسم الله الرحمن الرحيم

শরীয়তের বিধান অনুযায়ী তুহর তথা দুই হায়েজের মাঝে পবিত্রতার সর্বনিম্ন সীমা পনেরো দিন।
এই পনেরো দিনের মধ্যে কোনো রক্ত আসলে সেটি হায়েজ নয়,বরং সেটি ইস্তেহাজা তথা অসুস্থতা।
এই সময়ে নামাজ রোযা আদায় করতে হবে।    
হজরত হান্নাদ [রহ] আম্মাজান আয়েশা [রা]-এর হাদিস বর্ণনা করেছেন যে, ফাতিমা বিনতে হুবাইশ নামক এক নারী একবার রাসুল [সা]-এর সমীপে এসে বললো, হে আল্লাহর রাসুল, আমি একজন ইস্তেহাযাগ্রস্ত মেয়ে। আমি তো পাক হই না। তাই আমি কি নামাজ পড়া ছেড়ে দেবো? রাসুল [সা] বললেন, না, কারণ এ রক্ত হায়েযের নয়; বরং এ হলো শিরা থেকে বেরিয়ে আসা রক্ত। সুতরাং যখন তোমার হায়েযের নির্ধারিত দিনগুলি আসে তখন সে দিনগুলি নামাজ ছেড়ে দেবে। আর হায়েযের দিন চলে গেলে তোমার রক্ত ধুয়ে নেবে এবং নামাজ আদায় করবে। [তিরমিজি, হাদিস-১২৫]
     
لما قال الحصکفیؒ: واقل الطہر بین الحیضتین او النفاس والحیض خمسۃ عشر یومًا ولیالیھا اجماعًا۔ (الدرالمختارعلی صدر ردّالمحتار:ج؍۱،ص؍۲۸۵، باب الحیض)
সারমর্মঃ দুই হায়েজ বা নিফাস ও হায়েজের মধ্যে পবিত্রতার সর্বনিম্ন সীমা সর্বসম্মতিক্রমে পনেরো দিন পনেরো রাত।

আরো জানুনঃ

সু-প্রিয় প্রশ্নকারী দ্বীনি বোন,
আপনার জন্য করনীয় হলো ১০ দিন হায়েজ ধরবেন।
১১ তম দিন থেকে ১৫ দিন ইস্তেহাজা ধরবেন।

১৬ তম দিন হতে আবারো ১০ দিন হায়েজ ধরবেন। এর পর ১৫ দিন আবারো ইস্তেহাজা ধরবেন।
এভাবেই হিসেব করবেন।

পাশাপাশি চিকিৎসা চালিয়ে যাবেন।

★প্রশ্নের বিবরণ মতে ২য় বার ধরে নেয়া মাসিক শেষ হওয়ার ৫ম দিন হতে যে ব্লিডিং হচ্ছে,এটি ইস্তেহাজা।
এ সময়ে নামাজ চালিয়ে যেতে হবে। 


(আল্লাহ-ই ভালো জানেন)

------------------------
মুফতী ওলি উল্লাহ
ইফতা বিভাগ
Islamic Online Madrasah(IOM)

আই ফতোয়া  ওয়েবসাইট বাংলাদেশের অন্যতম একটি নির্ভরযোগ্য ফতোয়া বিষয়ক সাইট। যেটি IOM এর ইফতা বিভাগ দ্বারা পরিচালিত।  যেকোন প্রশ্ন করার আগে আপনার প্রশ্নটি সার্চ বক্সে লিখে সার্চ করে দেখুন। উত্তর না পেলে প্রশ্ন করতে পারেন। আপনি প্রতিমাসে সর্বোচ্চ ৪ টি প্রশ্ন করতে পারবেন। এই প্রশ্ন ও উত্তরগুলো আমাদের ফেসবুকেও শেয়ার করা হবে। তাই প্রশ্ন করার সময় সুন্দর ও সাবলীল ভাষা ব্যবহার করুন।

বি.দ্র: প্রশ্ন করা ও ইলম অর্জনের সবচেয়ে ভালো মাধ্যম হলো সরাসরি মুফতি সাহেবের কাছে গিয়ে প্রশ্ন করা যেখানে প্রশ্নকারীর প্রশ্ন বিস্তারিত জানার ও বোঝার সুযোগ থাকে। যাদের এই ধরণের সুযোগ কম তাদের জন্য এই সাইট। প্রশ্নকারীর প্রশ্নের অস্পষ্টতার কারনে ও কিছু বিষয়ে কোরআন ও হাদীসের একাধিক বর্ণনার কারনে অনেক সময় কিছু উত্তরে ভিন্নতা আসতে পারে। তাই কোনো বড় সিদ্ধান্ত এই সাইটের উপর ভিত্তি করে না নিয়ে বরং সরাসরি স্থানীয় মুফতি সাহেবদের সাথে যোগাযোগ করতে হবে।

Related questions

...