আইফতোয়াতে ওয়াসওয়াসা সংক্রান্ত প্রশ্নের উত্তর দেওয়া হবে না। ওয়াসওয়াসায় আক্রান্ত ব্যক্তির চিকিৎসা ও করণীয় সম্পর্কে জানতে এখানে ক্লিক করুন

0 votes
215 views
in পরিবার,বিবাহ,তালাক (Family Life,Marriage & Divorce) by (24 points)
যদি কোন মহিলা তার স্বামী সন্তানকে রেখে  অন্য আরেক পুরুষ কে বিয়ে করে আর সেখানে সন্তান হয় আর এমতাবস্থায় তার বোনের সাথে তার স্বামীর বিয়ে দেয়া হয় তাহলে তার আগের স্বামীর সাথে বৈবাহিক অবস্থা বহাল থাকবে? আর সে কি তার স্বামীর সম্পদের উত্তরাধিকারীনি হবে?

1 Answer

0 votes
by (574,260 points)
জবাব
بسم الله الرحمن الرحيم 

প্রথমেই আমরা কিছু মাসয়ালা জেনে নেই।
★শরীয়তের বিধান মতে তালাক প্রাপ্তা স্ত্রী ইদ্দতের মধ্যে অন্য ছেলের সাথে বিবাহ বসতে পারবেনা।
যদি বিবাহ করেও,উক্ত বিবাহ বাতিল হবে।
ঘর সংসার হারাম হবে।
সুরা বাকারা ২৩৫ নং আয়াতে আল্লাহ তায়ালা ইরশাদ করেন 
وَ لَا تَعۡزِمُوۡا عُقۡدَۃَ النِّکَاحِ حَتّٰی یَبۡلُغَ الۡکِتٰبُ اَجَلَہٗ ؕ وَ اعۡلَمُوۡۤا اَنَّ اللّٰہَ یَعۡلَمُ مَا فِیۡۤ اَنۡفُسِکُمۡ فَاحۡذَرُوۡہُ ۚ وَ اعۡلَمُوۡۤا اَنَّ اللّٰہَ غَفُوۡرٌ حَلِیۡمٌ ﴿۲۳۵﴾

আর আল্লাহর নির্দেশ (ইদ্দত) তার সময় পূর্ণ করার পূর্বে বিবাহ বন্ধনের সংকল্প করো না। আর জেনে রাখ, নিশ্চয় আল্লাহ তোমাদের অন্তরে যা রয়েছে তা জানেন। সুতরাং তোমরা তাকে ভয় কর এবং জেনে রাখ, নিশ্চয় আল্লাহ ক্ষমাশীল, সহনশীল। 
,
الموسوعة الفقهية" (29/346) : " اتفق الفقهاء على أنه لا يجوز للأجنبي نكاح المعتدة ، أيا كانت عدتها ، من طلاق أو موت أو فسخ أو شبهة ، وسواء أكان الطلاق رجعيا أم بائنا بينونة صغرى أو كبرى . وذلك لحفظ الأنساب ، وصونها من الاختلاط ، ومراعاةً لحق الزوج الأول .
فإن عقد النكاح على المعتدة في عدتها ، فُرّق بينها وبين من عقد عليها .
واستدلوا بقوله تعالى : ( ولا تعزموا عقدة النكاح حتى يبلغ الكتاب أجله ). والمراد: تمام العدة .  والمعنى : لا تعزموا على عقدة النكاح ، في زمان العدة . أو : لا تعقدوا عقدة النكاح ، حتى ينقضي ما كتب الله عليها من العدة" انتهى.
সারমর্মঃ তালাক হোক,বা অন্য যেকোনো ভাবেই বিবাহ বিচ্ছেদ হোক, সমস্ত উলামায়ে কেরামগন একমত যে ইদ্দতকালীন সময়ে কোনো মহিলাকে বিবাহ করা জায়েজ নেই।      
,
★শরীয়তের বিধান হলো  কোনো মহিলা কারো বিবাহে থাকা অবস্থায় কোনো প্রকারের তালাক ব্যাতিতই অন্য কারো সাথে বিবাহ করলে তা শরয়ী দৃষ্টিকোণ থেকে সহীহ হয় না।

তাই মহিলাটি স্বামী ছাড়া অন্য স্বামীর সাথে রাত্রি যাপনের কারণে কঠিন গোনাহগার হবে। 
মহিলাটি আরেকজনের বিবাহে আছে জেনেও যদি পরিবারের লোকজন দ্বিতীয় বিবাহ দিয়ে থাকে, তাহলে পরিবারের লোকজন ও মারাত্মক গোনাহের কাজ করেছে। এর জন্য সবাইকে তওবা করতে হবে।

যেহেতু দ্বিতীয় বিবাহই শুদ্ধ হবেনা। তাই দ্রুত দ্বিতীয় স্বামী থেকে স্ত্রীকে আলাদা করতে হবে।
এবং উক্ত মহিলাকে প্রথম স্বামীর কাছেই ফেরত পাঠাতে হবে। তবে নিয়ম অনুযায়ী প্রথম স্বামী থেকে তালাক নেয়ার পর ইদ্দত পালন শেষে অন্য কারো সাথে বা যার সাথে দ্বিতীয়বার পারিবারিকভাবে বিবাহ হয়েছিল তার সাথে বিবাহ দিতে পারবে।
,
ইদ্দত সংক্রান্ত বিস্তারিত জানুন   
,
★স্বামী স্ত্রীকে তালাক দেওয়ার পর সেই স্ত্রীর ইদ্দতকালীন সময়ের মধ্যে সেই স্ত্রীর নিজ বোনকে বিবাহ করতে পারবেনা।
,
হ্যাঁ যদি ইদ্দত কাল অতিবাহিত হয়ে যায়,তাহলে সেই স্ত্রীত বোনকে বিবাহ করতে পারবে।     

★শরীয়তের  বিধান হলো যদি কেহ তার স্ত্রীকে তালাক দেয়,তাহলে স্ত্রীর ইদ্দতের মধ্যেই যদি উক্ত স্বামী মারা যায়,তাহলে উক্ত মহিলা তার উত্তরাধিকার হিসেবে সম্পত্তি পাবে।
আর যদি তার ইদ্দত কাল শেষ হওয়ার পর স্বামী মারা যায়,তাহলে সেই স্ত্রী উত্তরাধিকার হবেনা।
সম্পত্তিও পাবেনা।
(ফাতাওয়ায়ে রহিমিয়্যাহ ১০/২৬৫)
۔
★★প্রিয় প্রশ্নকারী দ্বীনি ভাই বোন,
প্রশ্নে উল্লেখিত ছুরতে যদি তার আগের স্বামী তাকে তালাক না দেয়,তাহলে তাদের যেহেতু বিবাহ বিচ্ছেদই হয়,তাই তার জন্য অন্যত্রে বিবাহ হারাম হয়েছে।
এবং উক্ত স্বামীর জন্যেও স্ত্রীর নিজ বোনকে বিবাহ হারাম হয়েছে।
,
তাদের উভয়ের (স্ত্রী এবং তার ২য় স্বামীর ঘরসংসার, স্বামী এবং স্ত্রীর বোনের ঘরসংসার) পুরাটাই যেনা হয়েছে।
কোনো সন্তান হলে সেটা হারাম সন্তান হয়েছে। 
,
দ্রুত তাদের এহেন কাজ থেকে তওবা ইস্তেগফার করে ফিরে আসতে হবে।   
,
যেহেতু উক্ত মহিলার আগের বিবাহ বিচ্ছেদই হয়নি,তাই সে আগের স্বামীরই স্ত্রী হিসেবে আছে।
স্ত্রী হিসেবে সেই তার সম্পদের উত্তরাধিকার হবে। 


(আল্লাহ-ই ভালো জানেন)

------------------------
মুফতী ওলি উল্লাহ
ইফতা বিভাগ
Islamic Online Madrasah(IOM)

আই ফতোয়া  ওয়েবসাইট বাংলাদেশের অন্যতম একটি নির্ভরযোগ্য ফতোয়া বিষয়ক সাইট। যেটি IOM এর ইফতা বিভাগ দ্বারা পরিচালিত।  যেকোন প্রশ্ন করার আগে আপনার প্রশ্নটি সার্চ বক্সে লিখে সার্চ করে দেখুন। উত্তর না পেলে প্রশ্ন করতে পারেন। আপনি প্রতিমাসে সর্বোচ্চ ৪ টি প্রশ্ন করতে পারবেন। এই প্রশ্ন ও উত্তরগুলো আমাদের ফেসবুকেও শেয়ার করা হবে। তাই প্রশ্ন করার সময় সুন্দর ও সাবলীল ভাষা ব্যবহার করুন।

বি.দ্র: প্রশ্ন করা ও ইলম অর্জনের সবচেয়ে ভালো মাধ্যম হলো সরাসরি মুফতি সাহেবের কাছে গিয়ে প্রশ্ন করা যেখানে প্রশ্নকারীর প্রশ্ন বিস্তারিত জানার ও বোঝার সুযোগ থাকে। যাদের এই ধরণের সুযোগ কম তাদের জন্য এই সাইট। প্রশ্নকারীর প্রশ্নের অস্পষ্টতার কারনে ও কিছু বিষয়ে কোরআন ও হাদীসের একাধিক বর্ণনার কারনে অনেক সময় কিছু উত্তরে ভিন্নতা আসতে পারে। তাই কোনো বড় সিদ্ধান্ত এই সাইটের উপর ভিত্তি করে না নিয়ে বরং সরাসরি স্থানীয় মুফতি সাহেবদের সাথে যোগাযোগ করতে হবে।

Related questions

...