গীবত সম্পর্কে প্রশ্ন

Question

আসসালামু আলাইকুম
১) অফিসে সালাতের জামাতে দাড়ানোর সময় আমি বামদিকে সরে দাড়িয়েছিলাম, যাতে আমার ডানে আরেকজন দাড়াতে পারে, কিন্তু অন্য এক লোক আমাকে ডান দিকেই সরে যেতে বলে বেশি করে। আমি তাই মনে মনে বলেছিলাম যে, বুঝেনা কিছুনা। এই কথা আমি নিজে নিজেই বলছিলাম, এইভাবে গিবত হয়েছে?

২) কারো কোনো বিষয় ভালো না লাগলে যদি নিজে নিজে কেও বিরক্ত অনুভব করে অথবা তার সম্পর্কে কোনো কমেন্ট করে ফেলে নিজে নিজে যেটা আর কেও শুনেনা তাইলে কি সেইটা গিবত হয়?

৩) আমার একটা সমস্যা যে আমি বেশিরভাগ সময়ে কোনো এক কাজ বা কথার ইন্সট্যান্ট রিয়েকশন দিয়ে ফেলি যেই রিয়েকশন/ কথা/কাজ টা ইসলামি আদবের খেলাফ হয় অনেক ক্ষেত্রে। কিন্তু ৪/৫ সেকেন্ড পরেই আবার রিয়ালাইজেশন হয় যে কাজটা ভুল করছি। যেমন- কেও হয়তো আমাকে একটা কথা বলছে, আমিও হয়তোবা মুখের ওপর জবাব দিয়ে দিছি। কিন্তু ৪/৫ সেকেন্ড পরেই মনে হয়, কাজ টা ভুল করছি। এই ক্ষেত্রে করণীয় কি?

৪) আবার এমনো হয় যে কারো কোনো কাজ দেখে বিরক্তি অনুভব করি নিজে নিজে কিন্তু ৪/৫ সেকেন্ড পরেই মনে হয় যে এমন করা উচিত হয়নি। এমন করলে কি তার কাছে মাফ চাইতে হবে?

Answer 1

ওয়া আলাইকুমুস-সালাম ওয়া রাহমাতুল্লাহি ওয়া বারাকাতুহু। 

বিসমিল্লাহির রাহমানির রাহিম।

জবাবঃ-

আলহামদুলিল্লাহ!

(১) প্রশ্নের বিবরণমতে গীবত হবে না।

(২) প্রশ্নের বিবরণ অনুযায়ী গীবত হবে না।

(৩) এভাবে বলা হেকমতপূর্ণ নয়।তাই ভবিষ্যতে সতর্ক থাকবেন।

(৪) তার জন্য দু'আ করবেন।তবে তার কাছে ক্ষমা চাইতে হবে না।

আবদুল্লাহ ইবনু আমর (রাঃ) থেকে বর্ণিত,

عَنْ عَبْدِ اللَّهِ بْنِ عَمْرٍو ـ رضى الله عنهما عَنِ النَّبِيِّ صلى الله عليه وسلم صلى الله عليه وسلم قَالَ" الْمُسْلِمُ مَنْ سَلِمَ الْمُسْلِمُونَ مِنْ لِسَانِهِ وَيَدِهِ، وَالْمُهَاجِرُ مَنْ هَجَرَ مَا نَهَى اللَّهُ عَنْهُ "

রাসুলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম ইরশাদ করেন, প্রকৃত মুসলিম সে-ই, যার জিহ্বা ও হাত থেকে সকল মুসলিম নিরাপদ থাকে এবং প্রকৃত মুহাজির সে-ই, যে আল্লাহ্ তা’আলার নিষিদ্ধ কাজ ত্যাগ করে।(সহীহ বোখারী-০৯)