ওয়া আলাইকুমুস-সালাম ওয়া রাহমাতুল্লাহি ওয়া বারাকাতুহু।
বিসমিল্লাহির রাহমানির রাহিম।
জবাবঃ-
আলহামদুলিল্লাহ!
আবূ বকরাহ (রাঃ) হতে বর্ণিত।
مُحَمَّدٌ أَخْبَرَنَا عَبْدُ الأَعْلٰى عَنْ يُونُسَ عَنْ الْحَسَنِ عَنْ أَبِي بَكْرَةَ قَالَ خَسَفَتْ الشَّمْسُ وَنَحْنُ عِنْدَ النَّبِيِّ صلى الله عليه وسلم فَقَامَ يَجُرُّ ثَوْبَه“ مُسْتَعْجِلاً حَتّٰى أَتَى الْمَسْجِدَ وَثَابَ النَّاسُ فَصَلّٰى رَكْعَتَيْنِ فَجُلِّيَ عَنْهَا ثُمَّ أَقْبَلَ عَلَيْنَا وَقَالَ إِنَّ الشَّمْسَ وَالْقَمَرَ آيَتَانِ مِنْ آيَاتِ اللهِ فَإِذَا رَأَيْتُمْ مِنْهَا شَيْئًا فَصَلُّوا وَادْعُوا اللهَ حَتّٰى يَكْشِفَهَا
তিনি বলেনঃ আমরা নবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম এর নিকট ছিলাম, এমন সময় সূর্যগ্রহণ শুরু হল। তখন তিনি ব্যস্ত হয়ে দাঁড়ালেন এবং কাপড় টেনে টেনে মসজিদে পৌঁছলেন। লোকজন একত্রিত হল। তিনি দু’রাক’আত সালাত আদায় করলেন। তখন সূর্য আলোকিত হয়ে গেল। এরপর আমাদের দিকে ফিরে বললেনঃ চন্দ্র ও সূর্য আল্লাহর নিদর্শনগুলোর দু’টি নিদর্শন, যখন তোমরা তাতে কোন কিছু হতে দেখবে, তখন সালাত আদায় করবে এবং আল্লাহর নিকট দু’আ করতে থাকবে, যতক্ষণ না তা উজ্জ্বল হয়ে যায়। (সহীহ বোখারী-৫৭৮৫)
সু-প্রিয় প্রশ্নকারী দ্বীনী ভাই/বোন!
নিজ দেশেই যে সূর্যগ্রহণ বা চন্দ্রগ্রহণ দেখে আমল করতে হবে এমন কোনো বিশেষণ হাদীসে আসেনি। হ্যা, এটা অবশ্যই ঠিক যে, জ্যোতির্বিদ্যার উপর নির্ভর করে সূর্যগ্রহণ বা চন্দ্রগ্রহণের আ'মল করা যাবে না।বরং পৃথিবীতে বাস্তবে দেখার পরই আ'মল করতে হবে। পৃথিবীর যেখানেই সূর্যগ্রহণ বা চন্দ্রগ্রহণ দেখা যাক না কেন, আ'মল চালিয়ে যেতে হবে। কেননা পৃথবীর যেখানেই গ্রহণ লাগুক না কেন, এর ক্ষতি সমস্ত মানব জাতির উপরই আসবে।