জবাবঃ-
وعليكم السلام ورحمة الله وبركاته
بسم الله الرحمن الرحيم
★সু-প্রিয় প্রশ্নকারী দ্বীনি ভাই/বোন,
আবু হুরায়রা রা. থেকে বর্ণিত-
خَرَجَ رَسُولُ اللهِ صَلّى اللهُ عَلَيْهِ وَسَلّمَ، فَإِذَا أُنَاسٌ فِي رَمَضَانَ يُصَلّونَ فِي نَاحِيَةِ الْمَسْجِدِ، فَقَالَ: مَا هَؤُلَاءِ؟، فَقِيلَ: هَؤُلَاءِ نَاسٌ لَيْسَ مَعَهُمْ قُرْآنٌ، وَأُبَيّ بْنُ كَعْبٍ يُصَلِّي، وَهُمْ يُصَلُّونَ بِصَلَاتِهِ، فَقَالَ النّبِيّ صَلَّى اللهُ عَلَيْهِ وَسَلّمَ: أَصَابُوا، وَنِعْمَ مَا صَنَعُوا.
একদা রাসূলে কারীম সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম কামরা থেকে বের হয়ে মসজিদে আসলেন। দেখেন, কিছু লোক মসজিদের এককোণে নামায পড়ছে। জিজ্ঞেস করলেন, এরা কী করছে? বলা হল, তারা নিজেরা কুরআনের হাফেয নয়, তাই উবাই ইবনে কা‘বের পিছনে নামায পড়ছে। তখন নবী কারীম সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বললেন, তারা ঠিক করেছে। কাজটা খুব ভালো হয়েছে।
(সুনানে আবু দাউদ, হাদীস ১৩৭৭,ইসলামীক ফাউন্ডেশন ১৩৭৭.বায়হাকী সুনান ২/১৯৫)
হাদীসটির সনদঃ জয়ীফ।
আবুল আলিয়া রাহ. থেকে বর্ণিত-
عَنْ أُبَيِّ بْنِ كَعْبٍ أَنّ عُمَرَ أَمَرَ أُبَيّا أَنْ يُصَلِّيَ بِالنّاسِ فِي رَمَضَانَ فَقَالَ إِنّ النّاسَ يَصُومُونَ النّهَار وَلَا يحسنون أَن يقرؤا فَلَوْ قَرَأْتَ الْقُرْآنَ عَلَيْهِمْ بِاللّيْلِ! فَقَالَ يَا أَمِيرَ الْمُؤْمِنِينَ! هَذَا شَيْءٌ لَمْ يَكُنْ، فَقَالَ قَدْ عَلِمْتُ، وَلَكِنّهُ أَحْسَنُ، فَصَلّى بِهِمْ عِشْرِينَ رَكْعَة.
উবাই ইবনে কা‘ব রা. বলেন, উমর রা. তাকে বললেন, মানুষেরা দিনের বেলা রোযা রাখে। (কিন্তু অনেকেই) সুন্দর করে কুরআন পড়তে পারে না। আপনি যদি তারাবীর নামাযের জামাত করতেন এবং তাদেরকে কুরআন পাঠ করে শোনাতেন (তাহলে ভালো হত)! তখন উবাই ইবনে কা‘ব রা. বললেন, হে আমীরুল মুমিনীন! এই আমল তো নবীজীর যুগে ছিল না! উমর রা. বললেন, আমি তা জানি। তবে, জামাত করলে ভালো হবে। তখন উবাই ইবনে কা‘ব রা. সাহাবীদের নিয়ে বিশ রাকাত তারাবী পড়লেন।
(আলআহাদীসুল মুখতারাহ, হাদীস ১১৬১; মুসনাদে আহমাদ ইবনে মানী‘-কানযুল উম্মাল (হাদীস ২৩৪৭১)
হাদীসটির সনদ হাসান।