জবাবঃ-
وعليكم السلام ورحمة الله وبركاته
بسم الله الرحمن الرحيم
আল্লাহ তাআলা বলেন,
وَقَرْنَ فِي بُيُوتِكُنَّ وَلَا تَبَرَّجْنَ تَبَرُّجَ الْجَاهِلِيَّةِ الْأُولَى
‘আর তোমরা স্বগৃহে অবস্থান করবে এবং জাহিলিয়াতযুগের মত নিজেদেরকে প্রদর্শন করে বেড়াবে না।’(সূরা আহযাব ৩৩)
রাসূলুল্লাহ ﷺ বলেন,
الْمَرْأَةُ عَوْرَةٌ ، وَإِنَّهَا إِذَا خَرَجَتِ اسْتَشْرَفَهَا الشَّيْطَانُ ، وَإِنَّهَا لا تَكُونُ أَقْرَبَ إِلَى اللَّهِ مِنْهَا فِي قَعْرِ بَيْتِهَا
‘নারী গোপন জিনিস, যখন সে ঘর থেকে বের হয় শয়তান তাকে তাড়া করে। আর সে আল্লাহ তাআলার সবচে’ নিকটতম তখন হয় যখন সে নিজের ঘরের মাঝে লুকিয়ে থাকে।’ (তাবরানী ২৯৭৪)
নারী মসজিদে যাওয়ার বিষয়ে রাসূলুল্লাহ ﷺ বলেন,وَبُيُوتُهُنَّ خَيْرٌ لَهُنَّ ‘তাদের জন্য তাদের ঘর উত্তম।’ (আবু দাউদ ৫৬৭)
الفتاوى الهندية (1/ 162، 163):
"الصلاة على الجنازة فرض كفاية إذا قام به البعض واحدا كان أو جماعة ذكرا كان أو أنثى سقط عن الباقين وإذا ترك الكل أثموا، هكذا في التتارخانية ... ولا حق للنساء في الصلاة على الميت ولا للصغار."
(کتاب الصلاۃ، الباب الحادی والعشرون فی الجنائز،الفصل الخامس في الصلاة على الميت، ط: رشیدیه)
সারমর্মঃ-
জানাযার নামাজ ফরজে কিফায়াহ।
কিছু মানুষ (পুরুষ হোক বা নারী হোক) জানাযা নামাজ আদায় করলেই বাকি দের থেকে নামাজ সাকেত হয়ে যাবে। যদি কেহই আদায় না করে,সেক্ষেত্রে সকলেই গুনাহগার হবে। মহিলাদের জন্য জানাযার নামাজে অংশগ্রহণ এর অধিকার নেই।
★সু-প্রিয় প্রশ্নকারী দ্বীনি ভাই/বোন,
জানাযার নামাজ পুরুষদের পড়া উচিত।
মহিলাদের নয়।
তদুপরি কোনো মহিলা যদি জানাযা নামাজে শরীক হয়ে যায়,সেক্ষেত্রে তার নামাজ হয়ে যাবে।
এটাই হানাফি মাযহাবের মত।