আইফতোয়াতে ওয়াসওয়াসা সংক্রান্ত প্রশ্নের উত্তর দেওয়া হবে না। ওয়াসওয়াসায় আক্রান্ত ব্যক্তির চিকিৎসা ও করণীয় সম্পর্কে জানতে এখানে ক্লিক করুন

0 votes
142 views
in সাওম (Fasting) by (5 points)

১)  আমি আমার ঘরকেই সুন্নাত ইতিকাফের স্থান হিসেবে নিয়ত করেছি। 

https://ifatwa.info/17205#:~:text=(%E0%A7%A6%E0%A7%AC),%E0%A6%95%E0%A6%A5%E0%A6%BE%E0%A6%93%20%E0%A6%AC%E0%A6%B2%E0%A6%A4%E0%A7%87%20%E0%A6%AA%E0%A6%BE%E0%A6%B0%E0%A6%AC%E0%A7%87%E0%A5%A4

এই প্রশ্নোত্তরে বলা হয়েছেঃ “(০৬) পরিবারের সদস্য ইতিকাফরত ব্যক্তির পাশে মেঝেতে নামাজ পড়তে পারবে। তার সাথে কথাও বলতে পারবে।”

https://ifatwa.info/12991#:~:text=%E0%A6%AE%E0%A6%B9%E0%A6%BF%E0%A6%B2%E0%A6%BE%20%E0%A6%8F%27%E0%A6%A4%E0%A7%87%E0%A6%95%E0%A6%BE%E0%A6%AB%E0%A7%87%20%E0%A6%A5%E0%A6%BE%E0%A6%95%E0%A6%BE%E0%A6%AC%E0%A6%B8%E0%A7%8D%E0%A6%A5%E0%A6%BE%E0%A7%9F%20%E0%A6%AC%E0%A6%BE%E0%A6%AC%E0%A6%BE%20%E0%A6%AC%E0%A6%BE%20%E0%A6%AC%E0%A6%A1%E0%A6%BC%20%E0%A6%95%E0%A7%87%E0%A6%89%20%E0%A6%95%E0%A6%A5%E0%A6%BE%20%E0%A6%AC%E0%A6%B2%E0%A6%A4%E0%A7%87%20%E0%A6%86%E0%A6%B8%E0%A6%B2%E0%A7%87%20%E0%A6%95%E0%A6%A5%E0%A6%BE%20%E0%A6%AC%E0%A6%B2%E0%A6%BE%20%E0%A6%AF%E0%A6%BE%E0%A6%AC%E0%A7%87%20%E0%A6%A8%E0%A6%BE%E0%A5%A4

এই প্রশ্নোত্তরে বলা হয়েছেঃ “মহিলা এ'তেকাফে থাকাবস্থায় বাবা বা বড় কেউ কথা বলতে আসলে কথা বলা যাবে না।”

আমার বাবা খাবার দিতে আসলে আমি খাবার প্রসঙ্গে কথা বলেছি। এতে কি ইতিকাফ ফাসিদ হয়েছে?

 

২) টয়লেট থেকে আসার পথে ডাইনিং রুম। ডাইনিং টেবিলে আমার খাবার বেড়ে দিচ্ছিল তখন টয়লেট থেকে আমার ঘরে আসতে আসতে আমি খাবারের দিক নির্দেশনা দিয়েছি। এতে কি ইতিকাফ ফাসিদ হয়েছে?

 

৩) আজ ভোরে পাশের ঘরে কিছু ১টার শব্দ হয়। মনে হচ্ছিল চোর/কিছু ১টা ঘরে ঢোকার চেষ্টা করতেছে। তখন সবাই ঘুমিয়ে। ১টা ক্ষতির আশংকা হচ্ছিলো। আমার কিছুটা ওয়াসওয়াসার সমস্যা আছে। তাছাড়া ভোরে চোখে ঘুম চলে আসছিলো। আমার রুম থেকে বের হয়েই অল্প কিছু জায়গায় গিয়েছি। টয়লেটে যাতায়াতের পথে এই জায়গাটুকু পরে। কয়েক মুহূর্তেই মনে পরে আমি ইতিকাফে আছি। মনে পরতেই তৎক্ষণাত আমার ঘরে চলে আসি। এতে কি ইতিকাফ ফাসিদ হয়েছে?

 

৪) ফরজ রোজায় ভুল করে খাবার খেলেওতো রোজা ভাঙে না। এটা আমার প্রথম ইতিকাফ। যা ভুল ত্রুটি আছে আমি আল্লাহর নিকট ক্ষমার আশা রাখি। সুন্নাত ইতিকাফ করার মতো সময় ম্যানেজ করা খুব কঠিন। এবার আল্লহ সব মিলিয়ে সুযোগ করে দিয়েছিলেন। এক্ষেত্রে আমার করণীয় কি?

 

৫) এখন আমি সুন্নাত ইতিকাফ হিসেবে এই রমাদানের শেষ দিন পর্যন্ত ইতিকাফ সম্পন্ন করতে চাই। যদি ইতিকাফ ভেঙেই যায় তাতে যে ১দিন কাযা ইতিকাফ করতে হয়। প্রয়োজনে সেটা আমি রমাদানের পর ১দিন করে নিলাম।

1 Answer

0 votes
by (567,180 points)
জবাবঃ-
بسم الله الرحمن الرحيم

হাদীস শরীফে এসেছেঃ

حَدَّثَنَا وَهْبُ بْنُ بَقِيَّةَ، أَخْبَرَنَا خَالِدٌ، عَنْ عَبْدِ الرَّحْمَنِ، - يَعْنِي ابْنَ إِسْحَاقَ - عَنِ الزُّهْرِيِّ، عَنْ عُرْوَةَ، عَنْ عَائِشَةَ، أَنَّهَا قَالَتِ السُّنَّةُ عَلَى الْمُعْتَكِفِ أَنْ لاَ يَعُودَ مَرِيضًا وَلاَ يَشْهَدَ جَنَازَةً وَلاَ يَمَسَّ امْرَأَةً وَلاَ يُبَاشِرَهَا وَلاَ يَخْرُجَ لِحَاجَةٍ إِلاَّ لِمَا لاَ بُدَّ مِنْهُ وَلاَ اعْتِكَافَ إِلاَّ بِصَوْمٍ وَلاَ اعْتِكَافَ إِلاَّ فِي مَسْجِدٍ جَامِعٍ


ওয়াহব  ইবন  বাকীয়্যা ......... আয়েশা  (রাঃ)  হতে  বর্ণিত।  তিনি বলেন,  ই‘তিকাফের  জন্য  সুন্নাত  এই  যে,  সে  যেন  কোন  রোগীর  পরিচর্যার  জন্য  গমন  না  করে,  জানাযার  নামাযে  শরীক  না  হয়,  স্ত্রীকে  স্পর্শ  না  করে  এবং  তার  সাথে  সহবাস  না  করে।  আর  সে  যেন  বিশেষ  প্রয়োজন  ব্যতীত  মসজিদ  হতে  বের  না  হয়।  রোযা  ব্যতীত  ই‘তিকাফ  নেই  এবং  জামে  মসজিদ  ব্যতীত  ই‘তিকাফ  শুদ্ধ  নয়।
(আবু দাউদ ২৪৬৫)

হাদীস শরীফে এসেছেঃ

أَنَّ عَائِشَةَ رَضِيَ اللَّهُ عَنْهَا – زَوْجَ النَّبِيِّ صَلَّى اللهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ – قَالَتْ: وَإِنْ كَانَ رَسُولُ اللَّهِ صَلَّى اللهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ «لَيُدْخِلُ عَلَيَّ رَأْسَهُ وَهُوَ فِي المَسْجِدِ، فَأُرَجِّلُهُ، وَكَانَ لاَ يَدْخُلُ البَيْتَ إِلَّا لِحَاجَةٍ إِذَا كَانَ مُعْتَكِفًا»

আম্মাজান আয়শা রাঃ বলেন, রাসূল সাঃ মসজিদে থাকা অবস্থায় আমার দিকে মাথা বাড়িয়ে দিতেন আর আমি তা আঁচড়িয়ে দিতাম এবং তিনি যখন ইতিকাফে থাকতেন, তখন [প্রাকৃতিক] প্রয়োজন ছাড়া ঘরে প্রবেশ করতেন না। {বুখারী, হাদীস নং-২০২৯, ১৯২৫, ১৯০২}

ইতেকাফরত অবস্থায় বান্দা নিজেকে আল্লাহর ইবাদতের জন্য দুনিয়ার অন্যান্য সকল বিষয় থেকে আলাদা করে নেয়। ঐকান্তিকভাবে মশগুল হয়ে পড়ে আল্লাহর নৈকট্য অর্জনের নিরন্তর সাধনায়। এতেকাফ ঈমান বৃদ্ধির একটি মূখ্য সুযোগ। সকলের উচিত এ সুযোগ কাজে লাগিয়ে নিজের ঈমানী চেতনাকে প্রাণিত করে তোলা ও উন্নতর পর্যায়ে পৌছেঁ দেয়ার চেষ্টা করা।
কুরআনুল কারিমে বিভিন্নভাবে ইতেকাফ সম্পর্কে বর্ণনা এসেছে। আল্লাহ্ তায়ালা বলেন, আমি ইবরাহীম ও ইসমাইলকে আদেশ করলাম, তোমরা আমার গৃহকে তাওয়াফকারী, এতেকাফকারী ও রুকু-সেজদাকারীদের জন্য পবিত্র করো। (বাকারাহ-125)
আল্লাহ তা‘আলা আরো বলেন, তোমরা মসজিদে এতেকাফ কালে স্ত্রীদের সাথে মেলামেশা করো না। (বাকারাহ-187)
রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লামের অসংখ্য হাদীস এতেকাফ সম্পর্কে বর্ণিত হয়েছে, তার মধ্য হতে কিছু হাদীস নিচে উল্লেখ করা হল:
রসুলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম রমজানের শেষ দশ দিন এতেকাফ করতেন। (বুখারি-2025)
রসুলুল্লাহ (সাঃ) রমজানের শেষের দশকে এতেকাফ করেছেন, ইন্তেকাল পর্যন্ত। এরপর তাঁর স্ত্রী গণ এতেকাফ করেছেন। (বুখারি-2026)
রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম প্রতি রমজানে দশ দিন এতেকাফ করতেন, তবে যে বছর তিনি পরলোকগত হন, সে বছর তিনি বিশ দিন এতেকাফে কাটান। (তিরমিযী-808)

উত্তম হল নফল ইবাদত বেশী বেশী করা। যেমন সলাত আদায়, কুরআন তিলাওয়াত, যিকির-আযকার, তাসবীহ-তাহলীল তথা সুবহানাল্লাহ, আল-হামদুলিল্লাহ, লা ইলাহা ইল্লাল্লাহ, আল্লাহু আকবার, তাওবাহ-ইস্তেগফার, দু‘আ, দুরূদ ইত্যাদি ইবাদতে সর্বাধিক সময় মশগুল থাকা। 

তাছাড়া শরীয়া বিষয়ক ইলম চর্চা করা।
পার্থিব ব্যাপারে কথাবার্তা বলা, অনর্থক গল্পগুজব ও আলোচনা থেকে বিরত থাকা উচিত, তবে পারিবারিক কল্যাণর্থে বৈধ কোন বিষয়ে অল্পস্বল্প কথাবার্তা বলার মধ্যে কোন দোষ নেই।

ইতিকাফ যে সকল কারণে ভঙ্গ হয়ে যায় তা হলো :
১. স্বেচ্ছায় বিনা প্রয়োজনে মাসজিদ থেকে বের হলে।
২. কোন শিরক বা কুফরী কাজ করলে।
৩. পাগল বা বেঁহুশ হয়ে গেলে।
৪. নারীদের হায়েয-নিফাস শুরু হয়ে গেলে।
৫. স্ত্রীসহবাস বা যে কোন প্রকার যৌনসম্ভোগ করলে।

বিস্তারিত জানুনঃ- 

★সু-প্রিয় প্রশ্নকারী দ্বীনি বোন,
(০১)
এতে আপনার ইতেকাফ ফাসেদ হয়ে যায়নি।

(০২)
এক্ষেত্রে চলন্ত অবস্থায় থাকলে ইতেকাফ ফাসেদ হয়নি।

অন্যথায় ইতেকাফ ফাসেদ হয়ে গিয়েছে। 

(০৩)
এতে আপনার ইতেকাফ ফাসেদ হয়ে গিয়েছে। 
(০৪)
যেহেতু আপনার ইতেকাফ ফাসেদ হয়ে গিয়েছে,সুতরাং এক দিন এক রাতের ইতেকাফ কাজা হিসেবে আদায় করতে হবে।

(০৫)
হ্যাঁ,এভাবে ইতেকাফ করতে পারেন।
সেটি নফল ইতেকাফ হবে।
চাইলে এক দিন এক রাতের ইতেকাফ এর কাজা রমাদানের বাহিরেও আদায় করতে পারেন।
চাইলে রমাদানের ভিতরেও কাজা আদায় করতে পারেন।

যেদিনেই ইতেকাফের কাজা আদায় করুন,সেদিন রোযা রাখা আবশ্যক। 


(আল্লাহ-ই ভালো জানেন)

------------------------
মুফতী ওলি উল্লাহ
ইফতা বিভাগ
Islamic Online Madrasah(IOM)

by (5 points)
reshown by
ইতিকাফ ফাসেদ হওয়ায় কি কোনোই সওয়াব পাওয়া যায় না? সুন্নত ইতিকাফ ফাসেদ হয়ে যাওয়ায় কেউ পরবর্তীতে কোনো একদিন মাগরিবের আগে থেকে শুরু করে পরের দিন মাগরিব পর্যন্ত কাজা ইতিকাফ আদায় করলো ও রোযা রাখলো। সেক্ষেত্রে সওয়াবের ফয়সালা কি? কাজা আদায় করলেও কি ইতিকাফের কোনোই সওয়াব পাওয়া যায় না?
by (567,180 points)
ছওয়াব হবে। তবে সুন্নাত ইতেকাফ আদায়ের পূর্ণাঙ্গ ছওয়াব মিলবেনা।

আই ফতোয়া  ওয়েবসাইট বাংলাদেশের অন্যতম একটি নির্ভরযোগ্য ফতোয়া বিষয়ক সাইট। যেটি IOM এর ইফতা বিভাগ দ্বারা পরিচালিত।  যেকোন প্রশ্ন করার আগে আপনার প্রশ্নটি সার্চ বক্সে লিখে সার্চ করে দেখুন। উত্তর না পেলে প্রশ্ন করতে পারেন। আপনি প্রতিমাসে সর্বোচ্চ ৪ টি প্রশ্ন করতে পারবেন। এই প্রশ্ন ও উত্তরগুলো আমাদের ফেসবুকেও শেয়ার করা হবে। তাই প্রশ্ন করার সময় সুন্দর ও সাবলীল ভাষা ব্যবহার করুন।

বি.দ্র: প্রশ্ন করা ও ইলম অর্জনের সবচেয়ে ভালো মাধ্যম হলো সরাসরি মুফতি সাহেবের কাছে গিয়ে প্রশ্ন করা যেখানে প্রশ্নকারীর প্রশ্ন বিস্তারিত জানার ও বোঝার সুযোগ থাকে। যাদের এই ধরণের সুযোগ কম তাদের জন্য এই সাইট। প্রশ্নকারীর প্রশ্নের অস্পষ্টতার কারনে ও কিছু বিষয়ে কোরআন ও হাদীসের একাধিক বর্ণনার কারনে অনেক সময় কিছু উত্তরে ভিন্নতা আসতে পারে। তাই কোনো বড় সিদ্ধান্ত এই সাইটের উপর ভিত্তি করে না নিয়ে বরং সরাসরি স্থানীয় মুফতি সাহেবদের সাথে যোগাযোগ করতে হবে।

Related questions

...