ওয়া আলাইকুমুস-সালাম ওয়া রাহমাতুল্লাহি ওয়া বারাকাতুহু।
বিসমিল্লাহির রাহমানির রাহিম।
জবাব
(১) জমিন থেকে যা কিছু উৎপাদিত হয়।চায় একসের হোক, ইমাম আবু-হানিফা রাহ এর মতানুসারে তাতে উশুর অর্থ্যাৎ দশ ভাগের এক ভাগ ফরয হবে।
অর্থ্যাৎ দশ ভাগের একভাগ আল্লাহর রাস্তায় দেওয়া ফরয। বৎসরে যতবার-ই ফসল উৎপাদিত তাতে উশুর আসবে।যদি প্রাকৃতিক পানি দিয়ে চাষ করা হয়, তাহলে এ হুকুম। কিন্তু যদি মেশিনেরর পানি দিয়ে জমি চাষ করা হয় তাহলে নিসফে উশর অর্থ্যাৎ বিশ ভাগের এক ভাগ ফরয হবে।
ﻭَﺁﺗُﻮﺍْ ﺣَﻘَّﻪُ ﻳَﻮْﻡَ ﺣَﺼَﺎﺩِﻩ
এবং হক্ব আদায় কর ফসল কর্তনের সময়।(সূরা, আন'আম-১৪১)
হযরত আব্দুল্লাহ ইবনে উমর রাঃ থেকে বর্ণিত,
ﻋﻦ ﻋَﺒْﺪِ ﺍﻟﻠَّﻪِ ﺑﻦ ﻋﻤﺮ ﺭَﺿِﻲَ ﺍﻟﻠَّﻪُ ﻋَﻨْﻬُﻤﺎ ﻋَﻦْ ﺍﻟﻨَّﺒِﻲِّ ﺻَﻠَّﻰ ﺍﻟﻠَّﻪُ ﻋَﻠَﻴْﻪِ ﻭَﺳَﻠَّﻢَ ﻗَﺎﻝَ : ( ﻓِﻴﻤَﺎ ﺳَﻘَﺖْ ﺍﻟﺴَّﻤَﺎﺀُ ﻭَﺍﻟْﻌُﻴُﻮﻥُ ﺃَﻭْ ﻛَﺎﻥَ ﻋَﺜَﺮِﻳًّﺎ ﺍﻟْﻌُﺸْﺮُ ، ﻭَﻣَﺎ ﺳُﻘِﻲَ ﺑِﺎﻟﻨَّﻀْﺢِ ﻧِﺼْﻒُ ﺍﻟْﻌُﺸْﺮ- ﺍﻟﺒﺨﺎﺭﻱ ( 1483 )
নবীজী সাঃ বলেন,যে জমি আকাশের পানি অথবা ঝরনার পানি দ্বারা উৎপাদিত হয় অথবা পানির লেয়ার যুক্ত জমিনে মাঠির নিচের পানি দ্বারা উৎপাদিত হয়।
তাতে উশর(১০%) ওয়াজিব হবে। এবং যে জমি সিঞ্চিত পানি দ্বারা উৎপাদিত হবে, তাতে নিসফ উশর(২০%) ওয়াজিব হবে। এ সম্পর্কে বিস্তারিত জানতে ক্লিক করুন-
6219
সু-প্রিয় প্রশ্নকারী দ্বীনী ভাই/বোন!
ধান কর্তনের সময় কিছু নির্দিষ্ট পরিমাণ ধান মসজিদের জন্য বরাদ্দ রাখলে সেটা উশর হিসেবে গণ্য হবে না।কেননা উশরের খাত হল যাকাতের খাতের মতই। সুতরাং মসজিদে উশর দিলে আদায় হবে না। হ্যা, মাদরাসার গরীব ছাত্রদের উদ্দেশ্যকে উশর দিলে সেটা আদায় হবে। এ সম্পর্কে বিস্তারিত জানতে ক্লিক করুন-
699
في الفتاوی شامية:
"مصرف الزكاة و العشر هو فقیر، و مسکین."
وتحته في الشامي:
"و هو مصرف أیضًا لصدقة الفطر و الکفارة، و النذر و غیر ذلك من الصدقات الواجبة." (باب المصرف، 2/339) ط: سعید)
(২)
যদি কেউ এইভাবে নিয়ত করে যে, 'যদি আমার এই গাছে ফল আসে, তাহলে প্রথম ফলটা আমি মসজিদে দান করবো।' তাহলে তার এই নিয়ত মান্নতের অন্তর্ভুক্ত হবে। মসজিদে দান করলে সেটা আদায় হবে না। বরং যাকাত গ্রহণের উপযুক্ত ব্যক্তিকেই সেটা দিতে হবে।