জবাবঃ-
وعليكم السلام ورحمة الله وبركاته
بسم الله الرحمن الرحيم
নামাজে কুরআন-সুন্নাহে বর্ণিত দোয়া করা যাবে। বা কুরআনে বা হাদিসে আছে এমন দুআর সমার্থক শব্দের দুআ করা যাবে। বা আখেরাতের জন্য দুআ করা যাবে। কিন্তু দুনিয়াবী দুআ করা যাবে না। আরবি ছাড়া অন্য ভাষায়ও দুআ করা যাবে না।
দুনিয়াবী দোয়া করলে বা আরবি ছাড়া অন্য ভাষায় দুআ করলে নামায ভেঙ্গে যাবে। দুনিয়াবী দোয়া-যেমন হে আল্লাহ! আমাকে এক লাখ টাকা দান করেন। আখেরাতের জন্য দোয়া যেমন-হে আল্লাহ আমাকে জান্নাত দান করেন।
অন্য ভাষায় দোয়া করলে নামাজ হবে না। বরং দোয়া আরবি ভাষায়, বা কুরআন ও হাদিসে বর্ণিত দোয়াই কেবল করা যাবে। নামাজে দোয়া করতে হলে আরবি দোয়াই করা এটিই বিধান।
(আদদুররুল মুখতার-২/২৩৩-২৩৪, ফতোয়ায়ে হিন্দিয়া,২/৩, বাহরুর রায়েক-১/৫৭৬)
সেজদায় গিয়ে سبحان ربي الأعلى
ছাড়াও অন্যান্য দোয়া পড়া যাবে। সমস্যা নেই। কিন্তু দুনিয়াবি দোয়া বা আরবী ছাড়া অন্য কোন ভাষায় দুআ করা যাবে না।
রাসুলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম সেজদায় দোয়া পাঠ করতেন।
عَنْ أَبِى هُرَيْرَةَ أَنَّ النَّبِىَّ -صلى الله عليه وسلم- كَانَ يَقُولُ فِى سُجُودِهِ « اللَّهُمَّ اغْفِرْ لِى ذَنْبِى كُلَّهُ دِقَّهُ وَجِلَّهُ وَأَوَّلَهُ وَآخِرَهُ
হযরত আবু হুরায়রা রাঃ থেকে বর্ণিত। রাসূল সাঃ সেজদায় পড়তেন আল্লাহুম্মাগফিরলি জামবি’ কুল্লাহু দিক্কাহু ওয়া জিল্লাহু ওয়া আওয়ালাহু ওয়া আখিরাহু”। {তাহাবী শরীফ, হাদিস নং-১৩০৭, সুনানে আবু দাউদ, হাদিস নং-৮৭৮, সহীহ মুসলিম, হাদিস নং-১১১২, সহীহ ইবনে খুজাইমা, হাদিস নং-৬৭২, সহীহ ইবনে হিব্বান, হাদিস নং-১৯৩১}
★সুতরাং আপনি নামাযের বাহিরে দু'আ করবেন, অথবা আপনি আপনার অন্তরে সেই বিশেষ বিষয়কে উপস্থিত রেখে মুজমাল দু'আ যাতে দুনিয়া আখেরাতের সকল প্রকার কল্যাণ রয়েছে,যেমন "রাব্বানা আতিনা ফিদ-দুনিয়া ওয়াল আখিরাহ" কুরআন-হাদীসে বর্ণিত এমন দু'আ করতে পারবেন।নফল সালাতে বাংলায় দু'আ সম্পর্কে কেউ কেউ রুখসত দিয়ে থাকেন।
বিস্তারিত জানুন
★সু-প্রিয় প্রশ্নকারী দ্বীনি ভাই/বোন,
(০১)
হ্যাঁ, উক্ত দোয়া গুলি করা যাবে।
(০২)
উক্ত দুয়া ফরজ এবং সুন্নত নামাজের সিজদাহ্তে এবং সালাম ফেরানোর আগে করা যাবে।
(০৩)
কুরআন হাদীসের দোয়া থাকলে সেগুলো করা যাবে।
(০৪)
তিরমিজি শরীফ সহ হাদীস গ্রন্থ গুলির দোয়া সংক্রান্ত অধ্যায় দেখার পরামর্শ রইলো।
(০৫)
"দৈনন্দিন জীবনে সুন্নাত" "দৈনন্দিন জীবনে প্রিয় নবির প্রিয় সুন্নাত" এ সংক্রান্ত অনেক কিতাব লাইব্রেরীতে আছে।
সেগুলো ক্রয় করতে পারেন।
(০৬)
এভাবে নামাজ হয়ে যাবে।
তবে একই রাকাতে নিয়মিত এমনটি করবেননা।
নামাজের আগে তিলাওয়াতের অংশ ভালোভাবে দেখে নিয়ে নামাজ আদায় করবেন।
তাহলে আর পরের আয়াত ভুলে যাবেননা,ইনশাআল্লাহ।
(০৭)
প্রশ্নে উল্লেখ রয়েছেঃ-
" ৫ মাস ধরে জমানো নগদ টাকা আছে ১৬০০০ এর মতো"
৫ মাসের আগে কি আপনার কাছে দৈনন্দিন প্রয়োজন অতিরিক্ত ১০ টাকাও ছিলোনা?
যদি থাকে,তাহলে দৈনন্দিন প্রয়োজন অতিরিক্ত টাকা (অল্প হলেও) কবে থেকে আপনার কাছে ছিলো?
যেদিন ছিলো,সেদিন থেকে আপনি নেসাবের মালিক হয়েছেন। সেদিন হতে আরবী এক বছর পূর্ণ হলেও আপনার উপর যাকাত ফরজ।