ওয়া আলাইকুমুস-সালাম ওয়া রাহমাতুল্লাহি ওয়া বারাকাতুহু।
বিসমিল্লাহির রাহমানির রাহিম।
জবাবঃ-
আলহামদুলিল্লাহ!
মহান আল্লাহ তায়ালা ইরশাদ করেনঃ
وَالَّذِينَ هُمْ لِأَمَانَاتِهِمْ وَعَهْدِهِمْ رَاعُونَ
(মুসলমান তারা) যারা আমানতের হেফাজত করে, অঙ্গীকারসমূহ রক্ষা করে। (সূরা মুমিনূন ২৩/৮)
নবীজী তার অধিকাংশ ভাষণে বলতেন,
لَا إِيمَانَ لِمَنْ لَا أَمَانَةَ لَهُ، وَلَا دِينَ لِمَنْ لَا عَهْدَ لَهُ
শুনে রাখো! যার ভিতর আমানতদারিতার গুণ নেই, তার ভিতর যেন ঈমানও নেই, যার ভিতর ওয়াদা রক্ষার বালাই নেই, তার ভিতর ধর্মের কোনো বৈশিষ্ট্যই নেই! (মুসনাদে আহমদ, হাদীস নং ১২৩৮৩)
অন্য একটি হাদীসে নবীজী এরশাদ করেন,
آيَةُ المُنَافِقِ ثَلاَثٌ: إِذَا حَدَّثَ كَذَبَ، وَإِذَا وَعَدَ أَخْلَفَ، وَإِذَا اؤْتُمِنَ خَانَ
মোনাফেকের আলামত তিনটি, মিথ্যা বলা, আমানতের খেয়ানত করা ও ওয়াদা করে খেলাপ করা। (সহীহ বুখারী, হাদীস নং ৩৩)
সু-প্রিয় প্রশ্নকারী দ্বীনী ভাই/বোন!
যেহেতু একজন লোক আপনাদের নিকট আমানত রেখে গেছে, এবং আপনারা গ্রহণ করে রেখেছেন, তাই আপনাদের দায়িত্ব ও কর্তব্য হল, যথাসম্ভব হেফাজত করা। সবজি যেহেতু বেশীদিন থাকবে না, তাই কাউকে দিয়ে দিতে পারবেন। মাছ যেহেতু ফ্রিজে রাখতে পারবেন, তাই মাছকে ততদিন পর্যন্ত হেফাজতে রেখে ঐ ব্যক্তির অপেক্ষা করবেন,যতদিন মাছ নষ্ট হবে না।