আইফতোয়াতে ওয়াসওয়াসা সংক্রান্ত প্রশ্নের উত্তর দেওয়া হবে না। ওয়াসওয়াসায় আক্রান্ত ব্যক্তির চিকিৎসা ও করণীয় সম্পর্কে জানতে এখানে ক্লিক করুন

0 votes
76 views
in বিবিধ মাস’আলা (Miscellaneous Fiqh) by (5 points)
আস সালামু আলাইকুম।মুহতারাম ১০-১২ দিন আগে সকালে একজন মিসকীন আমাদের বাসায় সাহায্য চাওয়ার জন্য আসে। উনাকে আমার চেনা মনে হয়েছিল। কিন্তু চেহারাটা এখন মনে পড়ছে না।কেউ একজন উনাকে মাছ ও সবজি দিয়েছিল। উনি সেগুলো আমাকে ফ্রিজে রাখতে বলে আর বলে পরে নিয়ে যাবে। কিন্তু উনি আর নিতে আসেন নি। মাঝে মাঝেই আমাদের ফ্রিজে সাধারণত একজন মানুষ কিছু রাখে আবার নিয়ে যায় । আমি ভেবেছিলাম উনিই সেই হিসেবে রেখেছিলাম। কিন্তু ঐ পরিচিত মিসকীনকে জিজ্ঞাসা ও দেখানোর পর উনি বললেন এগুলো আমার না।

সবজি গুলো তো পঁচে যাচ্ছে আর যার জিনিস সেও নিতে আসছে না। এমতাবস্থায় কি সবজিগুলো অন্য মিসকীনকে দেয়া যাবে?নাহলে তো পঁচে যাবে কিছু পঁচেও গেছে। এগুলো ফেলে দিতে হবে।আর কাউকে দিয়ে দেয়ার পর যদি উনি আসেন তখন তো আর সেইম সেই সবজিগুলো উনাকে আর দেয়া যাবে না। তখন কি উনাকে নতুন করে কিনে দিতে হবে?মাছ নাহয় রাখা যাবে সবজি তো রাখা যাবে না।আর যদি একদমই কেউ নিতে না আসে তখন কি করব? আর কতদিন পর্যন্ত অপেক্ষা করব?

1 Answer

0 votes
by (589,260 points)
ওয়া আলাইকুমুস-সালাম ওয়া রাহমাতুল্লাহি ওয়া বারাকাতুহু। 
বিসমিল্লাহির রাহমানির রাহিম।
জবাবঃ-
আলহামদুলিল্লাহ!
মহান আল্লাহ তায়ালা ইরশাদ করেনঃ
وَالَّذِينَ هُمْ لِأَمَانَاتِهِمْ وَعَهْدِهِمْ رَاعُونَ
(মুসলমান তারা) যারা আমানতের হেফাজত করে, অঙ্গীকারসমূহ রক্ষা করে। (সূরা মুমিনূন ২৩/৮)

নবীজী তার অধিকাংশ ভাষণে বলতেন,
لَا إِيمَانَ لِمَنْ لَا أَمَانَةَ لَهُ، وَلَا دِينَ لِمَنْ لَا عَهْدَ لَهُ
শুনে রাখো! যার ভিতর আমানতদারিতার গুণ নেই, তার ভিতর যেন ঈমানও নেই, যার ভিতর ওয়াদা রক্ষার বালাই নেই, তার ভিতর ধর্মের কোনো বৈশিষ্ট্যই নেই! (মুসনাদে আহমদ, হাদীস নং ১২৩৮৩)

অন্য একটি হাদীসে নবীজী এরশাদ করেন,
آيَةُ المُنَافِقِ ثَلاَثٌ: إِذَا حَدَّثَ كَذَبَ، وَإِذَا وَعَدَ أَخْلَفَ، وَإِذَا اؤْتُمِنَ خَانَ
মোনাফেকের আলামত তিনটি, মিথ্যা বলা, আমানতের খেয়ানত করা ও ওয়াদা করে খেলাপ করা। (সহীহ বুখারী, হাদীস নং ৩৩)

সু-প্রিয় প্রশ্নকারী দ্বীনী ভাই/বোন!
যেহেতু একজন লোক আপনাদের নিকট আমানত রেখে গেছে, এবং আপনারা গ্রহণ করে রেখেছেন, তাই আপনাদের দায়িত্ব ও কর্তব্য হল, যথাসম্ভব হেফাজত করা। সবজি যেহেতু বেশীদিন থাকবে না, তাই কাউকে দিয়ে দিতে পারবেন। মাছ যেহেতু ফ্রিজে রাখতে পারবেন, তাই মাছকে ততদিন পর্যন্ত হেফাজতে রেখে ঐ ব্যক্তির অপেক্ষা করবেন,যতদিন মাছ নষ্ট হবে না।


(আল্লাহ-ই ভালো জানেন)

--------------------------------
মুফতী ইমদাদুল হক
ইফতা বিভাগ
Islamic Online Madrasah(IOM)

আই ফতোয়া  ওয়েবসাইট বাংলাদেশের অন্যতম একটি নির্ভরযোগ্য ফতোয়া বিষয়ক সাইট। যেটি IOM এর ইফতা বিভাগ দ্বারা পরিচালিত।  যেকোন প্রশ্ন করার আগে আপনার প্রশ্নটি সার্চ বক্সে লিখে সার্চ করে দেখুন। উত্তর না পেলে প্রশ্ন করতে পারেন। আপনি প্রতিমাসে সর্বোচ্চ ৪ টি প্রশ্ন করতে পারবেন। এই প্রশ্ন ও উত্তরগুলো আমাদের ফেসবুকেও শেয়ার করা হবে। তাই প্রশ্ন করার সময় সুন্দর ও সাবলীল ভাষা ব্যবহার করুন।

বি.দ্র: প্রশ্ন করা ও ইলম অর্জনের সবচেয়ে ভালো মাধ্যম হলো সরাসরি মুফতি সাহেবের কাছে গিয়ে প্রশ্ন করা যেখানে প্রশ্নকারীর প্রশ্ন বিস্তারিত জানার ও বোঝার সুযোগ থাকে। যাদের এই ধরণের সুযোগ কম তাদের জন্য এই সাইট। প্রশ্নকারীর প্রশ্নের অস্পষ্টতার কারনে ও কিছু বিষয়ে কোরআন ও হাদীসের একাধিক বর্ণনার কারনে অনেক সময় কিছু উত্তরে ভিন্নতা আসতে পারে। তাই কোনো বড় সিদ্ধান্ত এই সাইটের উপর ভিত্তি করে না নিয়ে বরং সরাসরি স্থানীয় মুফতি সাহেবদের সাথে যোগাযোগ করতে হবে।

No related questions found

...