আইফতোয়াতে ওয়াসওয়াসা সংক্রান্ত প্রশ্নের উত্তর দেওয়া হবে না। ওয়াসওয়াসায় আক্রান্ত ব্যক্তির চিকিৎসা ও করণীয় সম্পর্কে জানতে এখানে ক্লিক করুন

0 votes
252 views
in সাওম (Fasting) by (66 points)
আসসালামু আলাইকুম ওয়া রহমাতুল্লাহি ওয়া বারাকাতুহ।

1. আমার ঠাণ্ডা লাগার সমস্যা আছে, তাই মেনথলের ভাপ নেওয়া লাগে। আমি যদি রোজা থাকা অবস্থায় মেনথল নেই তাহলে কি রোজা ভেঙ্গে যাবে?

2. একজন মেয়ের বিয়ে ভেঙ্গে যায় ছেলের মা মেয়েকে পছন্দ করেনি তাই। কিন্তু ছেলে মেয়ে একে অপরকে পছন্দ করেছিল(জাস্ট পছন্দ করেছিল, হারাম কিছু হয়নি আলহামদুলিল্লাহ)। এখন যদি সেই মেয়েটা আল্লাহর কাছে এভাবে দুয়া করে যে, "হে আল্লাহ দুনিয়াতে আমি তো তাকে স্বামী হিসেবে পাইনি। যদি আমি অবিবাহিত অবস্থায় মারা যাই তবে তুমি তাকে জান্নাতে আমার স্বামী হিসেবে দিও।" এরকম দুয়া করাটা কি শরীয়া মোতাবেক হালাল হবে?

1 Answer

0 votes
by (589,140 points)

ওয়া আলাইকুমুস-সালাম ওয়া রাহমাতুল্লাহি ওয়া বারাকাতুহু।
বিসমিল্লাহির রাহমানির রাহিম।
জবাবঃ-
আলহামদুলিল্লাহ!
(১)
সাওম অবস্থায় ইনহেলার বা মেনথল কিংবা এ জাতীয় ঔষধাদি ব্যবহারের ফলে সাওম ফাসিদ হবে কি না?
এ ব্যপারে সর্বমোট তিনটি মতামত পাওয়া যায়।

(ক)
সাওম ফাসিদ হয়ে যাবে।কেননা ইনহেলার বা এ জাতীয় অন্যান্য ঔষধ যেমনঃ শাসকষ্ট রোগীদের সেবনযোগ্য গ্যাস ইত্যাদি ব্যবহার করলে গলা দিয়ে খাদ্যনালীতে গিয়ে পৌঁছে যায়।যদিও তা অল্প পরিমাণে গিয়ে পৌঁছক না কেন।(এ জন্য সাওম ফাসিদ হয়ে যাবে)পরবর্তিতে সুস্থ হলে সাওমকে ক্বাযা করে নিবেন।নতুবা ফিদয়া আদায় করবেন।
এটাই পূর্ববর্তী হানাফী মাযহাবের চুড়ান্ত সিদ্ধান্ত ছিলো।

(খ)
সাওম ফাসিদ হবে না।কেননা ঐ সমস্ত জিনিষের মাধ্যমে ভিতরে চলে যাওয়া জিনিষ নিতান্তই কম, অন্যদিকে এতে মানুষের অনেক ফায়দা নিহিত রয়েছে।এমনকি মানুষ এ সমস্ত জিনিষ ব্যবহার করতে শেষ পর্যন্ত নিরুপায় হয়ে যায়।(এ জন্য সাওম ফাসিদ হবে না)
এ মতামত ব্যক্ত করেছেন আরব বিশ্বের অনেক উলামায়ে কেরাম।(মুফতিরাতিস সিয়ামিল মুআছির-৩৯-৪৪)এ সম্পর্কে বিস্তারিত জানতে ক্লিক করুন-https://www.ifatwa.info/11319

সু-প্রিয় প্রশ্নকারী দ্বীনী ভাই/বোন!
রমজানে দিনের বেলায় মেনথল ব্যবহার করবেন না। যদি অপারগতা বশত করতেই হয়, তাহলে রোযাও রাখবেন,মেনথল ব্যবহার করবেন এবং সাথে সাথে ফিদয়াও দিবেন।

(২)
জান্নাতের বিষয়টা এই পৃথিবী থেকে সম্পূর্ণ পৃথক। সুতরাং দুনিয়াতে পাননি,সেজন্য জান্নাতের পাওয়ার কামনা করাটাও উচিৎ হবে না।কেননা আপনার সর্বশেষ স্বামীর সাথেই আপনার হাশর হবে,জান্নাত হবে। সুতরাং নিজের দুনিয়া ও আখেরাতের কল্যাণ চেয়ে দু'আ করাই উত্তম। যেহেতু  ঐ ব্যক্তির সাথে আপনার বিয়ে হয়নি তাই তাকে পাবেন না। এবং তাকে না পাওয়ার কোনো আফসোস থাকবে না।


(আল্লাহ-ই ভালো জানেন)

--------------------------------
মুফতী ইমদাদুল হক
ইফতা বিভাগ
Islamic Online Madrasah(IOM)

by (66 points)
খেয়াল করুন আমি কিন্তু বলেছি বিবাহ না হয়েই যদি মারা যাই তাহলে চাইলে পাব কিনা। বিবাহ হয়ে গেলেও চাইলে পাব একথা কিন্তু জিজ্ঞাসা করিনি। 
by (589,140 points)
বিয়ে না হয়ে মারা গেলে আপনি যদি আখেরাতে তাকে চান, তাহলে তাকে পাবেন।আখেরাতে চাইবেন কি না? সে টা তো নিশ্চিত নয়।কেননা  এই পৃথিবী আর আখেরাত সমান নয়। 

আই ফতোয়া  ওয়েবসাইট বাংলাদেশের অন্যতম একটি নির্ভরযোগ্য ফতোয়া বিষয়ক সাইট। যেটি IOM এর ইফতা বিভাগ দ্বারা পরিচালিত।  যেকোন প্রশ্ন করার আগে আপনার প্রশ্নটি সার্চ বক্সে লিখে সার্চ করে দেখুন। উত্তর না পেলে প্রশ্ন করতে পারেন। আপনি প্রতিমাসে সর্বোচ্চ ৪ টি প্রশ্ন করতে পারবেন। এই প্রশ্ন ও উত্তরগুলো আমাদের ফেসবুকেও শেয়ার করা হবে। তাই প্রশ্ন করার সময় সুন্দর ও সাবলীল ভাষা ব্যবহার করুন।

বি.দ্র: প্রশ্ন করা ও ইলম অর্জনের সবচেয়ে ভালো মাধ্যম হলো সরাসরি মুফতি সাহেবের কাছে গিয়ে প্রশ্ন করা যেখানে প্রশ্নকারীর প্রশ্ন বিস্তারিত জানার ও বোঝার সুযোগ থাকে। যাদের এই ধরণের সুযোগ কম তাদের জন্য এই সাইট। প্রশ্নকারীর প্রশ্নের অস্পষ্টতার কারনে ও কিছু বিষয়ে কোরআন ও হাদীসের একাধিক বর্ণনার কারনে অনেক সময় কিছু উত্তরে ভিন্নতা আসতে পারে। তাই কোনো বড় সিদ্ধান্ত এই সাইটের উপর ভিত্তি করে না নিয়ে বরং সরাসরি স্থানীয় মুফতি সাহেবদের সাথে যোগাযোগ করতে হবে।

Related questions

...