আইফতোয়াতে ওয়াসওয়াসা সংক্রান্ত প্রশ্নের উত্তর দেওয়া হবে না। ওয়াসওয়াসায় আক্রান্ত ব্যক্তির চিকিৎসা ও করণীয় সম্পর্কে জানতে এখানে ক্লিক করুন

0 votes
166 views
in হালাল ও হারাম (Halal & Haram) by (1 point)
আসসালামু আলাইকুম
১/আমি একজন মেয়ে, এবং টিউশনি করিয়ে হাত খরচ চালাই। আমাদের বাসায় খরচ চলে সঞ্চয় পত্রের টাকা থেকে। সেই  টাকা হারাম হওয়ায় আমি সর্বোচ্চ চেষ্টা করি সেখান থেকে না নেওয়ার টাকা, তাই টিউশন করানো। এখন আমি ২ টা বাচ্চা কে একসাথে পড়াই,  যার একজন মেয়ে এবং একজন ছেলে, ছেলেটি ক্লাস 7 এ পড়ে। তারা ভাই বোন হয়। এখন সেখান থেকে পাওয়া বেতন কি আমার জন্য হারাম হবে?  এক্ষেত্রে আমার করনীয় কি?
২/আমার আপন বাবা আমি ছোট থাকতে মারা গিয়েছেন। সৎ বাবার  আছেন। সৎ বাবাও এখন রিটায়ার্ড। মুলত উনার পেনশন এর টাকা টায় সঞ্চয়পত্র করেছেন। আমার ছোট বোন আছে সৎ বাবার ঘরের। সে প্রতিবন্ধী।  এমতাবস্থায় বাসায় হালাল ইনকাম সোর্স একেবারেই নেই বললে চলে। আম্মু বর্তমানে চাকরি করেন। তবে কয়েক বছর পর আম্মুও রিটায়ার্ড করবেন।  আমি বর্তমানে অনার্সে পড়ছি, আমি যদি এ নিয়ত রাখি যেন আমি আর্থিকভাবে আমার মাকে সাহায্য করতে পারি এক্ষেত্রে কি গুনাহ হবে আমার? পর্দা মেনে শিক্ষকতা পেশায় কি যেতে পারব এক্ষেত্রে আমি বিন্দু মাত্র ক্যারিয়ার এর বিষয় টা ভাবছি না, ভাবছি কিভাবে মাকে সাহায্য  করতে পারি সেটা।

1 Answer

0 votes
by (590,550 points)
ওয়া আলাইকুমুস-সালাম ওয়া রাহমাতুল্লাহি ওয়া বারাকাতুহু। 
বিসমিল্লাহির রাহমানির রাহিম।
জবাবঃ-
নারীর জন্য পর্দা করা ফরয।পর্দার সারমর্ম হল,ফি মিক্সিং পরিবেশ থেকে যথাসম্ভব নিজেকে বাঁচিয়ে রাখা।গায়রে মাহরাম পুরুষ থেকে সর্বদা নিজেকে নিরাপদ দূরত্বে রাখা। পর্দা সম্পর্কে বিস্তারিত জানুন- 572

বেগানা নারী-পুরুষ খালওয়াত তথা নির্জনে একাকী অবস্থান করতে পারবে না। হাদীসে একে নিষিদ্ধ ঘোষনা করা হয়েছে.......
ﻻَ ﻳَﺨْﻠﻮﻥَّ ﺭَﺟُﻞٌ ﺑِﺎﻣْﺮَﺃﺓٍ ﺇِﻻَّ ﻭَﻣَﻌَﻬﺎ ﺫُﻭ ﻣَﺤْﺮَﻡ ) 
কোনো পুরুষ কোনো মহিলার সাথে মহিলার মাহরাম না থাকা অবস্থায় নির্জনে একাকী বসবাস করতে পারবে না।(সহীহ বুখারী-৫২৩৩;সহীহ মুসলিম-১৩৪১)

প্রশ্নকারী দ্বীনী ভাই/বোন!
পুরুষ শিক্ষক তিনি ছাত্রকে প্রাইভেট পড়াবেন।ছাত্রীদেরকে নারী শিক্ষকই প্রাইভেট পড়াবেন।যদি কোথাও পুরুষ শিক্ষক, ছেলে শিক্ষার্থীকে না পান,এবং মেয়ে শিক্ষার্থীরা, নারী শিক্ষিকা-কে না পায়।
এমন পরিস্থিতে শিক্ষার স্বার্থে কয়েকটি শর্তে বিপরিত লিঙ্গের কাউকে পড়ানোর ব্যাপারটা অনুমোদনযোগ্য হতে পারে।
(১)ফিতনার অাশংকা থাকতে পারবে না।যখনই শয়তান মনের মমধ্যে কিছু আনয়ন করবে,সাথে সাথেই তখন পড়ানোকে বাদ দিতে হবে।
(২)যতক্ষণ পড়াবেন ততক্ষণ মেয়ে শিক্ষার্থীর একজন মাহরাম পুরুষ সেখানে উপস্থিত থাকবেন।বা এক সাথে কয়েকজন মেয়ে শিক্ষার্থীকে পড়াবেন।
(৩)মেয়ে শিক্ষার্থীরা পরিপূর্ণ হেজাব পড়ে ক্লাস নিবেন।
(৪)মেয়ে শিক্ষার্থীর সাথে নরম ভাষায় কথা বলা যাবে না।
(৫)এছাড়া ফিতনামুক্ত পরিবেশ গড়ার যাবতীয় পদক্ষেপ গ্রহণ করিতে হইবে। বিস্তারিত জানুন- 4193 

ছাত্রী পড়ানো সম্পর্কে জানতে ভিজিট করুন- 1542 

প্রশ্নকারী দ্বীনী ভাই/বোন!
(১) যেহেতু ছেলের বয়স সাত বছর, যদি তাকে দেখতে সাবালকের মত মনে না হয়, তাহলে তাকে পড়াতে পারবেন।বেতন হারাম হবে না। কিন্ত যদি তাকে দেখতে সাবালকের মতই মনে হয়,তাহলে সতর্কতামূলক না পড়ানোই উচিৎ।আর ফিতনার আশংকা থাকলে নাজায়েয ও হারাম। তবে যেহেতু পড়ানোর বিনিময়ে বেতন আসবে, তাই বেতন হারাম হবে না।

(২) 
হালাল ভাবে ডালভাত খাওয়ার নিমিত্তে পর্দা সম্মত চাকুরী আপনি করতে পারবেন। আপনার জন্য হালাল হবে। তবে ক্যারিয়ার পড়া বা সম্মান অর্জনের নিমিত্তে চাকুরীতে জয়েন হওয়া জায়েয হবে না।


(আল্লাহ-ই ভালো জানেন)

--------------------------------
মুফতী ইমদাদুল হক
ইফতা বিভাগ
Islamic Online Madrasah(IOM)

আই ফতোয়া  ওয়েবসাইট বাংলাদেশের অন্যতম একটি নির্ভরযোগ্য ফতোয়া বিষয়ক সাইট। যেটি IOM এর ইফতা বিভাগ দ্বারা পরিচালিত।  যেকোন প্রশ্ন করার আগে আপনার প্রশ্নটি সার্চ বক্সে লিখে সার্চ করে দেখুন। উত্তর না পেলে প্রশ্ন করতে পারেন। আপনি প্রতিমাসে সর্বোচ্চ ৪ টি প্রশ্ন করতে পারবেন। এই প্রশ্ন ও উত্তরগুলো আমাদের ফেসবুকেও শেয়ার করা হবে। তাই প্রশ্ন করার সময় সুন্দর ও সাবলীল ভাষা ব্যবহার করুন।

বি.দ্র: প্রশ্ন করা ও ইলম অর্জনের সবচেয়ে ভালো মাধ্যম হলো সরাসরি মুফতি সাহেবের কাছে গিয়ে প্রশ্ন করা যেখানে প্রশ্নকারীর প্রশ্ন বিস্তারিত জানার ও বোঝার সুযোগ থাকে। যাদের এই ধরণের সুযোগ কম তাদের জন্য এই সাইট। প্রশ্নকারীর প্রশ্নের অস্পষ্টতার কারনে ও কিছু বিষয়ে কোরআন ও হাদীসের একাধিক বর্ণনার কারনে অনেক সময় কিছু উত্তরে ভিন্নতা আসতে পারে। তাই কোনো বড় সিদ্ধান্ত এই সাইটের উপর ভিত্তি করে না নিয়ে বরং সরাসরি স্থানীয় মুফতি সাহেবদের সাথে যোগাযোগ করতে হবে।

Related questions

...