ওয়া আলাইকুমুস-সালাম ওয়া রাহমাতুল্লাহি ওয়া বারাকাতুহু।
বিসমিল্লাহির রাহমানির রাহিম।
জবাবঃ-
আলহামদুলিল্লাহ!
(১) যেহেতু পাঞ্জাবি দ্বারা ঢাকা ছিলো,তাই আপনার সালাত বিশুদ্ধ হয়েছে।
(২) যদি তিন তাসবিহ পড়ার সমপরিমাণ সময় সতর উন্মুক্ত হয়ে যায়, তাহলে সালাত হবেনা।
(৩) শার্ট/গেঞ্জি/পাঞ্জাবি পড়লেও লুঙ্গি বা প্যান্ট নাভির উপরেই পড়া জরুরী নয়।কোনো ভাবে সতর ঢেকে থাকলেই হবে।
(৪) সালাতে যদি শার্ট উন্মুক্ত হয়ে যায়, অথবা সিজদায় গেলে প্যান্ট নিচের দিকে চলে যায়, কিন্তু সেন্টু গেঞ্জি আর আন্ডারপ্যান্ট দিয়ে সেই অংশ তখন ঢাকা থাকে, সতর উন্মুক্ত হয়না, তাহলে এইভাবেও সালাত বিশুদ্ধ হবে।
(৫) কোথাও নাপাকি লেগে শুকিয়ে গেলে, সেখান থেকে আবার নাপাকি লাগবে না। যেমন বিছানার চাদর বা কাথা এইগুলোতে নাপাকি (প্রস্রাব বা বীর্য) লেগে শুকিয়ে গেলে, সেখানে অন্য কাপড় রাখলে অথবা চাদরের উপর বসলে বা কাথা গায়ে দিলে নাপাকি শরীরে লাগবে না।
(৬) বিছানার চাদর বা কাথাকে ভেজালে অনেক ভারী হয়ে যায়, তাই নিংড়ানোর প্রয়োজনিয়তা পড়বে না, বরং একবার বা সম্ভব হলে তিনবার ধৌত করার দ্বারা পবিত্র হয়ে যাবে।এ সম্পর্কে বিস্তারিত জানতে ক্লিক করুন-
https://www.ifatwa.info/19995
(৭) বিছানার চাদর বা কাথা বালতির পানিতে চুবিয়ে পরে বাথরুমের ফ্লোরে রেখে পা দিয়ে পাড়ালেও পবিত্র হয়ে যাবে। নিংড়ানোর পানি আবার চাদরে লেগে গেলেও সমস্যা হবে না।
(৮) জিন্স প্যান্ট বা মোটা কাপড় গুলোকে যদি ভালোভাবে নিংড়ানো সম্ভব না হয়, তাহলে ভিজিয়ে শুকিয়ে নিলেই পবিত্র হয়ে যাবো।
(৯) আপনার সামর্থ্যানুযায়ী নিংড়ালেই পবিত্র হয়ে যাবে।পরবর্তীতে তরল বের হলেও কোনো সমস্যা হবে না।
(১০) লেপ/তোশক এইগুলোকে একবার ভিজিয়ে শুকিয়ে নিলেই পবিত্র হয়ে যাবে।
(১১) কম্বল কে একবার ভিজিয়ে শুকিয়ে নিলেই হবে। নিংড়ানো জরুরী নয়।
(১২) নাপাক কাপড় ধৌত সময় বা নিংড়ানোর সময় যদি পানি হাতে/পায়ে/শরীরে ছিটে আসে, এভাবে তাহলে হাত পা শরীরকে ধৌত করতে হবে।
(১৩) নাকের সর্দি নাপাক নয়।
(১৪) নাকের ভেতরে কালো যে ময়লা থাকে, সেগুলো নাপাক নয়।