আইফতোয়াতে ওয়াসওয়াসা সংক্রান্ত প্রশ্নের উত্তর দেওয়া হবে না। ওয়াসওয়াসায় আক্রান্ত ব্যক্তির চিকিৎসা ও করণীয় সম্পর্কে জানতে এখানে ক্লিক করুন

0 votes
74 views
in ঈমান ও বিশ্বাস (Faith and Belief) by (7 points)
আসসালামুয়ালাইকুম।

১.মুরজিয়া দের সম্পর্কে জানতে চাই।

২.একজন মানুষের এর মুসলিম হওয়ার জন্য কি কি বিষয়ে আকিদা থাকা প্রয়োজন?

৩.কেউ যদি গুনাহ করে এই ভেবে যে আল্লাহর কাছে পড়ে ক্ষমা চেয়ে নেবো। কিন্তু মনে গুনাহ গুলো কে অপছন্দ করে এবং এই কাজ করতেই থাকে তাহলে কি সে মুসলিম নাকি কাফির?

৪.ইমান ভঙ্গ হয় এমন কাজ চিনব কি করে?

৫.কোন মানুষ যে বিশ্বাস করে যে ঈমান মানে হলো: মনে বিশ্বাস করা , মুখে স্বীকার করা, এবং আমলের মাধ্যমে তা প্রকাশ করা। কিন্তু আবার গুনাহ ও করে আবার আল্লাহ কে ভয় ও করে এবং নিয়ত রাখে গুনাহ করে আবার আল্লাহর কাছে ক্ষমা চাইবে এবং জাহান্নামের আগুন কে ও ভয় করে। তাহলে কি সে কাফির?

1 Answer

0 votes
by (590,550 points)
ওয়া আলাইকুমুস-সালাম ওয়া রাহমাতুল্লাহি ওয়া বারাকাতুহু। 
বিসমিল্লাহির রাহমানির রাহিম।
জবাবঃ-
আলহামদুলিল্লাহ!
(১)
শাব্দিকভাবে মুরজিয়া শব্দটি ইরজা’ থেকে এসেছে যার অর্থ – বিলম্বিত করা।
মুরজিয়াগোষ্ঠী ঈমান থেকে আ’মলকে বিলম্বিত করে এবং তাকফীরকে বিলম্বিত করে।
তারা ইনিয়ে-বিনিয়ে বলতে চায়ঃ কাউকে তাকফীর করার অধিকার কারো নেই। আল্লাহই আখেরাতে সবাইকে বিচার করবেন। তাহলে এখানে কেন তাকফীর করা ইত্যাদি।

তাদের এই বিভ্রান্তি ও অজ্ঞতার কারণে তারা প্রকারান্তরে মুরতাদকে সুরক্ষা দেয়। 

ইমাম ইসহাক ইবনে রাহাবীয়া (রঃ) বলেন,
قال الامام إسحاق بن راهويه: (غلت المرجئة حتى صار من قولهم ان قوما يقولون: من ترك الصلوات المكتوبات وصوم رمضان والزكاة والحج وعامة الفرائض من غير جحود بها لا نكفره يرجى أمره الى الله بعد اذ هو مقر فهؤلاء الذين لا شك فيهم يعني في أنهم مرجئة) [فتح الباري لابن رجب 1/23].
“সবচেয়ে পথভ্রষ্ট মুরজিয়াদের কথার ব্যাপারে, এমনকি এটা তাদের সবার কথা হয়ে গেছে, কোন কোন লোক বলেঃ যে ফরজ নামাজ, রমজানের রোযা, যাকাত, হজ্জ্ব এবং সকল ফরজ কাজ অস্বীকার না করে শুধু ছেড়ে দেয়, আমরা তাকে তাকফীর করি না। তার ব্যাপার আমরা আল্লাহর বিচাররের জন্য রেখে দেই যখন সে এইগুলো স্বীকার করে। এই লোকগুলো যে মুরজিয়াদের অন্তর্ভূক্ত এতে কোন সন্দেহ নেই। (ফাতহুল বারী লি ইবনে রজব, ১/২৩)

(২)একজন মানুষের এর মুসলিম হওয়ার জন্য কালিমায়ে তাওহিদ পাঠ করার পাশাপাশি ঈমানে মুজমাল ও ঈমানে মুফাস্সাল কালিমার অর্থ জানা ও মানা জরুরী।

(৩) কেউ যদি গুনাহ করে এই ভেবে যে আল্লাহর কাছে পড়ে ক্ষমা চেয়ে নেবো। কিন্তু মনে গুনাহ গুলো কে অপছন্দ করে এবং এই কাজ করতেই থাকে, তাহলে তাকে কাফির বলা যাবে না বরং সে গোনাহগার ফাসিক মুসলিম হিসেবে বিবেচিত হবে।

(৪) আল্লাহ একত্ববাদ ও রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া-সাল্লাম' এর রেসালত বিরোধী কাজই ঈমানভঙ্গকারী কাজ হিসেবে বিবেচিত হবে।
 
(৫) কোন মানুষ যদি বিশ্বাস করে যে, ঈমান অর্থ হল: মনে বিশ্বাস করা , মুখে স্বীকার করা, এবং আমলের মাধ্যমে তা প্রকাশ করা। কিন্তু আবার গুনাহ ও করে আবার আল্লাহ কে ভয় ও করে এবং নিয়ত রাখে গুনাহ করে আবার আল্লাহর কাছে ক্ষমা চাইবে এবং জাহান্নামের আগুনকে ও ভয় করে। তাহলে তাকে কাফির বলা যাবে না। হ্যা, সে ফাসিক হিসেবে বিবেচিত হবে।


(আল্লাহ-ই ভালো জানেন)

--------------------------------
মুফতী ইমদাদুল হক
ইফতা বিভাগ
Islamic Online Madrasah(IOM)

আই ফতোয়া  ওয়েবসাইট বাংলাদেশের অন্যতম একটি নির্ভরযোগ্য ফতোয়া বিষয়ক সাইট। যেটি IOM এর ইফতা বিভাগ দ্বারা পরিচালিত।  যেকোন প্রশ্ন করার আগে আপনার প্রশ্নটি সার্চ বক্সে লিখে সার্চ করে দেখুন। উত্তর না পেলে প্রশ্ন করতে পারেন। আপনি প্রতিমাসে সর্বোচ্চ ৪ টি প্রশ্ন করতে পারবেন। এই প্রশ্ন ও উত্তরগুলো আমাদের ফেসবুকেও শেয়ার করা হবে। তাই প্রশ্ন করার সময় সুন্দর ও সাবলীল ভাষা ব্যবহার করুন।

বি.দ্র: প্রশ্ন করা ও ইলম অর্জনের সবচেয়ে ভালো মাধ্যম হলো সরাসরি মুফতি সাহেবের কাছে গিয়ে প্রশ্ন করা যেখানে প্রশ্নকারীর প্রশ্ন বিস্তারিত জানার ও বোঝার সুযোগ থাকে। যাদের এই ধরণের সুযোগ কম তাদের জন্য এই সাইট। প্রশ্নকারীর প্রশ্নের অস্পষ্টতার কারনে ও কিছু বিষয়ে কোরআন ও হাদীসের একাধিক বর্ণনার কারনে অনেক সময় কিছু উত্তরে ভিন্নতা আসতে পারে। তাই কোনো বড় সিদ্ধান্ত এই সাইটের উপর ভিত্তি করে না নিয়ে বরং সরাসরি স্থানীয় মুফতি সাহেবদের সাথে যোগাযোগ করতে হবে।

Related questions

...