ওয়া আলাইকুমুস-সালাম ওয়া রাহমাতুল্লাহি ওয়া বারাকাতুহু।
বিসমিল্লাহির রাহমানির রাহিম।
জবাবঃ-
আলহামদুলিল্লাহ!
(১)
শাব্দিকভাবে মুরজিয়া শব্দটি ইরজা’ থেকে এসেছে যার অর্থ – বিলম্বিত করা।
মুরজিয়াগোষ্ঠী ঈমান থেকে আ’মলকে বিলম্বিত করে এবং তাকফীরকে বিলম্বিত করে।
তারা ইনিয়ে-বিনিয়ে বলতে চায়ঃ কাউকে তাকফীর করার অধিকার কারো নেই। আল্লাহই আখেরাতে সবাইকে বিচার করবেন। তাহলে এখানে কেন তাকফীর করা ইত্যাদি।
তাদের এই বিভ্রান্তি ও অজ্ঞতার কারণে তারা প্রকারান্তরে মুরতাদকে সুরক্ষা দেয়।
ইমাম ইসহাক ইবনে রাহাবীয়া (রঃ) বলেন,
قال الامام إسحاق بن راهويه: (غلت المرجئة حتى صار من قولهم ان قوما يقولون: من ترك الصلوات المكتوبات وصوم رمضان والزكاة والحج وعامة الفرائض من غير جحود بها لا نكفره يرجى أمره الى الله بعد اذ هو مقر فهؤلاء الذين لا شك فيهم يعني في أنهم مرجئة) [فتح الباري لابن رجب 1/23].
“সবচেয়ে পথভ্রষ্ট মুরজিয়াদের কথার ব্যাপারে, এমনকি এটা তাদের সবার কথা হয়ে গেছে, কোন কোন লোক বলেঃ যে ফরজ নামাজ, রমজানের রোযা, যাকাত, হজ্জ্ব এবং সকল ফরজ কাজ অস্বীকার না করে শুধু ছেড়ে দেয়, আমরা তাকে তাকফীর করি না। তার ব্যাপার আমরা আল্লাহর বিচাররের জন্য রেখে দেই যখন সে এইগুলো স্বীকার করে। এই লোকগুলো যে মুরজিয়াদের অন্তর্ভূক্ত এতে কোন সন্দেহ নেই। (ফাতহুল বারী লি ইবনে রজব, ১/২৩)
(২)একজন মানুষের এর মুসলিম হওয়ার জন্য কালিমায়ে তাওহিদ পাঠ করার পাশাপাশি ঈমানে মুজমাল ও ঈমানে মুফাস্সাল কালিমার অর্থ জানা ও মানা জরুরী।
(৩) কেউ যদি গুনাহ করে এই ভেবে যে আল্লাহর কাছে পড়ে ক্ষমা চেয়ে নেবো। কিন্তু মনে গুনাহ গুলো কে অপছন্দ করে এবং এই কাজ করতেই থাকে, তাহলে তাকে কাফির বলা যাবে না বরং সে গোনাহগার ফাসিক মুসলিম হিসেবে বিবেচিত হবে।
(৪) আল্লাহ একত্ববাদ ও রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া-সাল্লাম' এর রেসালত বিরোধী কাজই ঈমানভঙ্গকারী কাজ হিসেবে বিবেচিত হবে।
(৫) কোন মানুষ যদি বিশ্বাস করে যে, ঈমান অর্থ হল: মনে বিশ্বাস করা , মুখে স্বীকার করা, এবং আমলের মাধ্যমে তা প্রকাশ করা। কিন্তু আবার গুনাহ ও করে আবার আল্লাহ কে ভয় ও করে এবং নিয়ত রাখে গুনাহ করে আবার আল্লাহর কাছে ক্ষমা চাইবে এবং জাহান্নামের আগুনকে ও ভয় করে। তাহলে তাকে কাফির বলা যাবে না। হ্যা, সে ফাসিক হিসেবে বিবেচিত হবে।