আইফতোয়াতে ওয়াসওয়াসা সংক্রান্ত প্রশ্নের উত্তর দেওয়া হবে না। ওয়াসওয়াসায় আক্রান্ত ব্যক্তির চিকিৎসা ও করণীয় সম্পর্কে জানতে এখানে ক্লিক করুন

0 votes
127 views
in বিবিধ মাস’আলা (Miscellaneous Fiqh) by (3 points)
আসসালামু আলাইকুম,
আমি খুব পেরেশানিতে আছি বিগত দুই বছর ধরে। আমি খুবই বড় একটা ভুল করে ফেলেছি। আমি নিজের নফসের বিরুদ্ধে গিয়ে একজনের সাথে অনলাইনে প্রেমের সম্পর্কে আবদ্ধ হই। তার সাথে আমার বিয়ের কথাও হয়েছিলো। পরবর্তীতে, আমি জানতে পারি সে বিবাহিত এবং দুই সন্তানের জনক। বাংলাদেশের অন্যতম মোটামুটি নামকরা ব্যক্তি হওয়ায়, তার চাকুরির ক্ষেত্র এবং তার বন্ধু-বান্ধবরাও জানতো না সে বিবাহিত এবং দুই সন্তান রয়েছে। আমি সম্পর্কের পূর্বে যখন খোঁঁজ নিই তখন সবাই বলেছিলো, সে অবিবাহিত। এমনকি, তার ছোটো ভাই এবং তার ব্যক্তিগত পিএ একই কথা বলেছিলো।সম্পর্কের কয়েক মাস পরে যখন বিয়ের জন্য অগ্রসর হই তখন তার স্ত্রীর সত্যতা সামনে আসে এবং উক্ত মহিলা ঝগড়াঝাটি করেন। এতকিছুর পরেও ভদ্রলোক,তার ভাই, তার পিএসহ তারা সবাই অগণিত মিথ্যাচার করতে থাকেন এবং বলেন, উক্ত মহিলা মিথ্যাবাদী। এরপর একে একে এই ভদ্রলোকের অনেক কঠিন সত্য সামনে আসতে থাকে। এরপর জানতে পারি, তার পড়াশোনার সার্টিফিকেট নেই এবং তিনি জালিয়াতি সার্টিফিকেট ব্যবহার করে মানুষকে প্রতারিত করে আসছেন বছরের পর বছর। এইছাড়াও, বহু নারী একইভাবে তার প্রতারণার শিকার। নারীরা তার সত্য জেনে যাওয়ার পরে তার স্ত্রী এবং শ্বশুর বাড়ির লোক দিয়ে উক্ত নারী এবং নারীর পরিবারকে সামাজিকভাবে লাঞ্ছিত এবং অপদস্ত করে। আমিও একইভাবে লাঞ্ছিত হই।এতকিছু সত্ত্বেও আমি চুপচাপ হয়ে থাকি। আল্লাহর উপরে ছেড়ে দিই। বিগত দুই বছর ধরে, এই লোক এবং তার পরিবার এখনো আমার নামে বানোয়াট,ভিত্তিহিন কথা প্রচার করে আমার জীবন দুর্বিষহ করে তুলেছে। আল্লাহর শপথ, যার হাতে আমার প্রাণ! আমি যে পাপ করিনি তাও বলা হচ্ছে। এই ভদ্রলোক আরো কিছু মেয়েকে একইভাবে ফাঁদে ফেলেছে এবং এখনো বাংলাদেশের মানুষকে ব্যবহার করে যাচ্ছে যার সকল সত্যতা আমার কাছে রয়েছে।   এই ভদ্রলোক এবং তার পিএ সব সত্য জেনেও আমার সাথে প্রতারণা করেছেন।এক কথায় তারা আরেক অভিশ্রুতি শাস্ত্রী।
আমার জানার একটাই প্রশ্ন, এই ব্যক্তির অপরাধসমূহ সঠিক প্রমাণসহ আমি যদি প্রকাশ করে দিই এবং উক্ত নারীদের বিপদের হাত থেকে রক্ষা করি তাহলে কি আমি আল্লাহর কাছে গীবতকারি সাব্যস্ত হবো? আল্লাহ আযওয়াজাল কি আমাকে তামার নখের দ্বারা শাস্তি দিবেন? (আবু দাউদের গোপন কথা প্রকাশের হাদীস নিয়ে যা এসেছে)। আমি খুব অনুতপ্ত আমার দ্বারা ভুলের জন্য। কিন্তু এই লোক এবং তার পরিবারের ফাঁদে পড়ে সর্বশান্ত হচ্ছে অর্ধশতাধিক নারী। এই লোককে আমি সকল দিকে ব্লক করে দেওয়া সত্ত্বেও আজ পর্যন্ত তিনি আমাকে বিরক্ত করে যাচ্ছেন। আমি এই বিষয়ক ইস্তেখারা করেও কিছু বুঝতে পারছি না। তার এবং তার পরিবার+পিএ এর সত্যতা প্রকাশ করা কি আমার উচিৎ হবে কি অনুচিত হবে?

1 Answer

0 votes
by (589,260 points)
ওয়া আলাইকুমুস-সালাম ওয়া রাহমাতুল্লাহি ওয়া বারাকাতুহু। 
বিসমিল্লাহির রাহমানির রাহিম।
জবাবঃ-
যে ব্যক্তি ফিসকের কাজে জড়িত রয়েছে।তার সমালোচনা করা যাবে। তবে এ বিষয়ে লক্ষ্য রাখতে হবে যে, তার ঐ গোনাহের কাজ হতে হবে প্রকাশ্যে বা কারো হক্ব সম্পর্কিত এবং সে বারংবার করেছে বা করার ইচ্ছা পোষণ রেখেছে। এ সম্পর্কে বিস্তারিত জানতে ভিজিট করুন- 2114 

সুতরাং কেউ যদি ব্যক্তিগত ভাবে কোনো গোনাহ লুকিয়ে লুকিয়ে করে এবং জনসম্মুখে না করে,শুধুমাত্র দুয়েকজন জানতে পেরেছে,এমন ব্যক্তিকে উক্ত কৃত গোনাহে লুকিয়ে রাখা মুস্তাহাব।এবং সাথে সাথে তাকে নসিহত করতে হবে।নসিহত করার পরও যদি সে আবার ঐ কাজে লিপ্ত দেখা যায়,তাহলে বুঝা যাবে সে তাওবাহ করেনি।সুতরাং এমতাবস্থায় তাকে জাহান্নাম থেকে বাঁচাতে তার গোনাহর কথা জনসম্মুখে প্রকাশ করা যাবে। এ সম্পর্কে বিস্তারিত জানতে ক্লিক করুন- 906 

সু-প্রিয় প্রশ্নকারী দ্বীনী ভাই/বোন!
আপনি প্রথমে অতীতের গোনাহের জন্য আল্লাহর কাছে ক্ষমা চাইবেন। এবং নিরবে তার জুলুম নির্যাতন থেকে বাঁচার সকল প্রকার চেষ্টা করবেন। তারপরও যদি সে আপনার উপর অন্যায়ভাবে চাপ প্রয়োগ করে, আপনাকে হেনস্থা করার চেষ্টা করে, তাহলে আপনি নিজের মান সম্মান বাঁচাতে যে কোনো পদক্ষেপ গ্রহণ করতে পারবেন। সর্বোপরি গোপনে বিষয়টার সমাধানের আপ্রাণ চেষ্টা করবেন। আল্লাহ আপনাকে হেফাজত করুক। আমীন। 


(আল্লাহ-ই ভালো জানেন)

--------------------------------
মুফতী ইমদাদুল হক
ইফতা বিভাগ
Islamic Online Madrasah(IOM)

আই ফতোয়া  ওয়েবসাইট বাংলাদেশের অন্যতম একটি নির্ভরযোগ্য ফতোয়া বিষয়ক সাইট। যেটি IOM এর ইফতা বিভাগ দ্বারা পরিচালিত।  যেকোন প্রশ্ন করার আগে আপনার প্রশ্নটি সার্চ বক্সে লিখে সার্চ করে দেখুন। উত্তর না পেলে প্রশ্ন করতে পারেন। আপনি প্রতিমাসে সর্বোচ্চ ৪ টি প্রশ্ন করতে পারবেন। এই প্রশ্ন ও উত্তরগুলো আমাদের ফেসবুকেও শেয়ার করা হবে। তাই প্রশ্ন করার সময় সুন্দর ও সাবলীল ভাষা ব্যবহার করুন।

বি.দ্র: প্রশ্ন করা ও ইলম অর্জনের সবচেয়ে ভালো মাধ্যম হলো সরাসরি মুফতি সাহেবের কাছে গিয়ে প্রশ্ন করা যেখানে প্রশ্নকারীর প্রশ্ন বিস্তারিত জানার ও বোঝার সুযোগ থাকে। যাদের এই ধরণের সুযোগ কম তাদের জন্য এই সাইট। প্রশ্নকারীর প্রশ্নের অস্পষ্টতার কারনে ও কিছু বিষয়ে কোরআন ও হাদীসের একাধিক বর্ণনার কারনে অনেক সময় কিছু উত্তরে ভিন্নতা আসতে পারে। তাই কোনো বড় সিদ্ধান্ত এই সাইটের উপর ভিত্তি করে না নিয়ে বরং সরাসরি স্থানীয় মুফতি সাহেবদের সাথে যোগাযোগ করতে হবে।

Related questions

...