বিসমিল্লাহির রাহমানির রাহিম।
জবাবঃ-
হাদীসে এসেছে,পাত্র পাত্রীর দ্বীনদারিত্ব কে দেখে বিয়ে করতে।
যেমন,রাসূলুল্লাহ সাঃ বলেনঃ
عَنْ أَبِي هُرَيْرَةَ رَضِيَ اللَّهُ عَنْهُ عَنْ النَّبِيِّ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ قَالَ : ( تُنْكَحُ الْمَرْأَةُ لِأَرْبَعٍ : لِمَالِهَا ، وَلِحَسَبِهَا ، وَلِجَمَالِهَا ، وَلِدِينِهَا ، فَاظْفَرْ بِذَاتِ الدِّينِ تَرِبَتْ يَدَاكَ)
চারটি জিনিস দেখে মহিলাকে সাধারণত বিয়ে করা হয়,(১)সম্পদ(২)বংশ(৩)সুন্দর্য্য (৪)দ্বীনদারী।
কিন্তু তুমি দ্বীনদারীত্বকে অগ্রাধিকার দাও।
{যদি তা না করো তবে তুমি ক্ষতিগ্রস্ত হবে(تَرِبَتْ يَدَاكَ এর অনেক ব্যাখার একটি ব্যাখা)}(সহীহ বুখারী-৪৮০২সহীহ মুসলিম-১৪৬৬)এ সম্পর্কে বিস্তারিত জানতে ভিজিট করুন-
https://www.ifatwa.info/18
পাত্রর পিতা মাতা দ্বীনদার হলে তো অনেক অনেক উত্তম।যদি পাত্র/পাত্রীর মা-বা দ্বীনদার না হয়, শুধু পাত্র/পাত্রীই দ্বীনদার হয়,তাহলে উক্ত পাত্র পাত্রীকে বিয়ে করতেও বাধা নেই।
আল্লাহ তা'আলা বলেনঃ
ﻭَﻟَﺎ ﺗَﺰِﺭُ ﻭَﺍﺯِﺭَﺓٌ ﻭِﺯْﺭَ ﺃُﺧْﺮَﻯ ﻭَﺇِﻥ ﺗَﺪْﻉُ ﻣُﺜْﻘَﻠَﺔٌ ﺇِﻟَﻰ ﺣِﻤْﻠِﻬَﺎ ﻟَﺎ ﻳُﺤْﻤَﻞْ ﻣِﻨْﻪُ ﺷَﻲْﺀٌ ﻭَﻟَﻮْ ﻛَﺎﻥَ ﺫَﺍ ﻗُﺮْﺑَﻰ الخ
কেউ অপরের বোঝা বহন করবে না। কেউ যদি তার গুরুতর ভার বহন করতে অন্যকে আহবান করে কেউ তা বহন করবে না-যদি সে নিকটবর্তী আত্নীয়ও হয়। (সূরা ফাতির-১৮)
পাত্রর বাবা বিবাহ বহির্ভূত একজন নারীর সাথে এক চালের নীচে বসবাস করছে,এটা নেহায়ত আফসোসের বিষয়।মুসলমানদের চারিত্রিক অধঃপতন আজ এত নিম্নে যে,এরকম চরিত্রায়নকে দেখতে হচ্ছে।আল্লাহ তাদেরকে ক্ষমা করুক, হেদায়ত দান করুক।প্রতি মূহুর্তেই তাদের যিনার গোনাহ হচ্ছে।