আইফতোয়াতে ওয়াসওয়াসা সংক্রান্ত প্রশ্নের উত্তর দেওয়া হবে না। ওয়াসওয়াসায় আক্রান্ত ব্যক্তির চিকিৎসা ও করণীয় সম্পর্কে জানতে এখানে ক্লিক করুন

0 votes
99 views
in পবিত্রতা (Purity) by (41 points)
আসসালামু আলাইকুম ওয়ারাহ মাতুল্লাহি ওয়াবারকাতুহ।
শ্রদ্ধেয় উস্তাদ

আমার গত মাসে প্রায় এক মাস পর হায়েযের আলামত দেখা দিয়েছে।হায়েয টা কখন শুরু হয়েছে সেটা আমি জানিনা।আমি সাদাস্রাব যেনো পাজামায় না লাগে এজন্য টিস্যু ব্যবহার করি।সেদিনও আমি টিস্যু ব্যবহার করা অবস্থায় ঘুমিয়ে যাই।ঘুম থেকে উঠে টিস্যুর দিকে খেয়াল না করেই এটা ফেলে দিয়ে আবার নতুন টিস্যু ব্যবহার করে ফযরের নামায পড়ি।নামায পড়া শেষে টিস্যুতে হায়েযের রক্ত দেখতে পাই।তাহলে এখন আমার হায়েয কখন হয়েছে বলে আমি ধরে নিব? কারন আমিতো আগের ফেলে দেওয়া টিস্যুতে রক্ত ছিল নাকি ছিলনা সেটা খেয়াল করিনি।দ্বিতীয়তো, এই হায়েয ২দিন ছিল।কিন্তু তৃতীয় দিন রাতে ঘুমানোর মনে হয় অনেক আগে চেক করে দেখলাম হায়েয প্রায় ভালো হয়ে আসছে।কিন্তু ঘুমানোর সময় আমি আর চেক করিনি অলসতা করে।পরে ভোর রাতে দেখি আমি একদমি সুস্থ। এখন প্রশ্ন হলো-

১/আমি যেহেতু নিশ্চিত ভাবে জানিনা আমার হায়েয কখন হয়েছে।আবার এটাও জানিনা আমার হায়েয কি রাতে ভালো হয়েছে নাকি ভোর রাতেই ভালো হয়েছে।কারণ যেহেতু আমি ঘুমানোর আগে হায়েয আরেকবার চেক করিন।  তাহলে এখন আমার ওই সমস্যাটাকে আমি হায়েয ধরবো নাকি ইস্তেহাজা ধরবো??
২/আমি যেহেতু সিউর জানিনা ওইটা হায়েয ছিল নাকি ইস্তেহাজা ছিল। এখন কাল রাতে আবার হায়েযের আলামত দেখা দিয়েছে।অথচ দুই হায়েজের মধ্যবর্তী সময় এখনোও ১৫ দিন হয়নি।এখন আমি কোন টাকে হায়েয ধরবো আর কোনটাকে ইস্তেহাজা ধরবো?

1 Answer

0 votes
by (574,260 points)
জবাবঃ-
وعليكم السلام ورحمة الله وبركاته 
بسم الله الرحمن الرحيم

শরীয়তের বিধান অনুযায়ী হায়েযের সর্বনিম্ন সময়সীমা হলো ৩ তিন,আর সর্বোচ্ছ সময়সীমা ১০দিন।
এ ১০দিনের ভিতর লাল,হলুদ,সবুজ,লাল মিশ্রিত কালো বা নিখুত কালো যে কালারের-ই পানি বের হোক না কেন তা হায়েয হিসেবেই গণ্য হবে।যতক্ষণ না নেপকিন সাদা নজরে আসবে। (বেহেশতী জেওর-১/২০৬)  

হাদীস শরীফে এসেছে   
أقل الحیض للجاریۃ البکر والثیب ثلاثۃ أیام ولیالیہا وأکثرہ عشرۃ أیام
دار قطني، السنن، 1: 219، رقم: 61
রাসুল সাঃ বলেন  মহিলাদের হায়েজের সর্বনিম্ন সীমা হলো ৩ দিন ৩ রাত,সর্বোচ্চ সীমা হলো ১০ দিন ১০ রাত।

হায়েজের দিন গুলোতে যেই কালারেরই রক্ত হোক,সেটি হায়েজের রক্ত বলেই গন্য হবে। 
উক্ত সময় নামাজ রোযা ইত্যাদি আদায় করা যাবেনা।
(কিতাবুল ফাতওয়া ২/৭৬)

তবে স্পষ্ট সাদা কালারের কিছু বের হলে সেটাকে হায়েজ বলা যাবেনা।
(ফাতাওয়ায়ে হক্কানিয়াহ ২/৮৩৩)

উম্মে আলক্বামাহ তথা মার্জনা (مَوْلاَةِ عَائِشَةَ) হইতে বর্ণিত,

عن أم علقمة أَنَّهَا قَالَتْ : " كَانَ النِّسَاءُ يَبْعَثْنَ إِلَى عَائِشَةَ أُمِّ الْمُؤْمِنِينَ بِالدُّرْجَةِ فِيهَا الْكُرْسُفُ فِيهِ الصُّفْرَةُ مِنْ دَمِ الْحَيْضَةِ يَسْأَلْنَهَا عَنْ الصَّلَاةِ فَتَقُولُ لَهُنَّ لَا تَعْجَلْنَ حَتَّى تَرَيْنَ الْقَصَّةَ الْبَيْضَاءَ تُرِيدُ بِذَلِكَ الطُّهْرَ مِنْ الْحَيْضَةِ "

তিনি বলেনঃ (ঋতুমতী) স্ত্রীলোকেরা আয়েশা (রাঃ)-এর নিকট ঝোলা বা ডিবা (دُرْجَة) পাঠাইতেন, যাহাতে নেকড়া বা তুলা (كُرْسُفْ) থাকিত। উহাতে পাণ্ডুবৰ্ণ ঋতুর রক্ত লাগিয়া থাকিত। তাহারা এই অবস্থায় নামায পড়া সম্পর্কে তাহার নিকট জানিতে চাহিতেন। তিনি [আয়েশা (রাঃ)] তাহাদিগকে বলিতেনঃ তাড়াহুড়া করিও না, যতক্ষণ পর্যন্ত পূর্ণ সাদা (বর্ণ) দেখিতে না পাও। তিনি ইহা দ্বারা ঋতু হইতে পবিত্রতা (طُهْر) বুঝাইতেন।(মুয়াত্তা মালিক-১২৭)

আরো জানুনঃ- 

★সু-প্রিয় প্রশ্নকারী দ্বীনি বোন,
গতমাসে আপনার যে ব্লিডিং হয়েছিলো, এই ব্লিডিং সর্বনিম্ন তিন দিন তিন রাত এসেছে কিনা,আপনি খেয়াল না করার দরুন নিশ্চিত নন।

সুতরাং এমতাবস্থায় আপনি প্রবল ধারণার উপর আমল করবেন।

যদি প্রবল ধারণা হয় যে এটি সর্বনিম্ন তিন দিন তিন রাত এসেছিলো,তাহলে সেক্ষেত্রে সেটি হায়েজ। আর এখনকারটা যেহেতু ১৫ দিন পার হওয়ার আগেই এসেছে,তাই এখনকারটা ইস্তেহাজা।

আর যদি আপনার প্রবল ধারণা হয় যে এটি সর্বনিম্ন তিন দিন তিন রাত আসেনি,তাহলে সেক্ষেত্রে সেটি ইস্তেহাজা। আর এখনকারটা সর্বনিম্ন তিন দিন তিন রাত ধরে আসলে এটু হায়েজ।


(আল্লাহ-ই ভালো জানেন)

------------------------
মুফতী ওলি উল্লাহ
ইফতা বিভাগ
Islamic Online Madrasah(IOM)

আই ফতোয়া  ওয়েবসাইট বাংলাদেশের অন্যতম একটি নির্ভরযোগ্য ফতোয়া বিষয়ক সাইট। যেটি IOM এর ইফতা বিভাগ দ্বারা পরিচালিত।  যেকোন প্রশ্ন করার আগে আপনার প্রশ্নটি সার্চ বক্সে লিখে সার্চ করে দেখুন। উত্তর না পেলে প্রশ্ন করতে পারেন। আপনি প্রতিমাসে সর্বোচ্চ ৪ টি প্রশ্ন করতে পারবেন। এই প্রশ্ন ও উত্তরগুলো আমাদের ফেসবুকেও শেয়ার করা হবে। তাই প্রশ্ন করার সময় সুন্দর ও সাবলীল ভাষা ব্যবহার করুন।

বি.দ্র: প্রশ্ন করা ও ইলম অর্জনের সবচেয়ে ভালো মাধ্যম হলো সরাসরি মুফতি সাহেবের কাছে গিয়ে প্রশ্ন করা যেখানে প্রশ্নকারীর প্রশ্ন বিস্তারিত জানার ও বোঝার সুযোগ থাকে। যাদের এই ধরণের সুযোগ কম তাদের জন্য এই সাইট। প্রশ্নকারীর প্রশ্নের অস্পষ্টতার কারনে ও কিছু বিষয়ে কোরআন ও হাদীসের একাধিক বর্ণনার কারনে অনেক সময় কিছু উত্তরে ভিন্নতা আসতে পারে। তাই কোনো বড় সিদ্ধান্ত এই সাইটের উপর ভিত্তি করে না নিয়ে বরং সরাসরি স্থানীয় মুফতি সাহেবদের সাথে যোগাযোগ করতে হবে।

Related questions

...