আসসালামু আলাইকুম ওরাহমাতুল্লাহি ওয়াবারাকাতুহ, আমি মুসলিম পরিবারের সন্তান হয়েও দ্বীনের বুঝ পাই ২০১৯ এর দিকে আলহামদুলিল্লাহ, ২০২০ সালেই আমার বিয়ে হয়ে যায় আলহামদুলিল্লাহ, এবং আমি বিয়ের বিষয়টা নিয়ে অনেক বার ইস্তেখারা করি, আলহামদুলিল্লাহ আমার মন থেকে প্রস্তাবটা সম্মতিপূর্ণ মনে হয়।আমি স্বপ্নে দেখি সবাই আমাকে প্রস্তুত করছিল এই ঘরে বিয়ের জন্য। আর আমার বিয়ের ওকালতি করে পরিচিত একজন মামা। উনি মাশাআল্লাহ অনেক ভালো দ্বীন প্র্যাকটিস করেন , আল্লাহ ওনার ব্যাপারে উত্তম হিসাব গ্রহণকারী। মামা ছিলেন আমার ও আমার পরিবারের একজন বিশ্বস্ত সম্মানিত মানুষ। আমার স্বামী ছিলেন উনার পরিচিত এক ছোট ভাই, মামা বলেন ছেলে খুবই ভালো দ্বীনের বুঝ পাইছে এবং দ্বীন প্র্যাকটিস করে। ছেলের পড়াশোনা একটু কম, পার্টনারে ব্যবসা করে ও পার্টনারে গাড়ি আছে। বিয়ের সময় আমি জিজ্ঞেস করেছিলাম ছেলে সহীহ শুদ্ধভাবে তেলোয়াত পারে কিনা,? আমাকে বলা হয়েছে ছেলে সহিসুদ্ধ ভাবে পারে না তবে এটা ঠিক করে নিবে। তখন আমি নিজেও সহী ভাবে পারতাম না। আমার ধারণা ছিল দুজনে একসাথে সহি করে নিব ইনশাআল্লাহ, আর পড়াশোনা যখন জিজ্ঞেস করি বলছিল হয় ssc পরীক্ষা দিছে কিংবা দেয় নাই, আমি ভেবেছিলাম একজন মানুষের নিজের বুঝ থাকার জন্য আলহামদুলিল্লাহ এতটুকুই যথেষ্ট। আর দ্বীনের বুঝ পাওয়ার পর থেকে আমি নিজেই আল্লাহর কাছে সব সময় দোয়া করতাম একজন দ্বীনদার স্বামীর। আল্লাহ উত্তম জানেন, কেন জানি সবকিছু ভালো করে খোদাই করে দেখি নাই। উকিল মামা অনেক বিশ্বস্ত ছিল তাই ওনার প্রত্যেকটা কথাই বিশ্বাস করেছিলাম, আসলে মামাই ছেলের ব্যাপারে এত ডিটেলস জানতেন না, আমার স্বামী তখন ওনাকে স্পষ্ট করে কিছু বলে নাই। আলহামদুলিল্লাহ আমার বিয়ে হয়ে যায়, এখন বিয়ের পরের দিন আমি, আমার স্বামীকে একটা ইসলামিক বই পড়তে দি। তখন উনি আমাকে জানায় যে উনি বাংলা রিডিং টোটালি পড়তে পারে না,এবং ওনার আরবি বাংলা কোন শিক্ষাই নাই। আরো আমি জানতে পারি উনি পেশায় একজন ড্রাইভার। কেন জানি রবের প্রতি তখন আমার অনেক তাওয়াক্কুল ছিল, আমার চোখে পানি চলে আসে কথা গুলো শুনে,পরে আমার স্বামী আমাকে ওয়াদা দেয় যে কথাগুলো যেন আমি কাউকে না বলি। আমি ওনাকে বলি নাই যে আমি আপনার ওয়াদা রক্ষা করবো, শুধু বলেছি যে আমি আপনাকে সাহায্য করবো আপনি আরবি এবং বাংলা দুটোই শিখতে হবে। তারপর আল্লাহর জন্য সব মেনে নিই এবং পরিবারের কাউকে এবং কাউকে ভয়ে বলিনি কথা গুলো। বিয়ের প্রথম বছরই আমার প্রথম সন্ধান হয়, এবং প্রথম সন্তানের দেড় বছরের মাথায় আবার দ্বিতীয় সন্তান হয়ে যায় আলহামদুলিল্লাহ। আমি IOM ২৩১০ আলিম ব্যাচের ছাত্রী আলহামদুলিল্লাহ। বর্তমানে আমার মানুষির পরিস্থিতি এত বেশি খারাপ আমার স্বামীর সমস্ত বিষয়গুলো নিয়ে, কেননা আমি বিয়ের পর থেকে এই পর্যন্ত অনেক ভাবে আমার স্বামীকে কোরআন তেলাওয়াত শিখার জন্য চেষ্টা করছি। দ্বীন পালনের ব্যাপারে উনি খুবই ঢিলেঢালা। আমার একদম ভালো লাগে না এমন স্বভাব।
আমি এখন মানসিকভাবে ভীষণ হতাশ অবস্থার মধ্যে আছি , প্লিজ প্লিজ আমার বিষয়গুলো দয়া করে একটু গুরুত্বের সাথে দেখবেন। আমার এখন দুইটা ছোট ছোট সন্তান আলহামদুলিল্লাহ কিন্তু আমার এখন মনে হয় যে আমার স্বামীর সাথে আমার সম্পর্কটা রাখবো না, সে আমার সাথে প্রতারণা করছে, বিয়ের আগে সবকিছু আমাকে পরিষ্কার ভাবে বলে নাই, আমাকে ঠকাইছে এই অবস্থায় আমি আল্লাহর উপরে কিভাবে সুধারণা রাখতে পারি যেহেতু আল্লাহ তাআলার ফয়সালাই আমাদের জন্য উত্তম ফয়সালা। কেননা আমি তো আল্লাহর কাছে সব সময় দোয়া করতাম একজন দ্বীনদার জীবনসঙ্গীর। আর আমার দিলে এখন এমন মনে হয় যে আমার জন্য আরও উত্তম কিছু আছে আমি তার সাথে থাকবো না, তার সাথে আমার থাকা সম্ভব না । আমি অনেক কিছু গুছায় বলতে পারি নাই আমি এত বছর ধরে এই কষ্টগুলো দিলের ভিতর পুষতেছি কিন্তু কাউকে প্রকাশ করতে পারি নাই ভয়ে।
প্রশ্ন 1 : আমার স্বামী যে আমার সাথে এমন ভাবে প্রতারণা করলো এর সমাধান কি,,??
প্রশ্ন ২ : আমি আল্লাহর প্রতি এজন্য কি রকম সুধারণা রাখবো,,????
প্রশ্ন ৩ : আর আসলেই কি আমি আমার স্বামী সন্তানকে বাদ দিয়ে জীবনে নতুন কোন স্বপ্ন দেখতে পারি,,????
আমি অনেক বেশি আফওয়ান, এমন এলোমেলো অগোছালোভাবে জীবনের কথাগুলো তুলে ধরার জন্য। আল্লাহর জন্য আল্লাহর ওয়াস্তে আমাকে সাহায্য করেন আমি মানসিকভাবে খুব কষ্টের মধ্যে আছি। আর আমার একটা অনুরোধ আমার এই প্রশ্নটা যেন ডিলিট করে দেওয়া হয়। কেউ যেন দেখতে না পায়,,।