আইফতোয়াতে ওয়াসওয়াসা সংক্রান্ত প্রশ্নের উত্তর দেওয়া হবে না। ওয়াসওয়াসায় আক্রান্ত ব্যক্তির চিকিৎসা ও করণীয় সম্পর্কে জানতে এখানে ক্লিক করুন

0 votes
70 views
in বিবিধ মাস’আলা (Miscellaneous Fiqh) by (3 points)
আস্সালামুআলাইকুম হুজুর,রোজার মাসে যে নিম্নবিত্ত, মধ্যবিত্ত, উচ্চবিত্ত সবাই একটা নির্দিষ্ট এমাউন্ট পরিবারের প্রতিটি সদস্যের জন্য দেন,আমাদের গ্রামে যেটাকে ফেতরা বলে ,,,এটার সম্পর্কে বিস্তারিত জানতে চাই,,তা কি সবার জন্যই ফরজ !? আমার বাড়িতে প্রতিবছর এবং সবাই এই টাকাটা দেয়,,পাশের একটা প্রতিবেশী যারা দিন এনে দিন খায়,,চেরা কাপড় পরে বেড়ায়,,যদিও অটো চালক কিন্তু খুব গরিব,,উনি আজকে বললো উনার পরিবারের প্রতি সদস্যের জন্য  ১১৫  টাকা করে ফেতরা দিবেন ,,অথচ উনারা ধার করে অনেক সময় চাহিদা পূরণ করেন ,,এইমাত্র আমার নানীর কাছে ১০০ টাকা ধার নিতে এসেছিলো,,,এই বিষয়ে আমার কোনো ধারণা নেই,,তাই দয়াকরে যদি বলতেন।
২) হুজুর কোনো বোনের যদি রোজা থাকা অবস্থায় ১২ টার আগেই হায়েজ হয়ে যায় তখন কি পানি খেয়ে নিতে হয় ? ১২ টার আগেই রোজা ভাঙার পরেও যদি রোজা না খুলি তবেকি ১২ টার পরে আর রোজা খুলে যাবেনা?
৩)হায়েজ অবস্থায় ল্যাপটপে কুরআন পড়তে পারবো কি !?

1 Answer

0 votes
by (567,240 points)
জবাবঃ-
وعليكم السلام ورحمة الله وبركاته 
بسم الله الرحمن الرحيم 

(০১)
হাদীস শরীফে এসেছেঃ
  
صحيح البخاري (2/ 130)
1503 – حَدَّثَنَا يَحْيَى بْنُ مُحَمَّدِ بْنِ السَّكَنِ، حَدَّثَنَا مُحَمَّدُ بْنُ جَهْضَمٍ، حَدَّثَنَا إِسْمَاعِيلُ بْنُ جَعْفَرٍ، عَنْ عُمَرَ بْنِ نَافِعٍ، عَنْ أَبِيهِ، عَنِ ابْنِ عُمَرَ رَضِيَ اللَّهُ عَنْهُمَا، قَالَ: «فَرَضَ رَسُولُ اللَّهِ صَلَّى اللهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ زَكَاةَ الفِطْرِ صَاعًا مِنْ تَمْرٍ، أَوْ صَاعًا مِنْ شَعِيرٍ عَلَى العَبْدِ وَالحُرِّ، وَالذَّكَرِ وَالأُنْثَى، وَالصَّغِيرِ وَالكَبِيرِ مِنَ المُسْلِمِينَ، وَأَمَرَ بِهَا أَنْ تُؤَدَّى قَبْلَ خُرُوجِ النَّاسِ إِلَى الصَّلاَةِ»
[تعليق مصطفى البغا] (فرض) أوجب أو قدر.

 অর্থ : হযরত ইবনে উমর (রা.) থেকে বর্ণিত, তিনি বলেন, প্রত্যেক গোলাম, আযাদ, পুরুষ, নারী, প্রাপ্ত বয়স্ক, অপ্রাপ্ত বয়স্ক মুসলিমের উপর রাসূলুল্লাহ (সা.) زَكَاةَ الفِطْرِ সাদকাতুল ফিতর হিসাবে খেজুর হোক অথবা যব হোক এক সা’ পরিমাণ আদায় করা আবশ্যক করেছেন এবং লোকজনের ঈদের সালাতে বের হওয়ার পূর্বেই তা আদায় করার নির্দেশ দিয়েছেন। বুখারী-২/১৩১, হাদীস-১৫০৬।

হাদীস শরীফে এসেছেঃ- 
হযরত ইবনে আব্বাস রাযি থেকে বর্ণিত

ﻋَﻦْ ﺍﺑْﻦِ ﻋَﺒَّﺎﺱٍ ﻗَﺎﻝَ : « ﻓَﺮَﺽَ ﺭَﺳُﻮﻝُ ﺍﻟﻠَّﻪِ ﺻَﻠَّﻰ ﺍﻟﻠَّﻪُ ﻋَﻠَﻴْﻪِ ﻭَﺳَﻠَّﻢَ ﺯَﻛَﺎﺓَ ﺍﻟْﻔِﻄْﺮِ ﻃُﻬْﺮَﺓً ﻟِﻠﺼَّﺎﺋِﻢِ ﻣِﻦْ ﺍﻟﻠَّﻐْﻮِ ﻭَﺍﻟﺮَّﻓَﺚِ ﻭَﻃُﻌْﻤَﺔً ﻟِﻠْﻤَﺴَﺎﻛِﻴﻦِ ﻣَﻦْ ﺃَﺩَّﺍﻫَﺎ ﻗَﺒْﻞَ ﺍﻟﺼَّﻼﺓِ ﻓَﻬِﻲَ ﺯَﻛَﺎﺓٌ ﻣَﻘْﺒُﻮﻟَﺔٌ ﻭَﻣَﻦْ ﺃَﺩَّﺍﻫَﺎ ﺑَﻌْﺪَ ﺍﻟﺼَّﻼﺓِ ﻓَﻬِﻲَ ﺻَﺪَﻗَﺔٌ ﻣِﻦْ ﺍﻟﺼَّﺪَﻗَﺎﺕِ » 

রাসূলুল্লাহ সাঃ সদকাতুল ফিতরকে ওয়াজিব করেছেন।রোযাকে বেহুদা ও অশ্লীলতা থেকে পবিত্র করতে।এবং মিসনদকিনদের জন্য খাদ্য স্বরূপ হিসেবে।সুতরাং যারা ঈদের নামাযের পূর্বে ফিতরা কে আদায় করে নিবে,তাদের সেই সদকাহ হলো মকবুল সদকাহ।আর যারা ঈদের নামাযের পর সেটাকে আদায় করবে,তাদের সেই সদকাহ অন্যন্য নফল সদকাহ এর মত। অর্থাৎ-আল্লাহ ইচ্ছা করলে কবুল করবেন,আর ইচ্ছা না করলে কবুল করবেন না।(সুনানু আবি-দাউদ-১৩৭১)

★ফিতরা কার উপর ওয়াজিব?

وهي واجبة على الحر المسلم المالك لمقدار النصاب فاضلا عن حوائجه الأصلية كذا في الاختيار شرح المختار، ولا يعتبر فيه وصف النماء ويتعلق بهذا النصاب وجوب الأضحية، ووجوب نفقة الأقارب هكذا في فتاوى قاضي خان.

ভাবার্থ
নিত্যপ্রয়োজনীয় ব্যয়ভার ব্যতীত প্রত্যেক  নেসাব (৭.৫ ভড়ি স্বর্ণ/৫২.৫ ভড়ি রূপা বা রূপার সমমূল্য) পরিমাণ মালের মালিক স্বাধীন মুসলমানের উপর সদকায়ে ফিতর ওয়াজিব।

এক্ষেত্রে বাড়ন্ত মাল হওয়া জরুরী নয়।শুধু তাই নয়, বরং এ পরিমাণ মালের মালিকের উপর  কোরবানী ও নিকটাত্মীয়দের ব্যয়ভার গ্রহণ ওয়াজিব।(ফাতাওয়ায়ে হিন্দিয়া-১/১৯২)

আরো জানুনঃ 

সু-প্রিয় প্রশ্নকারী দ্বীনি ভাই/বোন, 
যারা নেসাব পরিমান সম্পদের মালিক নয়,তাদের উপর সদকায়ে ফিতর আদায় করা আবশ্যক নয়।

তারা যদি ফিতরা আদায় করেন,এটি নফল সদকাহ হবে।

(০২)
১২ টার পরেও রোযা ভাঙ্গা যাবে।
এতে কোনো সমস্যা নেই।

(০৩)
না,এটি জায়েজ নেই।


(আল্লাহ-ই ভালো জানেন)

------------------------
মুফতী ওলি উল্লাহ
ইফতা বিভাগ
Islamic Online Madrasah(IOM)

আই ফতোয়া  ওয়েবসাইট বাংলাদেশের অন্যতম একটি নির্ভরযোগ্য ফতোয়া বিষয়ক সাইট। যেটি IOM এর ইফতা বিভাগ দ্বারা পরিচালিত।  যেকোন প্রশ্ন করার আগে আপনার প্রশ্নটি সার্চ বক্সে লিখে সার্চ করে দেখুন। উত্তর না পেলে প্রশ্ন করতে পারেন। আপনি প্রতিমাসে সর্বোচ্চ ৪ টি প্রশ্ন করতে পারবেন। এই প্রশ্ন ও উত্তরগুলো আমাদের ফেসবুকেও শেয়ার করা হবে। তাই প্রশ্ন করার সময় সুন্দর ও সাবলীল ভাষা ব্যবহার করুন।

বি.দ্র: প্রশ্ন করা ও ইলম অর্জনের সবচেয়ে ভালো মাধ্যম হলো সরাসরি মুফতি সাহেবের কাছে গিয়ে প্রশ্ন করা যেখানে প্রশ্নকারীর প্রশ্ন বিস্তারিত জানার ও বোঝার সুযোগ থাকে। যাদের এই ধরণের সুযোগ কম তাদের জন্য এই সাইট। প্রশ্নকারীর প্রশ্নের অস্পষ্টতার কারনে ও কিছু বিষয়ে কোরআন ও হাদীসের একাধিক বর্ণনার কারনে অনেক সময় কিছু উত্তরে ভিন্নতা আসতে পারে। তাই কোনো বড় সিদ্ধান্ত এই সাইটের উপর ভিত্তি করে না নিয়ে বরং সরাসরি স্থানীয় মুফতি সাহেবদের সাথে যোগাযোগ করতে হবে।

Related questions

+1 vote
1 answer 247 views
...