আইফতোয়াতে ওয়াসওয়াসা সংক্রান্ত প্রশ্নের উত্তর দেওয়া হবে না। ওয়াসওয়াসায় আক্রান্ত ব্যক্তির চিকিৎসা ও করণীয় সম্পর্কে জানতে এখানে ক্লিক করুন

0 votes
37 views
in বিবিধ মাস’আলা (Miscellaneous Fiqh) by (11 points)
আসসালামু আলাইকুম ওয়া রহমাতুল্লাহ শাইখ। পাঞ্জেগানা মসজিদে ইতিকাফের ব্যাপারে কয়েকটি জিজ্ঞাসা ছিল: (দ্রুত জবাব আশা করছি)

(১) পাঞ্জেগানা মসজিদে কী রমাদানের শেষ দশকের সুন্নাতে মুয়াক্কাদাহ ইতিকাফ করা দুরস্ত আছে? নাকি এতে শুধু নফল ইতিকাফ করা যাবে?

(২) কোনো এলাকায় যদি একটি পাঞ্জেগানা মসজিদ থাকে এবং এলাকাবাসী কেউ সেটায় রমাদানের শেষ দশকে ইতিকাফে না বসে, তাহলে কী এলাকাবাসী গোনাহগার হবে?

(৩) পাঞ্জেগানা মসজিদ এবং জামে মসজিদের ইতিকাফের সাওয়াবে কোনো ব্যবধান আছে কী?

1 Answer

0 votes
by (684,760 points)
জবাবঃ-
وعليكم السلام ورحمة الله وبركاته 
بسم الله الرحمن الرحيم

(০১)
সুন্নাত ইতিকাফের জন্য শরয়ী মসজিদ শর্ত।
শরয়ী মসজিদ ছাড়া সুন্নাত ইতিকাফ আদায় হবেনা।

হাদীস শরীফে এসেছেঃ- 
আয়েশা (রাঃ) এর বাণী: "জামাতে নামায পড়া হয় এমন মসজিদ ছাড়া ইতিকাফ হয় না"[বাইহাকীর বর্ণিত; আলবানী "কিয়ামু রামাযান" পুস্তিকাতে সহিহ বলেছেন]

ইবনে আব্বাস (রাঃ) এর বাণী: "যে মসজিদে নামায কায়েম হয় এমন মসজিদ ছাড়া কোন ইতিকাফ হয় না।"[আল-মাওসুআ আল-ফিকহিয়্যা (৫/২১২)]

এতেকাফ শুদ্ধ হবার জন্য শরয়ী মসজিদ হওয়া আবশ্যক। যেটা শরয়ী মসজিদ নয়,সেখানে সুন্নাত ইতিকাফ আদায় করলে সুন্নাত ইতিকাফ আদায় হবে না। বরং কাছাকাছি অন্য কোন মসজিদে ইতিকাফ করে নিবে।
যদি উক্ত মহল্লায় আর কোন মসজিদ না থাকে, তাহলে উক্ত স্থানে ইতিকাফ করা শুদ্ধ হবে।
[বাদায়েউস সানায়ে ২/২৮০; তাবয়ীনুল হাকায়েক ২/২২৫; ইমদাদুল আহকাম ১/৪৪৭,ফাতাওয়া রাহিমীয়া-৭/২৮৩]

বিস্তারিত জানুনঃ- 

★সু-প্রিয় প্রশ্নকারী দ্বীনি ভাই,
প্রশ্নে উল্লেখিত পাঞ্জেগানা মসজিদ যদি শরয়ী মসজিদ হয়ে থাকে,অর্থাৎ তাহা যদি মসজিদের নামে ওয়াকফ কৃত হয়ে থাকে,তাহলে সেই মসজিদে রমাদানের শেষ দশকের সুন্নাতে মুয়াক্কাদাহ ইতিকাফ করা দুরস্ত আছে।

কেউ সেই মসজিদে ইতেকাফ না করলে পুরো মহল্লা বাসী গুনাহগার হবে।

(০২)
মহল্লার জামে মসজিদে ইতেকাফ করা সুন্নতে মুয়াক্কাদা কিফায়া। সুন্নতে মুয়াক্কাদা কিফায়ার মানে হলো, সবার পক্ষ থেকে কমপক্ষে একজন হলেও আদায় করতে হবে। অন্যথায় পুরো এলাকাবাসী গুনাহগার হবে।

হাদীস শরীফে এসেছেঃ
  
حَدَّثَنِي مُحَمَّدٌ أَخْبَرَنَا عَبْدَةُ عَنْ هِشَامِ بْنِ عُرْوَةَ عَنْ أَبِيهِ عَنْ عَائِشَةَ قَالَتْ كَانَ رَسُولُ اللهِ صلى الله عليه وسلم يُجَاوِرُ فِي الْعَشْرِ الأَوَاخِرِ مِنْ رَمَضَانَ وَيَقُولُ تَحَرَّوْا لَيْلَةَ الْقَدْرِ فِي الْعَشْرِ الأَوَاخِرِ مِنْ رَمَضَانَ

 ‘আয়িশাহ্ (রাযি.) হতে বর্ণিত। তিনি বলেন, আল্লাহর রাসূল সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম রমাযানের শেষ দশকে ই‘তিকাফ করতেন এবং বলতেনঃ তোমরা রমাযানের শেষ দশকে লাইলাতুল কদর [ক্বদর] অনুসন্ধান কর। (বুখারী ২০২০.২০১৭)  (আধুনিক প্রকাশনীঃ ১৮৭৭, ইসলামিক ফাউন্ডেশনঃ ১৮৯০)

حَدَّثَنَا إِسْمَاعِيلُ بْنُ عَبْدِ اللَّهِ، قَالَ حَدَّثَنِي ابْنُ وَهْبٍ، عَنْ يُونُسَ، أَنَّ نَافِعًا، أَخْبَرَهُ عَنْ عَبْدِ اللَّهِ بْنِ عُمَرَ ـ رضى الله عنهما ـ قَالَ كَانَ رَسُولُ اللَّهِ صلى الله عليه وسلم يَعْتَكِفُ الْعَشْرَ الأَوَاخِرَ مِنْ رَمَضَانَ.

ইসমাঈল ইবনু ‘আবদুল্লাহ (রহঃ) ... ‘আবদুল্লাহ ইবনু ‘উমর (রাঃ) থেকে বর্ণিত, তিনি বলেন, রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম রমযানের শেষ দশক ইতেকাফ করতেন।
(বুখারী ১৮৯৮)

বিস্তারিত জানুনঃ- 

★সু-প্রিয় প্রশ্নকারী দ্বীনি ভাই,
প্রশ্নে উল্লেখিত মসজিদ টি যদি শরয়ী মসজিদ হয়ে থাকে,অর্থাৎ তাহা যদি মসজিদের নামে ওয়াকফ কৃত হয়ে থাকে,তাহলে কেউ সেই মসজিদে ইতেকাফ না করলে পুরো মহল্লা বাসী গুনাহগার হবে।

উক্ত মসজিদ যদি শরয়ী মসজিদ না হয়,সেক্ষেত্রে সেই মসজিদে ইতেকাফ না করলে মহল্লা বাসী কেহই গুনাহগার হবেনা।

(০৩)
নিজ মহল্লার শরয়ী মসজিদে ইতেকাফ না হলে অন্যত্রে বা জামে মসজিদে ইতেকাফে বসা যাবেনা।
এতে তার মহল্লার মসজিদে ইতেকাফ না হওয়ার দরুন সে সহ মহল্লার সকলেই গুনাহগার হবে।

হ্যাঁ যদি নিজ মহল্লার মসজিদে কেহ ইতেকাফে বসে থাকে,আর জামে মসজিদে কোনো বুযুর্গ ব্যাক্তি থাকার দরুন ইসলাহের জন্য কেহ জামে মসজিদে ইতেকাফে বসে, তাহলে তাহা উত্তম বলে অনেকে উল্লেখ করেছেন।


(আল্লাহ-ই ভালো জানেন)

------------------------
মুফতী ওলি উল্লাহ
ইফতা বিভাগ
Islamic Online Madrasah(IOM)

আই ফতোয়া  ওয়েবসাইট বাংলাদেশের অন্যতম একটি নির্ভরযোগ্য ফতোয়া বিষয়ক সাইট। যেটি IOM এর ইফতা বিভাগ দ্বারা পরিচালিত।  যেকোন প্রশ্ন করার আগে আপনার প্রশ্নটি সার্চ বক্সে লিখে সার্চ করে দেখুন। উত্তর না পেলে প্রশ্ন করতে পারেন। আপনি প্রতিমাসে সর্বোচ্চ ৪ টি প্রশ্ন করতে পারবেন। এই প্রশ্ন ও উত্তরগুলো আমাদের ফেসবুকেও শেয়ার করা হবে। তাই প্রশ্ন করার সময় সুন্দর ও সাবলীল ভাষা ব্যবহার করুন।

বি.দ্র: প্রশ্ন করা ও ইলম অর্জনের সবচেয়ে ভালো মাধ্যম হলো সরাসরি মুফতি সাহেবের কাছে গিয়ে প্রশ্ন করা যেখানে প্রশ্নকারীর প্রশ্ন বিস্তারিত জানার ও বোঝার সুযোগ থাকে। যাদের এই ধরণের সুযোগ কম তাদের জন্য এই সাইট। প্রশ্নকারীর প্রশ্নের অস্পষ্টতার কারনে ও কিছু বিষয়ে কোরআন ও হাদীসের একাধিক বর্ণনার কারনে অনেক সময় কিছু উত্তরে ভিন্নতা আসতে পারে। তাই কোনো বড় সিদ্ধান্ত এই সাইটের উপর ভিত্তি করে না নিয়ে বরং সরাসরি স্থানীয় মুফতি সাহেবদের সাথে যোগাযোগ করতে হবে।

Related questions

0 votes
1 answer 516 views
...