জবাবঃ-
وعليكم السلام ورحمة الله وبركاته
بسم الله الرحمن الرحيم
হাদীস শরীফে এসেছেঃ-
حَدَّثَنَا يَحْيَى بْنُ بُكَيْرٍ، قَالَ حَدَّثَنَا اللَّيْثُ، قَالَ حَدَّثَنِي عُقَيْلٌ، عَنِ ابْنِ شِهَابٍ، عَنْ عُرْوَةَ، عَنْ عَائِشَةَ، أَنَّ أَزْوَاجَ النَّبِيِّ، صلى الله عليه وسلم كُنَّ يَخْرُجْنَ بِاللَّيْلِ إِذَا تَبَرَّزْنَ إِلَى الْمَنَاصِعِ ـ وَهُوَ صَعِيدٌ أَفْيَحُ ـ فَكَانَ عُمَرُ يَقُولُ لِلنَّبِيِّ صلى الله عليه وسلم احْجُبْ نِسَاءَكَ. فَلَمْ يَكُنْ رَسُولُ اللَّهِ صلى الله عليه وسلم يَفْعَلُ، فَخَرَجَتْ سَوْدَةُ بِنْتُ زَمْعَةَ زَوْجُ النَّبِيِّ صلى الله عليه وسلم لَيْلَةً مِنَ اللَّيَالِي عِشَاءً، وَكَانَتِ امْرَأَةً طَوِيلَةً، فَنَادَاهَا عُمَرُ أَلاَ قَدْ عَرَفْنَاكِ يَا سَوْدَةُ. حِرْصًا عَلَى أَنْ يَنْزِلَ الْحِجَابُ، فَأَنْزَلَ اللَّهُ آيَةَ الْحِجَابِ.
‘আয়িশাহ (রাযি.) হতে বর্ণিত যে, নাবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম -এর স্ত্রীগণ রাতের বেলায় প্রকৃতির ডাকে সাড়া দিতে খোলা ময়দানে যেতেন। আর ‘উমার (রাযি.) নাবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম -কে বলতেন, ‘আপনার স্ত্রীগণকে পর্দায় রাখুন।’ কিন্তু আল্লাহর রাসূল সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম তা করেননি। এক রাতে ‘ইশার সময় নাবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম -এর স্ত্রী সওদাহ বিন্তু যাম‘আহ (রাযি.) প্রাকৃতিক প্রয়োজনে বের হন। তিনি ছিলেন দীর্ঘাঙ্গী। ‘উমার (রাযি.) তাঁকে ডেকে বললেন, ‘হে সওদা! আমি কিন্তু তোমাকে চিনে ফেলেছি।’ যেন পর্দার হুকুম অবতীর্ণ হয় সেই উদ্দেশ্যেই তিনি এ কথা বলেছিলেন। অতঃপর আল্লাহ্ তা‘আলা পর্দার হুকুম অবতীর্ণ করেন। (বুখারী ১৪৬,১৪৭, ৪৭৯৫, ৫২৩৭, ৬২৪০ দ্রষ্টব্য) (আধুনিক প্রকাশনীঃ ১৪৩, ইসলামিক ফাউন্ডেশনঃ ১৪৮)
★সু-প্রিয় প্রশ্নকারী দ্বীনি ভাই/বোন,
(০১)
সেই সময়ে কাহারো বাড়িতে ইস্তেঞ্জা খানা ছিলোনা।
সকলেই দূরে লোকজনের আড়ালে গিয়ে ইস্তেঞ্জা করতো। রাসুলুল্লাহ সাঃ এর স্ত্রীগন রাত্রীতে ইস্তেঞ্জার জন্য বাহিরে যেতেন।
যেহেতু সেই সময় পর্যন্ত ইসলামে পর্দার বিধান নাযিল হয়নি তাই এক্ষেত্রে তাদের চেহারা খোলা ছিলো।
যেহেতু সেই সময় পর্যন্ত ইসলামে পর্দার বিধান নাযিল হয়নি,সুতরাং তখন পর্দা করা ফরজ ছিলোনা।
তাই এর উপর ভিত্তি করে রাসুলুল্লাহ সাঃ কে দোষারোপ করা যাবেনা।
(০২)
রাসুলের চেয়ে ওমর রাঃ বেসি নৈতিকতা সম্পন্ন ছিলেন,এভাবে বলা ঠিক নয়।
মূলত পর্দার বিধান নাযিল হওয়ার আগে থেকেই ওমর রাঃ মনে মনে পর্দার বেশ গুরুত্ব বুঝেছিলেন,তাই তিনি এমনটি বলেছেন,করেছেন।