আইফতোয়াতে ওয়াসওয়াসা সংক্রান্ত প্রশ্নের উত্তর দেওয়া হবে না। ওয়াসওয়াসায় আক্রান্ত ব্যক্তির চিকিৎসা ও করণীয় সম্পর্কে জানতে এখানে ক্লিক করুন

0 votes
138 views
in বিবিধ মাস’আলা (Miscellaneous Fiqh) by (16 points)
Assalamu Alaikum
❝Bukhari, Hadith no: 146
1) Why did Muhammad (Sm.) not want his wives to be veiled at first?

2) Why did 'Umar's (Ra.) desires affect the revelation of the Qur'an? I saw some atheists say that this shows how 'Umar (Ra.) had better Islamic morals than Muhammad (Sm.), and how this nullifies the challenge given by Allah to write anything of similar quality with the Qur'an, since it came from 'Umar's (Ra.) desires.❞

1 Answer

0 votes
by (561,180 points)
জবাবঃ-
وعليكم السلام ورحمة الله وبركاته 
بسم الله الرحمن الرحيم

হাদীস শরীফে এসেছেঃ- 

حَدَّثَنَا يَحْيَى بْنُ بُكَيْرٍ، قَالَ حَدَّثَنَا اللَّيْثُ، قَالَ حَدَّثَنِي عُقَيْلٌ، عَنِ ابْنِ شِهَابٍ، عَنْ عُرْوَةَ، عَنْ عَائِشَةَ، أَنَّ أَزْوَاجَ النَّبِيِّ، صلى الله عليه وسلم كُنَّ يَخْرُجْنَ بِاللَّيْلِ إِذَا تَبَرَّزْنَ إِلَى الْمَنَاصِعِ ـ وَهُوَ صَعِيدٌ أَفْيَحُ ـ فَكَانَ عُمَرُ يَقُولُ لِلنَّبِيِّ صلى الله عليه وسلم احْجُبْ نِسَاءَكَ. فَلَمْ يَكُنْ رَسُولُ اللَّهِ صلى الله عليه وسلم يَفْعَلُ، فَخَرَجَتْ سَوْدَةُ بِنْتُ زَمْعَةَ زَوْجُ النَّبِيِّ صلى الله عليه وسلم لَيْلَةً مِنَ اللَّيَالِي عِشَاءً، وَكَانَتِ امْرَأَةً طَوِيلَةً، فَنَادَاهَا عُمَرُ أَلاَ قَدْ عَرَفْنَاكِ يَا سَوْدَةُ. حِرْصًا عَلَى أَنْ يَنْزِلَ الْحِجَابُ، فَأَنْزَلَ اللَّهُ آيَةَ الْحِجَابِ.

‘আয়িশাহ (রাযি.) হতে বর্ণিত যে, নাবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম -এর স্ত্রীগণ রাতের বেলায় প্রকৃতির ডাকে সাড়া দিতে খোলা ময়দানে যেতেন। আর ‘উমার (রাযি.) নাবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম -কে বলতেন, ‘আপনার স্ত্রীগণকে পর্দায় রাখুন।’ কিন্তু আল্লাহর রাসূল সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম তা করেননি। এক রাতে ‘ইশার সময় নাবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম -এর স্ত্রী সওদাহ বিন্তু যাম‘আহ (রাযি.) প্রাকৃতিক প্রয়োজনে বের হন। তিনি ছিলেন দীর্ঘাঙ্গী। ‘উমার (রাযি.) তাঁকে ডেকে বললেন, ‘হে সওদা! আমি কিন্তু তোমাকে চিনে ফেলেছি।’ যেন পর্দার হুকুম অবতীর্ণ হয় সেই উদ্দেশ্যেই তিনি এ কথা বলেছিলেন। অতঃপর আল্লাহ্ তা‘আলা পর্দার হুকুম অবতীর্ণ করেন। (বুখারী ১৪৬,১৪৭, ৪৭৯৫, ৫২৩৭, ৬২৪০ দ্রষ্টব্য) (আধুনিক প্রকাশনীঃ ১৪৩, ইসলামিক ফাউন্ডেশনঃ ১৪৮)

★সু-প্রিয় প্রশ্নকারী দ্বীনি ভাই/বোন,
(০১)
সেই সময়ে কাহারো বাড়িতে ইস্তেঞ্জা খানা ছিলোনা।
সকলেই দূরে লোকজনের আড়ালে গিয়ে ইস্তেঞ্জা করতো। রাসুলুল্লাহ সাঃ এর স্ত্রীগন রাত্রীতে ইস্তেঞ্জার জন্য বাহিরে যেতেন।

যেহেতু সেই সময় পর্যন্ত ইসলামে পর্দার বিধান নাযিল হয়নি তাই এক্ষেত্রে তাদের চেহারা খোলা ছিলো।

যেহেতু সেই সময় পর্যন্ত ইসলামে পর্দার বিধান নাযিল হয়নি,সুতরাং তখন পর্দা করা ফরজ ছিলোনা।
তাই এর উপর ভিত্তি করে রাসুলুল্লাহ সাঃ কে দোষারোপ করা যাবেনা।

(০২)
রাসুলের চেয়ে ওমর রাঃ বেসি নৈতিকতা সম্পন্ন ছিলেন,এভাবে বলা ঠিক নয়।

মূলত পর্দার বিধান নাযিল হওয়ার আগে থেকেই ওমর রাঃ মনে মনে পর্দার বেশ গুরুত্ব বুঝেছিলেন,তাই তিনি এমনটি বলেছেন,করেছেন।


(আল্লাহ-ই ভালো জানেন)

------------------------
মুফতী ওলি উল্লাহ
ইফতা বিভাগ
Islamic Online Madrasah(IOM)

আই ফতোয়া  ওয়েবসাইট বাংলাদেশের অন্যতম একটি নির্ভরযোগ্য ফতোয়া বিষয়ক সাইট। যেটি IOM এর ইফতা বিভাগ দ্বারা পরিচালিত।  যেকোন প্রশ্ন করার আগে আপনার প্রশ্নটি সার্চ বক্সে লিখে সার্চ করে দেখুন। উত্তর না পেলে প্রশ্ন করতে পারেন। আপনি প্রতিমাসে সর্বোচ্চ ৪ টি প্রশ্ন করতে পারবেন। এই প্রশ্ন ও উত্তরগুলো আমাদের ফেসবুকেও শেয়ার করা হবে। তাই প্রশ্ন করার সময় সুন্দর ও সাবলীল ভাষা ব্যবহার করুন।

বি.দ্র: প্রশ্ন করা ও ইলম অর্জনের সবচেয়ে ভালো মাধ্যম হলো সরাসরি মুফতি সাহেবের কাছে গিয়ে প্রশ্ন করা যেখানে প্রশ্নকারীর প্রশ্ন বিস্তারিত জানার ও বোঝার সুযোগ থাকে। যাদের এই ধরণের সুযোগ কম তাদের জন্য এই সাইট। প্রশ্নকারীর প্রশ্নের অস্পষ্টতার কারনে ও কিছু বিষয়ে কোরআন ও হাদীসের একাধিক বর্ণনার কারনে অনেক সময় কিছু উত্তরে ভিন্নতা আসতে পারে। তাই কোনো বড় সিদ্ধান্ত এই সাইটের উপর ভিত্তি করে না নিয়ে বরং সরাসরি স্থানীয় মুফতি সাহেবদের সাথে যোগাযোগ করতে হবে।

Related questions

...