আইফতোয়াতে ওয়াসওয়াসা সংক্রান্ত প্রশ্নের উত্তর দেওয়া হবে না। ওয়াসওয়াসায় আক্রান্ত ব্যক্তির চিকিৎসা ও করণীয় সম্পর্কে জানতে এখানে ক্লিক করুন

0 votes
169 views
in যাকাত ও সদকাহ (Zakat and Charity) by (12 points)
reshown by
১)আমার হাজব্যান্ড একজন স্টুডেন্ট, ঢাকায় টিউশনি করে ম্যাসে থেকে শুধু নিজের খরজ কোনোমতে চালান আর পড়াশুনা করেন, নিজের খরজ টাই পুরোপুরি চালাতে হিমসিম খেয়ে যান, আমি আমার বাবার বাড়িতে থাকি এবং আমার ভরণপোষণ আমার বাবা দেন, হাজবেন্ড এর সামথ্য নেই। কিন্তু উপহার হিসেবে আমার হাজব্যান্ড ১২আনা স্বর্ণের মালিক হয়েছেন  এবং সাথে তার নিজের নগদ অর্থ আছে অল্প কিছু, উভয় মিলে যদি রুপার নিসাবের মালিক হয়ে যান। কিন্তু যাকাত এখনো ফরজ হয় নি, তাহলে কি তিনি জাকাতের টাকা ভোগ করতে পারবেন??
২)আমার উপর জাকাত ফরজ হয়েছে, এ অবস্থায় আমার হাজব্যান্ডকে আমি আমার জাকাতের অর্থ দিতে পারবো কি?

৩)যদি তিনি নিসাবের মালিক না হয়ে থাকেন, তার ৫০০০টাকার ঋণ থাকে, এবং নগদ ১২আনা স্বর্ণ, এবং ৩০০০/৩৫০০টাকা থাকে, তাহলে কি আমি তাকে জাকাতের অর্থ দিতে পারবো? এবং এক্ষেত্রে কি পরিমান দেওয়া যেতে পারে? যেহেতু তার প্রায় নিসাবের কাছাকাছি সম্পদ রয়েছে কিন্তু এখনো নিসাবের মালিক হন নি, এ অবস্থায় তাকে কি পরিমান অর্থ দেওয়া যেতে পারে? মানে আমার জাকাতের পুরো টাকা তাকে দিতে পারবো কিনা? পুরো টাকা দিলে যদি তিনি নিজে নিসাবের মালিক হয়ে যান??? এক্ষেত্রে তাকে কি পরিমান অর্থ দেওয়া যেতে পারে??

৪)কোনো ব্যক্তি তার বিগত বছরের জাকাতের  হিসাব কিভাবে করবে? যদি তখন সে অঙ্গতা বসত জাকাত ফরজ হওয়া সর্তেও আদায় করে না থাকে? এক্ষেত্রে স্বর্ণ বা রূপার বাজার মূল্য এবং নিসাব কোন বছর অনুযায়ী ধরবে? পূর্ববর্তী বছর অনুযায়ী নাকি বর্তমান চলতি বছর অনুযায়ী?
by (12 points)
স্ত্রী স্বামাকে জাকাত দিলে যদি যাকাতের টাকা ঘুরে ফিরে আবার স্ত্রীর কাছে ফিরে আসার কোনো সম্ভবনাই না থাকে তাহলেও কি স্ত্রী তার স্বামীকে জাকাত দিতে পারবে না?? যেহেতু হাজবেন্ড নিজে চলতেই হিমসিম খান বিধায় আমি বাবার বাড়িতে থাকি এবং আমার সকল খরজ আমার বাবাই বহণ করেন। কখনো কখনো এমনও হয় যে তার হাতে কোনো অর্থই থাকে না।

1 Answer

0 votes
by (590,550 points)

ওয়া আলাইকুমুস-সালাম ওয়া রাহমাতুল্লাহি ওয়া বারাকাতুহু। 
বিসমিল্লাহির রাহমানির রাহিম।
জবাবঃ-
কে যাকাত খেতে পারবে?
وَلَا يُشْتَرَطُ النَّمَاءُ إذْ هُوَ شَرْطُ وُجُوبِ الزَّكَاةِ لَا الْحِرْمَانِ كَذَا فِي الْكَافِي. وَيَجُوزُ دَفْعُهَا إلَى مَنْ يَمْلِكُ أَقَلَّ مِنْ النِّصَابِ، وَإِنْ كَانَ صَحِيحًا مُكْتَسَبًا كَذَا فِي الزَّاهِدِيِّ.
অর্থাৎ-নেসাব পরিমাণ মাল(নামী তথা বাড়ন্ত হোক বা না হোক,শরীয়তে নামী মাল চার প্রকার যথা-স্বর্ণ,রূপা বা টাকা,ব্যবসার মাল,গবাদি পশু) এর মালিক না হলে যাকাত খাওয়া যাবে যদি প্রয়োজন থাকে। তাই গায়রে নামী বা অবাড়ন্ত মালের নেসাব পরিমাণ কেউ মালিক হলে যদিও তার উপর যাকাত আসবে না তথাপিও সে যাকাতের মাল খেতে পারবে না।আর কোনো প্রকার মালই যদি কারো কাছে নেসাব পরিমাণ না থাকে তাহলে সে সুস্থ উপার্জন স্বক্ষম হওয়া সত্তেও তার জন্য যাকাতের মাল খাওয়া জায়েয আছে।(ফাতাওয়া হিন্দিয়া-১/১৮৯)

والأولى أن يفسر الفقير بمن له ما دون النصاب كما في النقاية أخذا من قولهم يجوز دفع الزكاة إلى من يملك ما دون النصاب أو قدر نصاب غير تام، وهو مستغرق في الحاجة،
ফকিরের উত্তম ব্যখা হলো,যার নেসাব পরিমাণ মাল নেই।সুতরাং যার নেসাব পরিমাণ মালে নামী(ক্রমবর্ধমান) নাই বা যার নেসাব পরিমাণ মালে গায়রে নামী(অক্রমবর্ধমান)আছে, তবে সে হাজতে লিপ্ত, এমন ব্যক্তিকে যাকাত দেয়া যাবে।(বাহরুর রায়েক্ব-২/২৫৮)

এ সম্পর্কে বিস্তারিত জানতে ক্লিক করুন-

সু-প্রিয় পাঠকবর্গ ও প্রশ্নকারী দ্বীনী ভাই/বোন!
(১) আপনার স্বামীর ক্রমবর্ধমান নেসাব পরিমাণ মাল না থাকলে তিনি যাকাত গ্রহণ করতে পারবেন।


(২) স্ত্রী কখনো তার স্বামীকে যাকাত দিতে পারবে না।

(৩) স্ত্রী তার স্বামীকে যাকাত দিতে পারবে না। স্বামীর যদি নেসাব পরিমাণ মাল না থাকে, তাহলে তিনি অন্যর যাকাত গ্রহণ করতে পারবন।

(৪)বকেয়া যাকাতের ক্ষেত্রে স্বর্ণ বা রূপার পূর্ববর্তী বাজার মূল্য ধরে অনুমানের ভিত্তিতে যাকাত আদায় করবে।


(আল্লাহ-ই ভালো জানেন)

--------------------------------
মুফতী ইমদাদুল হক
ইফতা বিভাগ
Islamic Online Madrasah(IOM)

by (12 points)
(১) আপনার স্বামীর ক্রমবর্ধমান নেসাব পরিমাণ মাল না থাকলে তিনি যাকাত গ্রহণ করতে পারবেন। 
এখানে ক্রমবর্ধমান মাল বলতে কি বুঝানো হয়েছে?
by (590,550 points)
যেই মাল শরীয়তের দৃষ্টিতে বাড়ে। ১,স্বর্ণ, ২রূপা, ৩,নগদ টাকা, ৪,ব্যবাসার মাল।

আই ফতোয়া  ওয়েবসাইট বাংলাদেশের অন্যতম একটি নির্ভরযোগ্য ফতোয়া বিষয়ক সাইট। যেটি IOM এর ইফতা বিভাগ দ্বারা পরিচালিত।  যেকোন প্রশ্ন করার আগে আপনার প্রশ্নটি সার্চ বক্সে লিখে সার্চ করে দেখুন। উত্তর না পেলে প্রশ্ন করতে পারেন। আপনি প্রতিমাসে সর্বোচ্চ ৪ টি প্রশ্ন করতে পারবেন। এই প্রশ্ন ও উত্তরগুলো আমাদের ফেসবুকেও শেয়ার করা হবে। তাই প্রশ্ন করার সময় সুন্দর ও সাবলীল ভাষা ব্যবহার করুন।

বি.দ্র: প্রশ্ন করা ও ইলম অর্জনের সবচেয়ে ভালো মাধ্যম হলো সরাসরি মুফতি সাহেবের কাছে গিয়ে প্রশ্ন করা যেখানে প্রশ্নকারীর প্রশ্ন বিস্তারিত জানার ও বোঝার সুযোগ থাকে। যাদের এই ধরণের সুযোগ কম তাদের জন্য এই সাইট। প্রশ্নকারীর প্রশ্নের অস্পষ্টতার কারনে ও কিছু বিষয়ে কোরআন ও হাদীসের একাধিক বর্ণনার কারনে অনেক সময় কিছু উত্তরে ভিন্নতা আসতে পারে। তাই কোনো বড় সিদ্ধান্ত এই সাইটের উপর ভিত্তি করে না নিয়ে বরং সরাসরি স্থানীয় মুফতি সাহেবদের সাথে যোগাযোগ করতে হবে।

Related questions

...