ওয়া আলাইকুমুস-সালাম ওয়া রাহমাতুল্লাহি ওয়া বারাকাতুহু।
বিসমিল্লাহির রাহমানির রাহিম।
জবাবঃ-
আলহামদুলিল্লাহ!
রুপার মূল্যকে যাকাতের মানডন্ড ঘোষণা করার ধরুণ যদিও আজকাল অনেক হাজতমন্দের উপর যাকাত ওয়াজিব হয়ে যায়,এবং অনেক হাজতমন্দকে যাকাত দেয়া যায় না,তথাপিও এই রূপ্য মূল্যকে সাধারণ মালের যাকাতের নেসাবের জন্য মানডন্ড হিসেবে সাব্যস্ত করা হয়েছে।এবং এর উপরই ফাতাওয়া হয়েছে।এজন্য উলামায়ে কেরাম হিলা বা কৌশলগত ভাবে বলেন যে,যদি কেউ এই পরিমাণ সম্পদের মালিক থাকে, এবং তার স্ত্রী বা বালেগ সন্তানের এই পরিমাণ সম্পদ না থাকে তাহলে ঐ ব্যক্তির স্ত্রী বা বালেগ সন্তানাদিদের জন্য যাকাত গ্রহণ বৈধ হবে।(কিতাবুল ফাতাওয়া-৩/২৭৬)
যেহেতু রুপ্য মূল্যকে মানডন্ড হিসেবে মুতাআখখিরিন (তিনশত হিজরী পরবর্তী হানাফি ফকিহ) উলামায়ে কেরামগণ ফাতাওয়া দিয়ে গেছেন।তাই এক্ষেত্রে স্বর্ণকে মানডন্ড করা যাবে না। কেননা ইসলাম সর্বদা এটাই চায় যে কারো কাছে যেন অলস টাকা না থাকে, বরং এই সামান্য টাকাকে পুঁজি করে সে যেন তার জীবিকা উপার্জনের পথ খুজে নেয়। এ বিষয়টা বোধগম্য করার লক্ষ্যেই উলামায়ে কেরামগণ অল্পমূল্যের নেসাব তথা রূপাকে মানডন্ড ঘোষণা করে যাকাত ওয়াজিব করেছেন। এ সম্পর্কে বিস্তারিত জানতে ক্লিক করুন-
https://www.ifatwa.info/366
সু-প্রিয় প্রশ্নকারী দ্বীনী ভাই/বোন!
(১) সোনা এবং রূপার মধ্যে যেকোনো একটিকে নিজের ইচ্ছায় বেছে নেয়া যাবে না।বরং শরীয়ত কর্তৃক সিদ্ধান্তকে গ্রহণ করে নিতে হবে।
(২) শরীয়তের সিদ্ধান্ত গরীবদের প্রতি লক্ষ্য করেই গ্রহণ করা হয়েছে। ফুকাহায়ে কেরাম গ্রহণ করেছেন।
(৩) প্রাথমিক যুগে সাড়ে সাত ভড়ি স্বর্ণ এবং সাড়ে বায়ান্ন ভড়ি রূপার মূল্য প্রায় কাছাকাছি ছিলো, বিধায় তখন দু'টির যে কোনো একটিকে মানদন্ড করা হয়েছিলো। কিন্তু বর্তমানে অনেক তফাৎ চলে এসেছে।এখন উলামায়ে উলামায়ে কেরাম গরীবদের প্রতি লক্ষ্য করেই রূপাকে মানদন্ড হিসেবে নির্ধারণ করেছেন।