আইফতোয়াতে ওয়াসওয়াসা সংক্রান্ত প্রশ্নের উত্তর দেওয়া হবে না। ওয়াসওয়াসায় আক্রান্ত ব্যক্তির চিকিৎসা ও করণীয় সম্পর্কে জানতে এখানে ক্লিক করুন

0 votes
94 views
in যাকাত ও সদকাহ (Zakat and Charity) by (18 points)
আসসালামু আলাইকুম ওয়া রাহমাতুল্লাহি ওয়া বারকাতুহু।

আমার একটা প্রশ্ন আছে যাকাত নিয়ে।

ইসলামে যাকাতের জন্য সোনা আর রুপাকে দুইটা স্ট্যান্ডার্ড ধরা হয়েছে।
সাড়ে বায়ান্ন তোলা রূপা এবং সাড়ে সাত তোলা সোনা। দেখা যায়, সোনার দাম এখন অনেক বেশি। সেই তুলনায় রূপার দাম অনেক কম।
প্রশ্ন:
১. এটা কি ইচ্ছাধীন বিষয় যে , কেউ সোনা অথবা রূপার যেকোনো একটি নিজের ইচ্ছায় মূল্যমানকে বেছে নিতে পারবে ?
2. যদি সোনাকে স্ট্যান্ডার্ড ধরা হয় তাহলে তো অনেক টাকার বিষয় যেগুলো অধিকাংশেরই নেই। আবার রুপাকে ধরলে দেখা যাবে সমাজের প্রত্যেকের উপর যাকাত ফরয হয়ে যাচ্ছে। যাকাত দেওয়ার লোক খুঁজে পাওয়া যাচ্ছে না। এই বিষয়টি একটু জানাবেন, ইনশাআল্লাহ?
3. ইসলামে কেন দুইটিকে স্ট্যান্ডার্ড ধরা হল , বর্তমান সময়ে এসে এর তাৎপর্য কী? আপনার মতামত দিবেন ইনশাআল্লাহ?

1 Answer

0 votes
by (589,140 points)
ওয়া আলাইকুমুস-সালাম ওয়া রাহমাতুল্লাহি ওয়া বারাকাতুহু। 
বিসমিল্লাহির রাহমানির রাহিম।
জবাবঃ-
আলহামদুলিল্লাহ!
রুপার মূল্যকে যাকাতের মানডন্ড ঘোষণা করার ধরুণ যদিও আজকাল অনেক হাজতমন্দের উপর যাকাত ওয়াজিব হয়ে যায়,এবং অনেক হাজতমন্দকে যাকাত দেয়া যায় না,তথাপিও এই রূপ্য মূল্যকে সাধারণ মালের যাকাতের নেসাবের জন্য মানডন্ড হিসেবে সাব্যস্ত করা হয়েছে।এবং এর উপরই ফাতাওয়া হয়েছে।এজন্য উলামায়ে কেরাম হিলা বা কৌশলগত ভাবে বলেন যে,যদি কেউ এই পরিমাণ সম্পদের মালিক থাকে, এবং তার স্ত্রী বা বালেগ সন্তানের এই পরিমাণ সম্পদ না থাকে তাহলে ঐ ব্যক্তির স্ত্রী বা বালেগ সন্তানাদিদের জন্য যাকাত গ্রহণ বৈধ হবে।(কিতাবুল ফাতাওয়া-৩/২৭৬)

যেহেতু রুপ্য মূল্যকে মানডন্ড হিসেবে মুতাআখখিরিন (তিনশত হিজরী পরবর্তী হানাফি ফকিহ) উলামায়ে কেরামগণ ফাতাওয়া দিয়ে গেছেন।তাই এক্ষেত্রে স্বর্ণকে মানডন্ড করা যাবে না। কেননা ইসলাম সর্বদা এটাই চায় যে কারো কাছে যেন অলস টাকা না থাকে, বরং এই সামান্য টাকাকে পুঁজি করে সে যেন তার জীবিকা উপার্জনের পথ খুজে নেয়। এ বিষয়টা বোধগম্য করার লক্ষ্যেই উলামায়ে কেরামগণ অল্পমূল্যের নেসাব তথা রূপাকে মানডন্ড ঘোষণা করে যাকাত ওয়াজিব করেছেন। এ সম্পর্কে বিস্তারিত জানতে ক্লিক করুন- https://www.ifatwa.info/366


সু-প্রিয় প্রশ্নকারী দ্বীনী ভাই/বোন!
(১) সোনা এবং রূপার মধ্যে যেকোনো একটিকে নিজের ইচ্ছায় বেছে নেয়া যাবে না।বরং শরীয়ত কর্তৃক সিদ্ধান্তকে গ্রহণ করে নিতে হবে। 
(২) শরীয়তের সিদ্ধান্ত গরীবদের প্রতি লক্ষ্য করেই গ্রহণ করা হয়েছে। ফুকাহায়ে কেরাম গ্রহণ করেছেন।
(৩) প্রাথমিক যুগে সাড়ে সাত ভড়ি স্বর্ণ এবং সাড়ে বায়ান্ন ভড়ি রূপার মূল্য প্রায় কাছাকাছি ছিলো, বিধায় তখন দু'টির যে কোনো একটিকে মানদন্ড করা হয়েছিলো। কিন্তু বর্তমানে অনেক তফাৎ চলে এসেছে।এখন উলামায়ে উলামায়ে কেরাম গরীবদের প্রতি লক্ষ্য করেই রূপাকে মানদন্ড হিসেবে নির্ধারণ করেছেন।


(আল্লাহ-ই ভালো জানেন)

--------------------------------
মুফতী ইমদাদুল হক
ইফতা বিভাগ
Islamic Online Madrasah(IOM)

আই ফতোয়া  ওয়েবসাইট বাংলাদেশের অন্যতম একটি নির্ভরযোগ্য ফতোয়া বিষয়ক সাইট। যেটি IOM এর ইফতা বিভাগ দ্বারা পরিচালিত।  যেকোন প্রশ্ন করার আগে আপনার প্রশ্নটি সার্চ বক্সে লিখে সার্চ করে দেখুন। উত্তর না পেলে প্রশ্ন করতে পারেন। আপনি প্রতিমাসে সর্বোচ্চ ৪ টি প্রশ্ন করতে পারবেন। এই প্রশ্ন ও উত্তরগুলো আমাদের ফেসবুকেও শেয়ার করা হবে। তাই প্রশ্ন করার সময় সুন্দর ও সাবলীল ভাষা ব্যবহার করুন।

বি.দ্র: প্রশ্ন করা ও ইলম অর্জনের সবচেয়ে ভালো মাধ্যম হলো সরাসরি মুফতি সাহেবের কাছে গিয়ে প্রশ্ন করা যেখানে প্রশ্নকারীর প্রশ্ন বিস্তারিত জানার ও বোঝার সুযোগ থাকে। যাদের এই ধরণের সুযোগ কম তাদের জন্য এই সাইট। প্রশ্নকারীর প্রশ্নের অস্পষ্টতার কারনে ও কিছু বিষয়ে কোরআন ও হাদীসের একাধিক বর্ণনার কারনে অনেক সময় কিছু উত্তরে ভিন্নতা আসতে পারে। তাই কোনো বড় সিদ্ধান্ত এই সাইটের উপর ভিত্তি করে না নিয়ে বরং সরাসরি স্থানীয় মুফতি সাহেবদের সাথে যোগাযোগ করতে হবে।

Related questions

...