বিসমিল্লাহির রাহমানির রাহিম।
জবাবঃ-
সাহরী খাওয়া সুন্নাত। হাদীসে এসেছে-
حَدَّثَنَا آدَمُ بْنُ أَبِي إِيَاسٍ، حَدَّثَنَا شُعْبَةُ، حَدَّثَنَا عَبْدُ العَزِيزِ بْنُ صُهَيْبٍ قَالَ: سَمِعْتُ أَنَسَ بْنَ مَالِكٍ رَضِيَ اللَّهُ عَنْهُ، قَالَ: قَالَ النَّبِيُّ صَلَّى اللهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ: «تَسَحَّرُوا فَإِنَّ فِي السَّحُورِ بَرَكَةً»
তোমরা সাহরী খাও। কেননা, সাহরীতে বরকত রয়েছে। (সহীহ বোখারী-১৯২৩,সহীহ মুসলিম ১০৯৫)
عَنْ حَفْصَةَ، قَالَ: قَالَتْ: «تَسَحَّرُوا وَلَوْ بِشَرْبَةٍ مِنْ مَاءٍ، فَإِنَّهَا قَدْ ذُكِرَتْ فِيهِ دَعْوَةٌ» - «مصنف ابن أبي شيبة»
তোমরা সেহরী খাও, যদিও এক ঢোক পানি দ্বারাও হয়, কেননা সেহরির সময় যে দু’আ করা হবে, তা অবশ্যই কবুল হবে। (মুসান্নাফ ইবনে আবি শাইবাহ-২/২৭)
অন্য হাদীসে বলা হয়েছে, ‘সাহরী খাওয়া বরকতপূর্ণ কাজ। সুতরাং তোমরা তা পরিত্যাগ করো না। এক ঢোক পানি দিয়ে হলেও সাহরী কর। কারণ যারা সাহরী খায় আল্লাহ তাআলা তাদের উপর রহমত বর্ষণ করেন এবং তাঁর ফেরেশতারা তাদের জন্য রহমতের দুআ করেন। (মুসনাদে আহমদ ৩/১২; মুসান্নাফ ইবনে আবী শায়বা হাদীস : ৯০১০; সহীহ ইবনে হিব্বান ৩৪৭৬)
এ সম্পর্কে বিস্তারিত জানতে ভিজিট করুন- https://www.ifatwa.info/8406
সু-প্রিয় প্রশ্নকারী দ্বীনী ভাই/বোন!
নিয়মিত ফজরের নামাজ কাজা হয়ে গেলে অবশ্যই এর জন্য জবাবদিহিতা করতে হবে এবং গোনাহ হবে।সেহরি খাওয়া সুন্নাহ। তবে না খেলেও রোযা হবে। রোজার সময় যে, দোয়া কবুলের বিশেষ ফজিলতের কথা বর্ণিত হয়েছে, সেটা আল্লাহ চাইলে পেতেও পারেন।