আইফতোয়াতে ওয়াসওয়াসা সংক্রান্ত প্রশ্নের উত্তর দেওয়া হবে না। ওয়াসওয়াসায় আক্রান্ত ব্যক্তির চিকিৎসা ও করণীয় সম্পর্কে জানতে এখানে ক্লিক করুন

0 votes
86 views
in ঈমান ও বিশ্বাস (Faith and Belief) by (97 points)
edited by
আসসালামু আলাইকুম
আমার এক বন্ধু আছে, যে নিজেকে মুসলিম দাবি করে। তাকে নামাজও পড়তে দেখি, তবে ৫ ওয়াক্ত নামাজ পড়ে না। আমি প্র্যাক্টিসিং মুসলিম হওয়ার চেষ্টা করি। আমার ইসলামচর্চা দেখে ও আমাকে নিয়ে ঠাট্টা করে প্রায় সময়। তাতে আমার সমস্যা নেই, কিন্তু আমাকে নিয়ে মজা করতে গিয়ে সে অনেক সময় ইসলামকেই ছোট করে বসে। একবার আমি কোকা-কোলা খাচ্ছিলাম, একটা ভুল কথা প্রচলিত আছে যে কোকা-কোলার লোগোটা ইসলামকে ব্যাঙ্গ করে বানানো। সে আমাকে এটা দেখিয়ে হাসছিল এবং বলছিলো, "কিরে কোকা-কোলা খাচ্ছিশ কেন? দেখ এখানে কি লিখা আছে?" যদিও সে পরে এর জন্য সরি বলেছে, কিন্তু এরপরও আমি ফেসবুক-মেসেন্জারে ট্রান্স*জেন্ডার ইস্যু, জিনা-ব্যাভিচার ইত্যাদির বিরুদ্ধে বিভিন্ন পোস্ট শেয়ার করলে সে এগুলোতে হাহা রিএক্ট দেয়। আমার ধারণা সে আমাক নিয়ে হাসাহাসি করার জন্য এসব করে, তার অন্তরে ইসলামবিদ্বেষ আছে কিনা আমি জানিনা। কিন্তু সূরা তাওবাহ এর ৬৫-৬৬ নং আয়াতে এই বিষয়ক দুটি আয়াত আছে।

১)  আমি জানতে চাই তার এসব কাজকর্ম কি কুফর হবে?

২) সে আমার খুব ঘনিষ্ঠ বন্ধু না। মাঝেমধ্যে কিংবা প্রয়োজন পড়লে কথা বলি তার সাথে। তার সাথে কথা বলা জায়েজ হবে?

৩) আমার আরও কিছু ভালো বন্ধু মিলে একসাথে ইফতার মাহফিল আয়োজন করবো কিছুদিন পর ইনশাআল্লাহ। সেখানে অনেকদিন পর কিছু বন্ধুর সাথে দেখা হবে। কিন্তু সে মাহফিলে উপরে বর্ণিত বন্ধুটাও উপস্থিত থাকবে। উক্ত মাহফিলে যাওয়া আমার জন্য জায়েজ হবে?

1 Answer

0 votes
by (597,330 points)
ওয়া আলাইকুমুস-সালাম ওয়া রাহমাতুল্লাহি ওয়া বারাকাতুহু। 
বিসমিল্লাহির রাহমানির রাহিম।
জবাবঃ-
আলহামদুলিল্লাহ!
আবূ মূসা (রাযিঃ) থেকে বর্ণিত যে, 
عَنْ أَبِي مُوسَى، عَنِ النَّبِيِّ صلى الله عليه وسلم قَالَ " إِنَّمَا مَثَلُ الْجَلِيسِ الصَّالِحِ وَالْجَلِيسِ السَّوْءِ كَحَامِلِ الْمِسْكِ وَنَافِخِ الْكِيرِ فَحَامِلُ الْمِسْكِ إِمَّا أَنْ يُحْذِيَكَ وَإِمَّا أَنْ تَبْتَاعَ مِنْهُ وَإِمَّا أَنْ تَجِدَ مِنْهُ رِيحًا طَيِّبَةً وَنَافِخُ الْكِيرِ إِمَّا أَنْ يُحْرِقَ ثِيَابَكَ وَإِمَّا أَنْ تَجِدَ رِيحًا خَبِيثَةً " .
নবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বলেছেনঃ সৎসঙ্গ ও অসৎসঙ্গের উদাহরণ মিশক বিক্রেতা ও অগ্নিকুণ্ডে ফুৎকারকারীর (কামারের) ন্যায়। মিশক বিক্রেতা হয়ত তোমাকে কিছু দিবে। (সুগন্ধি নেয়ার জন্যে হাতে কিছুটা লাগিয়ে দিবে) অথবা তুমি তার কাছ হতে সামান্য ক্রয় করতে পারবে কিংবা তুমি তার থেকে সুঘ্রাণ লাভ করবে। আর অগ্নিচুলায় ফুৎকারকারী হয়ত তোমার কাপড়কে পুড়াবে কিংবা তুমি তার দুর্গন্ধপ্রাপ্ত হবে।(সহীহ মুসলিম-৬৫৮৬) 

সু-প্রিয় প্রশ্নকারী দ্বীনী ভাই/বোন!
যদি আপনার ঐ বন্ধুর ইসলামকে নিয়ে কটাক্ষ করে থাকে, তাহলে তার ঈমান চলে যাবে। কিন্তু যদি সে আপনাকে নিয়ে ব্যঙ্গোক্তি করে, তাহলে এমন বন্ধুর দ্বারা আপনার কোনো লাভ হবে না, তাকে এড়িয়ে চলাই যৌক্তিকতা।


(আল্লাহ-ই ভালো জানেন)

--------------------------------
মুফতী ইমদাদুল হক
ইফতা বিভাগ
Islamic Online Madrasah(IOM)

আই ফতোয়া  ওয়েবসাইট বাংলাদেশের অন্যতম একটি নির্ভরযোগ্য ফতোয়া বিষয়ক সাইট। যেটি IOM এর ইফতা বিভাগ দ্বারা পরিচালিত।  যেকোন প্রশ্ন করার আগে আপনার প্রশ্নটি সার্চ বক্সে লিখে সার্চ করে দেখুন। উত্তর না পেলে প্রশ্ন করতে পারেন। আপনি প্রতিমাসে সর্বোচ্চ ৪ টি প্রশ্ন করতে পারবেন। এই প্রশ্ন ও উত্তরগুলো আমাদের ফেসবুকেও শেয়ার করা হবে। তাই প্রশ্ন করার সময় সুন্দর ও সাবলীল ভাষা ব্যবহার করুন।

বি.দ্র: প্রশ্ন করা ও ইলম অর্জনের সবচেয়ে ভালো মাধ্যম হলো সরাসরি মুফতি সাহেবের কাছে গিয়ে প্রশ্ন করা যেখানে প্রশ্নকারীর প্রশ্ন বিস্তারিত জানার ও বোঝার সুযোগ থাকে। যাদের এই ধরণের সুযোগ কম তাদের জন্য এই সাইট। প্রশ্নকারীর প্রশ্নের অস্পষ্টতার কারনে ও কিছু বিষয়ে কোরআন ও হাদীসের একাধিক বর্ণনার কারনে অনেক সময় কিছু উত্তরে ভিন্নতা আসতে পারে। তাই কোনো বড় সিদ্ধান্ত এই সাইটের উপর ভিত্তি করে না নিয়ে বরং সরাসরি স্থানীয় মুফতি সাহেবদের সাথে যোগাযোগ করতে হবে।

Related questions

...