আইফতোয়াতে ওয়াসওয়াসা সংক্রান্ত প্রশ্নের উত্তর দেওয়া হবে না। ওয়াসওয়াসায় আক্রান্ত ব্যক্তির চিকিৎসা ও করণীয় সম্পর্কে জানতে এখানে ক্লিক করুন

0 votes
113 views
in পরিবার,বিবাহ,তালাক (Family Life,Marriage & Divorce) by (1 point)
আসসালামুয়ালাইকুম ওয়া রাহমাতুল্লাহি ওয়া বারাকাতুহু
সম্মানিত মুফতী সাহেব আমার ঘটনাটা পড়ে আমাকে সাহায্য করেন ।
আমার বিয়ের পূর্বে আমার স্ত্রীর সাতে সম্পর্ক ছিল , তার পূর্বে একটা মেয়ের সাতে প্রেম ছিল। তখন  সেই মেয়ের   সাতে আমার শারীরিক সম্পর্ক হয়। আমি সেই সময় বলতাম """"শারীরিক সম্পর্ক জার সাতে করেছি তাকে বিয়ে করতে হবে না হলে হারাম হবে বা হারাম কাজ হবে।""""  শারীরিক সম্পর্ক করে  তাকে বিয়ে না করা হারাম কাজ তাকেই বিয়ে করতে হবে ফরয। ""এক জনের সাতে শারীরিক সম্পর্ক করে অন্য কাও কে বিয়ে করা হারাম বা হারাম কাজ হবে।"" হারাম কাজ করবো না জার সাতে শারীরিক সম্পর্ক হয়েছে তাকে বিয়ে করবো।
মুফতী সাহেব এখানে অন্য কাও কে বিয়ে করলে সেই বিয়ে হারাম আমি সেটা বলতে চাইনি আমি বোঝাতে চেয়েছি জার  সাতে শারীরিক সম্পর্ক করে অন্য কাও কে বিয়ে করলে তার সাতে যে শারীরিক সম্পর্ক হলো বিয়ে করলো না সেই কাজ টা   সেটা হারাম কাজ। তাকে যে ধোঁকা দিল তাঁর শরীর ভোগ করলো সেটা হারাম হবে তাকে বিয়ে না করলে।

এখন সেই মহিলা অন্য একজন কে বিয়ে করেছে। তার পর আমার স্ত্রীর সাতে প্রেম হয় তাকে এই সব কথাই বলতাম যা ঐ মেয়েটা কে বলেছি এবং শারীরিক সম্পর্ক হয় । তার পর আমি আর আমার স্ত্রী  প্রেমের সম্পর্ক থেকে বিয়ে করেছি । আগের মেয়েটা অন্য জায়গাতে বিয়ে করেছে আমি পরে আমার স্ত্রীর সঙ্গে প্রেম তার পর বিয়ে করেছি এক্ষেত্রে কি আমাদের বৈবাহিক সম্পর্কে কোনো সমস্যা হবে?
মুফতী সাহেব আমার এই বর্ণনায় আমাদের বৈবাহিক সম্পর্ক হালাল তো?
যাজাক আল্লাহ

1 Answer

0 votes
by (567,630 points)
وعليكم السلام ورحمة الله وبركاته 
بسم الله الرحمن الرحيم

ওয়াসওয়াসা হল এমন এক মানসিক রোগ যা একজন মুসলিমকে বিভ্রান্ত করার জন্য শয়তানের পক্ষ থেকে মনে আসা  কুমন্ত্রনার ফাঁদ। এই রোগে আক্রান্ত রোগীর সংখ্যা এখন কম নয়।  কিন্তু এই রোগ সম্পর্কে ধারনা বা ইলমে জ্ঞান না থাকার ফলে একজন সাধারন ব্যক্তি ধীরে ধীরে মানসিক রোগীতে পরিণত করতে পারে। কারণ শুরুতেই যদি এর চিকিৎসা না করা হয়, তাহলে এটি বাড়তে থাকে।

আমরা আমাদের বিগত সহস্রাধিক প্রশ্ন রিসার্চ করে দেখেছি যে ওয়াসওয়াসা আক্রান্ত ব্যক্তি বিভিন্ন মাসলা মাসায়েল বা ফতোয়ার প্রশ্নের উত্তর ঘাটাঘাটি করে আরও বেশি ওয়াসওয়াসাতে আক্রান্ত হয়ে যায়। এবং প্রশ্নের উত্তর হল একজন ওয়াসওয়াসা আক্রান্ত রোগীদের রোগ বৃদ্ধির খোরাক। এবং একটা প্রশ্ন উত্তর পাওয়ার পর একজন ওয়াসওয়াসা আক্রান্ত ব্যক্তি ক্রমাগত একই প্রশ্ন বারবার ঘুরিয়ে পেচিয়ে শতাধিকবার করতে থাকেন।  যেটা উনাকে বরং ক্রমাগত অধিকতরও খারাপের দিকে নিয়ে যেতে থাকে। 

বিষয়গুলো পর্যালোচনা করে সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে ওয়াসওয়াসা আক্রান্ত রোগীদের ক্ষেত্রে নিচের দেওয়া বাধ্যতামূলক সুস্থ হওয়ার কোর্সটি কমপ্লিট না হওয়া পর্যন্ত কোনো প্রশ্নের উত্তর দেয়া হবে না । 

এবং আমরা আশা করছি এবং আল্লাহর উপরে ভরসা রেখে বলছি যারা নিচের এই কোর্সটি করবেন ইনশাআল্লাহ সুস্থ হয়ে যাবেন। 

আর কোর্সের ভিতরে একটা অংশে আমাদের মুফতি সাহেবদের সাথে সরাসরি জুম মিটিংয়ের মাধ্যমে প্রশ্ন-উত্তরের ব্যবস্থা থাকবে। 

আল্লাহ আমাদের সমস্ত শারীরিক ও মানসিক রোগ থেকে হেফাজত করুন। 


(আল্লাহ-ই ভালো জানেন)

------------------------
মুফতী ওলি উল্লাহ
ইফতা বিভাগ
Islamic Online Madrasah(IOM)

by (1 point)
শায়েখ খুব অনুরোধ করছি কমেন্ট এ  বা প্রাইভেট ম্যাসেজ এ এটা অন্তত বলুন । কোনো তালাক হবে না তো? রিকোয়েস্ট এইটুকু বলেন।
by (1 point)
মুফতী ওলী উল্লাহ হুজুর আমি ওয়াসওয়াসা নিয়ে প্রশ্ন করেছি কিনা বুঝতে পারলাম না। But রিকোয়েস্ট ম্যাসেজ বা কমেন্ট এ একটু বলেন কোনো সমস্যা হবে কিনা। Request 

আই ফতোয়া  ওয়েবসাইট বাংলাদেশের অন্যতম একটি নির্ভরযোগ্য ফতোয়া বিষয়ক সাইট। যেটি IOM এর ইফতা বিভাগ দ্বারা পরিচালিত।  যেকোন প্রশ্ন করার আগে আপনার প্রশ্নটি সার্চ বক্সে লিখে সার্চ করে দেখুন। উত্তর না পেলে প্রশ্ন করতে পারেন। আপনি প্রতিমাসে সর্বোচ্চ ৪ টি প্রশ্ন করতে পারবেন। এই প্রশ্ন ও উত্তরগুলো আমাদের ফেসবুকেও শেয়ার করা হবে। তাই প্রশ্ন করার সময় সুন্দর ও সাবলীল ভাষা ব্যবহার করুন।

বি.দ্র: প্রশ্ন করা ও ইলম অর্জনের সবচেয়ে ভালো মাধ্যম হলো সরাসরি মুফতি সাহেবের কাছে গিয়ে প্রশ্ন করা যেখানে প্রশ্নকারীর প্রশ্ন বিস্তারিত জানার ও বোঝার সুযোগ থাকে। যাদের এই ধরণের সুযোগ কম তাদের জন্য এই সাইট। প্রশ্নকারীর প্রশ্নের অস্পষ্টতার কারনে ও কিছু বিষয়ে কোরআন ও হাদীসের একাধিক বর্ণনার কারনে অনেক সময় কিছু উত্তরে ভিন্নতা আসতে পারে। তাই কোনো বড় সিদ্ধান্ত এই সাইটের উপর ভিত্তি করে না নিয়ে বরং সরাসরি স্থানীয় মুফতি সাহেবদের সাথে যোগাযোগ করতে হবে।

Related questions

...