আইফতোয়াতে ওয়াসওয়াসা সংক্রান্ত প্রশ্নের উত্তর দেওয়া হবে না। ওয়াসওয়াসায় আক্রান্ত ব্যক্তির চিকিৎসা ও করণীয় সম্পর্কে জানতে এখানে ক্লিক করুন

0 votes
58 views
in বিবিধ মাস’আলা (Miscellaneous Fiqh) by (5 points)
তিনটে বিষয় জানার ছিল, খুবই আর্জেন্ট।

১/ খুব সম্ভবত মাসআলায় আছে, যদি দুখুল না পাওয়া যায় তাহলে সেই নারীর তালাক হলে ইদ্দত হবে ১ মাস।

তাহলে যদি কোনো স্ত্রীর সাথে স্বামীর প্রায় এক বছর যোগাযোগ না থাকে এবং দুখুল না পাওয়া যায় তাহলে সেই স্ত্রী কতদিন ইদ্দত পালন করবে?

২/ কোনো নারীর হায়েজ চলাকালীন খোলা বা তালাক হলে এই নারীর ইদ্দতের মাস কীভাবে হিসাব করবে?

৩/ (কাবিনের ১৮ নং শর্ত নিজের উপর তালাক গ্রহণের অনুমতি থাকায়) স্বামীর জুলুমে বাধ্য হয়ে যদি কোনো স্ত্রীকে খোলা করতে হয় তাহলে কি উকিলের নোটিশ পাঠানোর সাথে সাথে তার খোলা কার্যকর ইদ্দত চালু হবে নাকি তালাক কার্যকর হতেই ৩ মাস লাগবে?
৪/ উকিলের মাধ্যমে খোলার নোটিশ দিলে কি খোলা বাস্তবায়নের জন্যে উকিলের সাথে কাজী দ্বারাও মৌখিক (নিজের উপর তালাক গ্রহণের) মাধ্যমে খোলা কার্যকর করতে হবে?

1 Answer

0 votes
by (682,160 points)
জবাবঃ-
وعليكم السلام ورحمة الله وبركاته 
بسم الله الرحمن الرحيم

(০১)
মহান আল্লাহ তায়ালা ইরশাদ করেনঃ    

وَإِن طَلَّقْتُمُوهُنَّ مِن قَبْلِ أَن تَمَسُّوهُنَّ وَقَدْ فَرَضْتُمْ لَهُنَّ فَرِيضَةً فَنِصْفُ مَا فَرَضْتُمْ إِلَّا أَن يَعْفُونَ أَوْ يَعْفُوَ الَّذِي بِيَدِهِ عُقْدَةُ النِّكَاحِ ۚ وَأَن تَعْفُوا أَقْرَبُ لِلتَّقْوَىٰ ۚ وَلَا تَنسَوُا الْفَضْلَ بَيْنَكُمْ ۚ إِنَّ اللَّهَ بِمَا تَعْمَلُونَ بَصِيرٌ [٢:٢٣٧]

আর যদি মোহর সাব্যস্ত করার পর স্পর্শ করার পূর্বে তালাক দিয়ে দাও, তাহলে যে, মোহর সাব্যস্ত করা হয়েছে তার অর্ধেক দিয়ে দিতে হবে। অবশ্য যদি নারীরা ক্ষমা করে দেয় কিংবা বিয়ের বন্ধন যার অধিকারে সে (অর্থাৎ, স্বামী) যদি ক্ষমা করে দেয় তবে তা স্বতন্ত্র কথা। আর তোমরা পুরুষরা যদি ক্ষমা কর, তবে তা হবে পরহেযগারীর নিকটবর্তী। আর পারস্পরিক সহানুভূতির কথা বিস্মৃত হয়ো না। নিশ্চয় তোমরা যা কিছু কর আল্লাহ সেসবই অত্যন্ত ভাল করে দেখেন। {সূরা বাকারা-২৩৭}

لَّا جُنَاحَ عَلَيْكُمْ إِن طَلَّقْتُمُ النِّسَاءَ مَا لَمْ تَمَسُّوهُنَّ أَوْ تَفْرِضُوا لَهُنَّ فَرِيضَةً ۚ وَمَتِّعُوهُنَّ عَلَى الْمُوسِعِ قَدَرُهُ وَعَلَى الْمُقْتِرِ قَدَرُهُ مَتَاعًا بِالْمَعْرُوفِ ۖ حَقًّا عَلَى الْمُحْسِنِينَ [٢:٢٣٦]

স্ত্রীদেরকে স্পর্শ করার আগে এবং কোন মোহর সাব্যস্ত করার পূর্বেও যদি তালাক দিয়ে দাও, তবে তাতেও তোমাদের কোন পাপ নেই। তবে তাদেরকে কিছু খরচ দেবে। আর সামর্থ্যবানদের জন্য তাদের সামর্থ্য অনুযায়ী এবং কম সামর্থ্যবানদের জন্য তাদের সাধ্য অনুযায়ী। যে খরচ প্রচলিত রয়েছে তা সৎকর্মশীলদের উপর দায়িত্ব। {সূরা বাকারা-২৩৬}

★সু-প্রিয় প্রশ্নকারী দ্বীনি ভাই/বোন,
যদি বিবাহের পর সহবাস না হয়,খালওয়াতে সহীহাহ না পাওয়া যায়,সেক্ষেত্রে তালাক হলে স্ত্রীকে কোনো ইদ্দত পালন করতে হবেনা।

(০২)
ঐ হায়েজ ব্যাতিত আরো পূর্ণ ৩ হায়েজ অতিবাহিত হতে হবে।

(০৩)
এখানে খোলা তালাক হবেনা।
এক্ষেত্রে তালাকে তাফবিজ হবে।

স্বামী যদি জেনেশুনে কাবিননামায় স্ত্রীকে তালাকের অধিকার দেয়,সেই কাবিননামা যদি বিবাহ পড়ানোর পর লেখা হয়,সেক্ষেত্রে স্ত্রী নিজের নফসের তালাক প্রদান করলে সাথে সাথে তালাক পতিত হবে। 

তালাক কার্যকর হতে ১ দিনও লাগবেনা।
সাথে সাথেই তালাক পতিত হবে। 

(০৪)
শরীয়তে এগুলোর কিছুরই প্রয়োজনীয়তা নেই।
যাহা করতে হবে,তাহা জানতে ৩ নং প্রশ্নের জবাব দ্রষ্টব্য।


(আল্লাহ-ই ভালো জানেন)

------------------------
মুফতী ওলি উল্লাহ
ইফতা বিভাগ
Islamic Online Madrasah(IOM)

আই ফতোয়া  ওয়েবসাইট বাংলাদেশের অন্যতম একটি নির্ভরযোগ্য ফতোয়া বিষয়ক সাইট। যেটি IOM এর ইফতা বিভাগ দ্বারা পরিচালিত।  যেকোন প্রশ্ন করার আগে আপনার প্রশ্নটি সার্চ বক্সে লিখে সার্চ করে দেখুন। উত্তর না পেলে প্রশ্ন করতে পারেন। আপনি প্রতিমাসে সর্বোচ্চ ৪ টি প্রশ্ন করতে পারবেন। এই প্রশ্ন ও উত্তরগুলো আমাদের ফেসবুকেও শেয়ার করা হবে। তাই প্রশ্ন করার সময় সুন্দর ও সাবলীল ভাষা ব্যবহার করুন।

বি.দ্র: প্রশ্ন করা ও ইলম অর্জনের সবচেয়ে ভালো মাধ্যম হলো সরাসরি মুফতি সাহেবের কাছে গিয়ে প্রশ্ন করা যেখানে প্রশ্নকারীর প্রশ্ন বিস্তারিত জানার ও বোঝার সুযোগ থাকে। যাদের এই ধরণের সুযোগ কম তাদের জন্য এই সাইট। প্রশ্নকারীর প্রশ্নের অস্পষ্টতার কারনে ও কিছু বিষয়ে কোরআন ও হাদীসের একাধিক বর্ণনার কারনে অনেক সময় কিছু উত্তরে ভিন্নতা আসতে পারে। তাই কোনো বড় সিদ্ধান্ত এই সাইটের উপর ভিত্তি করে না নিয়ে বরং সরাসরি স্থানীয় মুফতি সাহেবদের সাথে যোগাযোগ করতে হবে।

Related questions

...