জবাবঃ-
وعليكم السلام ورحمة الله وبركاته
بسم الله الرحمن الرحيم
(০১)
মহান আল্লাহ তায়ালা ইরশাদ করেনঃ
وَإِن طَلَّقْتُمُوهُنَّ مِن قَبْلِ أَن تَمَسُّوهُنَّ وَقَدْ فَرَضْتُمْ لَهُنَّ فَرِيضَةً فَنِصْفُ مَا فَرَضْتُمْ إِلَّا أَن يَعْفُونَ أَوْ يَعْفُوَ الَّذِي بِيَدِهِ عُقْدَةُ النِّكَاحِ ۚ وَأَن تَعْفُوا أَقْرَبُ لِلتَّقْوَىٰ ۚ وَلَا تَنسَوُا الْفَضْلَ بَيْنَكُمْ ۚ إِنَّ اللَّهَ بِمَا تَعْمَلُونَ بَصِيرٌ [٢:٢٣٧]
আর যদি মোহর সাব্যস্ত করার পর স্পর্শ করার পূর্বে তালাক দিয়ে দাও, তাহলে যে, মোহর সাব্যস্ত করা হয়েছে তার অর্ধেক দিয়ে দিতে হবে। অবশ্য যদি নারীরা ক্ষমা করে দেয় কিংবা বিয়ের বন্ধন যার অধিকারে সে (অর্থাৎ, স্বামী) যদি ক্ষমা করে দেয় তবে তা স্বতন্ত্র কথা। আর তোমরা পুরুষরা যদি ক্ষমা কর, তবে তা হবে পরহেযগারীর নিকটবর্তী। আর পারস্পরিক সহানুভূতির কথা বিস্মৃত হয়ো না। নিশ্চয় তোমরা যা কিছু কর আল্লাহ সেসবই অত্যন্ত ভাল করে দেখেন। {সূরা বাকারা-২৩৭}
لَّا جُنَاحَ عَلَيْكُمْ إِن طَلَّقْتُمُ النِّسَاءَ مَا لَمْ تَمَسُّوهُنَّ أَوْ تَفْرِضُوا لَهُنَّ فَرِيضَةً ۚ وَمَتِّعُوهُنَّ عَلَى الْمُوسِعِ قَدَرُهُ وَعَلَى الْمُقْتِرِ قَدَرُهُ مَتَاعًا بِالْمَعْرُوفِ ۖ حَقًّا عَلَى الْمُحْسِنِينَ [٢:٢٣٦]
স্ত্রীদেরকে স্পর্শ করার আগে এবং কোন মোহর সাব্যস্ত করার পূর্বেও যদি তালাক দিয়ে দাও, তবে তাতেও তোমাদের কোন পাপ নেই। তবে তাদেরকে কিছু খরচ দেবে। আর সামর্থ্যবানদের জন্য তাদের সামর্থ্য অনুযায়ী এবং কম সামর্থ্যবানদের জন্য তাদের সাধ্য অনুযায়ী। যে খরচ প্রচলিত রয়েছে তা সৎকর্মশীলদের উপর দায়িত্ব। {সূরা বাকারা-২৩৬}
★সু-প্রিয় প্রশ্নকারী দ্বীনি ভাই/বোন,
যদি বিবাহের পর সহবাস না হয়,খালওয়াতে সহীহাহ না পাওয়া যায়,সেক্ষেত্রে তালাক হলে স্ত্রীকে কোনো ইদ্দত পালন করতে হবেনা।
(০২)
ঐ হায়েজ ব্যাতিত আরো পূর্ণ ৩ হায়েজ অতিবাহিত হতে হবে।
(০৩)
এখানে খোলা তালাক হবেনা।
এক্ষেত্রে তালাকে তাফবিজ হবে।
স্বামী যদি জেনেশুনে কাবিননামায় স্ত্রীকে তালাকের অধিকার দেয়,সেই কাবিননামা যদি বিবাহ পড়ানোর পর লেখা হয়,সেক্ষেত্রে স্ত্রী নিজের নফসের তালাক প্রদান করলে সাথে সাথে তালাক পতিত হবে।
তালাক কার্যকর হতে ১ দিনও লাগবেনা।
সাথে সাথেই তালাক পতিত হবে।
(০৪)
শরীয়তে এগুলোর কিছুরই প্রয়োজনীয়তা নেই।
যাহা করতে হবে,তাহা জানতে ৩ নং প্রশ্নের জবাব দ্রষ্টব্য।