আসসালামু আলাইকুম ওয়া রহমাতুল্লাহি ওয়া বারকাতু
আমার বয়স ২৫, অবিবাহিত। অনেক বছর ধরে বিয়ের চেষ্টা করছি। বর্তমানে একটা প্রস্তাব আসছে ছেলের পরিবার তাবলীগি পরিবার(মুফতি যুবায়ের সাহেবের গ্রুপে)।উনার বাবাও তাবলীগের সাথে জড়িত ছিলেন , একবছর হয়েছে উনি মারা গিয়েছেন। উনার মা প্রাইমারি স্কুলের প্রধান শিক্ষিকা,বোন সহশিক্ষায় আছে (মেডিকেলে)। ছেলে নন-ক্যাডারে প্রাইমারি স্কুলের প্রধান শিক্ষক হিসেবে সুপারিশপ্রাপ্ত।ছেলে দ্বীনদার ও পর্দাওয়ালা বলছে, তাবলীগে উনি নিজ এলাকার তাবলীগের আমির হয়েছিলেন।এ প্রস্তাবে আগাতে আমি কিছু সিদ্ধান্তহীনতায় ভুগছি।
১/আমার চাকরি করার কোনো ইচ্ছা নেই। আল্লাহর কাছে দোআ করি যেন এমন পরিস্থিতি কখনো না আসে,আমাকে ঘর থেকে বের হতে হয়।তাই আমার চাকরিজীবি শাশ্বুড়ি পছন্দ না।দ্বীনদার বা আমাকে দ্বীনের ব্যাপারে সাপোর্ট করবে এমন গৃহীণি শাশ্বুড়ি পছন্দ।তাবলীগি ফ্যামিলি হওয়ার পরও চাকরি করছে
২/ দ্বিতীয় কারণ হল প্রাইমারি স্কুলে বেশিভাগ মেয়ে শিক্ষিকা থাকে।সেখানে একজন দ্বীনদার পুরুষের জন্য চাকরি করা অনেক ফেতনা,পর্দার খেলাফের সম্ভাবনা অধিক। উনি প্রধান শিক্ষক,তার দায়িত্ব তো বেশি।সব শিক্ষকদের সাথে উনার প্রতিনিয়ত উঠাবসা আর যোগাযোগ করতে হবে। সহকারী শিক্ষক হলে এতটা সমস্যা ছিলনা।
৩/ ৩য় কারণ স্কুলের প্রধান শিক্ষক হিসেবে এমন অনেক প্রোগাম করতে হবে যেগুলো ইসলামী শরীয়াহ পরীপন্থী যেমন: নাচ-গান, শহীদ মিনারে ফুল দেওয়া,নীরবতা পালন,সরকারি দিবস যেগুলো শিরকের পর্যায়ে যায়। বর্তমান পাঠ্যপুস্তক তো পরিপূর্ণ পশ্চিমা সংস্কৃতির শিক্ষা।যেখানে নিজের বাচ্চাদের এসব শিক্ষা দিবোনা, সেখানে অন্য বাচ্চাদের কিভাবে এগুলো শিখাবে।এসব কারণে কি উনার আমলে গুনাহ লেখা হবে?? একজন দ্বীনাদর মানুষের দ্বীন ও ঈমানের সাথে এগুলো যায়?
৪/ স্কুল কমিউনিটি,উপরোস্থ কর্মকর্তা দ্বীনের বুঝওয়ালা না হলে কিভাবে সৎ থাকবে।এমন একটা জায়াগায় নিজের দ্বীন রক্ষা করে চলতে পারবে।হালাল উপার্জন হলেও নিজের জীবনসঙ্গীকে এমন একটা ফেতনার পরিবেশে দেখা কষ্টকর। এমন পরিবেশে থাকতে থাকতে যদি নিজের দ্বীন, তাকওয়া, পর্দা হারিয়ে ফেলে,এই ভয় লাগছে।
এইসব চিন্তা-ভাবনার কারণে আমার এই প্রস্তাবে আগাতে সিদ্ধান্তহীনতায় পড়ে গেছি।আমার বয়স বাড়ছে,আমি দ্বীন পালন আর পর্দা করতে পারবো,হালাল উপার্জন এই হিসেবে প্রস্তাবে রাজি হওয়া উচিত? পরিবার থেকে দুনিয়াবি বিষয়কে প্রাধান্য দিয়ে দ্বীনি কমতিগুলোকে ছাড় দিতে বলে। উস্তাজ আমাকে একটা উত্তম পরামর্শ দিয়ে সাহায্য করলে মুনাসিব হয়।