আসসালামু আলাইকুম ওয়া রহমাতুল্লাহ
আমার স্বামী স্টুডেন্ট, টিউশনির টাকা দিয়ে ই চলে কিন্তু ৫-৬ মাস হচ্ছে তার একটা ৪০০০ টাকার টিউশন আছে শুধু, আমরা দুজন ই পড়াশোনা করছি, দুই জায়গায় থাকি, আমার যাবতীয় খরচ বাবা ই দেয় কিন্তু আমার বাবা NGO তে চাকরি করে তাই বিয়ের পর‌ও সুদ সংক্রান্ত উপার্জনে চলতে হচ্ছে জন্য আমার ভীষণ ভয় হয়, আমি যদিও সব টাকা হিসেব করে রাখি যাতে ভবিষ্যতে সবটা দান করে দিতে পারি ইনশা আল্লাহ। কিন্তু বর্তমানে সমস্যা হচ্ছে আমার স্বামীর টিউশনির বেতন দিয়ে তার নিজের ই চলতে খুব কষ্ট হয়ে যাচ্ছে সেখানে ১০০০৳ বাস ভাড়া, ১৫০০-২০০০ বাসা ভাড়া দিয়ে আমার সাথে দেখা করতে আসাও সম্ভব হচ্ছে না, আমার অন্যান্য দায়িত্ব নেওয়া তো দূরে! তার পরিবার থেকেও কোন ধরনের সাহায্য পাওয়ার অবস্থা নেই।
আর আমার আব্বুর যেহেতু NGO এর চাকরির টাকা তাই আমি নিজের খরচের টাকা থেকেও আমাদের দেখা করা, উনি আসলে খাওয়া এসবে খরচ করতে চাই না, যেহেতু আমার স্বামী অনেক কষ্ট করে হালাল উপার্জন করে চলেন তাই এই টাকায় তাকে ইনভলভড করতে চাই না। এজন্য প্রায় ৩ মাস হয়ে যাচ্ছে আমরা একটা দিনের জন্যেও দেখাও করতে পারছিনা এতে আমাদের মধ্যে মনোমালিন্য হচ্ছে, সমস্যা হচ্ছে।
আমার স্বামীর একটা নাম করা ফেইসবুক গ্রুপ আছে, দ্বীনের কাজের জন্য খুলেছিলো কয়েক বছর আগে, এখন গ্রুপ থেকে বিভিন্ন সময়ে দ্বীনি শিক্ষার বা ক্যারিয়ার রিলেটেড বিভিন্ন কোর্স করানো হয় তা থেকে ভালো ই উপার্জন হয়। এসব কিছু কয়েকজনের সহায়তায় উনি ই পরিচালনা করেন, উনার নিয়ত ছিল এই টাকা গুলো সব দ্বীনি কাজেই ব্যয় করবে। এখন উনার যেহেতু আর্থিক সমস্যা অনেক বেশি, টিউশন ছাড়া কোন উপার্জনের পথ ও নাই, তাহলে এই কোর্স গুলো থেকে মেন্টরের বেতন দেওয়ার পর যা লাভ আসে সেখান থেকে পরিচালক হিসেবে আমার স্বামীকে যদি নির্দিষ্ট পরিমাণ পারিশ্রমিক নিতে বলি এবং যে কোর্সে উনার সাথে যে সাহায্য করেন তাকেও কিছু হাদিয়া দেওয়া হলো (লাভের ৫০% উনারা নিলেন পারিশ্রমিক হিসেবে আর ৫০% দ্বীনি কাজে ব্যয় করলো) এটা করলে কি কোন গুনাহ হবে? তবে বিভিন্ন সময়ে যে ডোনেশনগুলো আসে সেটা সম্পূর্ণ ই সেই খাতে ই ব্যয় করে থাকে সেখান থেকে নিবে না।
উনি যেহেতু দ্বীনের কাজে ব্যয় করার নিয়তে কোর্স গুলো চালু করছিলেন, গ্রুপ টাও সে উদ্দেশ্যে খুলছিলেন এখন সেখান থেকে উপার্জনের সোর্স বানানো কি জায়েয হবে?