আইফতোয়াতে ওয়াসওয়াসা সংক্রান্ত প্রশ্নের উত্তর দেওয়া হবে না। ওয়াসওয়াসায় আক্রান্ত ব্যক্তির চিকিৎসা ও করণীয় সম্পর্কে জানতে এখানে ক্লিক করুন

0 votes
116 views
in ব্যবসা ও চাকুরী (Business & Job) by (20 points)
আসসালামু আলাইকুম ওয়া রহমাতুল্লাহ

আমার স্বামী স্টুডেন্ট, টিউশনির টাকা দিয়ে ই চলে কিন্তু ৫-৬ মাস হচ্ছে তার একটা ৪০০০ টাকার টিউশন আছে শুধু, আমরা দুজন ই পড়াশোনা করছি, দুই জায়গায় থাকি, আমার যাবতীয় খরচ বাবা ই দেয় কিন্তু আমার বাবা NGO তে চাকরি করে তাই বিয়ের পর‌ও সুদ সংক্রান্ত উপার্জনে চলতে হচ্ছে জন্য আমার ভীষণ ভয় হয়, আমি যদিও সব টাকা হিসেব করে রাখি যাতে ভবিষ্যতে সবটা দান করে দিতে পারি ইনশা আল্লাহ। কিন্তু বর্তমানে সমস্যা হচ্ছে আমার স্বামীর টিউশনির বেতন দিয়ে তার নিজের ই চলতে খুব কষ্ট হয়ে যাচ্ছে সেখানে ১০০০৳ বাস ভাড়া, ১৫০০-২০০০ বাসা ভাড়া দিয়ে আমার সাথে দেখা করতে আসাও সম্ভব হচ্ছে না, আমার অন্যান্য দায়িত্ব নেওয়া তো দূরে! তার পরিবার থেকেও কোন ধরনের সাহায্য পাওয়ার অবস্থা নেই।

 আর আমার আব্বুর যেহেতু NGO এর চাকরির টাকা তাই আমি নিজের খরচের টাকা থেকেও আমাদের দেখা করা, উনি আসলে খাওয়া এসবে খরচ করতে চাই না, যেহেতু আমার স্বামী অনেক কষ্ট করে হালাল উপার্জন করে চলেন তাই এই টাকায় তাকে ইনভলভড করতে চাই না। এজন্য প্রায় ৩ মাস হয়ে যাচ্ছে আমরা একটা দিনের জন্যেও দেখাও করতে পারছিনা এতে আমাদের মধ্যে মনোমালিন্য হচ্ছে, সমস্যা হচ্ছে।
আমার স্বামীর একটা নাম করা ফেইসবুক গ্রুপ আছে, দ্বীনের কাজের জন্য খুলেছিলো কয়েক বছর আগে, এখন গ্রুপ থেকে বিভিন্ন সময়ে দ্বীনি শিক্ষার বা ক্যারিয়ার রিলেটেড বিভিন্ন কোর্স করানো হয় তা থেকে ভালো ই উপার্জন হয়। এসব কিছু কয়েকজনের সহায়তায় উনি ই পরিচালনা করেন, উনার নিয়ত ছিল এই টাকা গুলো সব দ্বীনি কাজেই ব্যয় করবে। এখন উনার যেহেতু আর্থিক সমস্যা অনেক বেশি, টিউশন ছাড়া কোন উপার্জনের পথ ও নাই, তাহলে এই কোর্স গুলো থেকে মেন্টরের বেতন দেওয়ার পর যা লাভ আসে সেখান থেকে পরিচালক হিসেবে আমার স্বামীকে যদি নির্দিষ্ট পরিমাণ পারিশ্রমিক  নিতে বলি এবং যে কোর্সে উনার সাথে যে সাহায্য করেন তাকেও কিছু হাদিয়া দেওয়া হলো (লাভের ৫০% উনারা নিলেন পারিশ্রমিক হিসেবে আর ৫০% দ্বীনি কাজে ব্যয় করলো) এটা করলে কি কোন গুনাহ হবে? তবে বিভিন্ন সময়ে যে ডোনেশনগুলো আসে সেটা সম্পূর্ণ ই সেই খাতে ই ব্যয় করে থাকে সেখান থেকে নিবে না।

 উনি যেহেতু দ্বীনের কাজে ব্যয় করার নিয়তে কোর্স গুলো চালু করছিলেন, গ্রুপ টাও সে উদ্দেশ্যে খুলছিলেন এখন সেখান থেকে উপার্জনের সোর্স বানানো কি জায়েয হবে?

1 Answer

0 votes
by (565,890 points)
জবাবঃ-
وعليكم السلام ورحمة الله وبركاته 
بسم الله الرحمن الرحيم

হাদীস শরীফে এসেছেঃ   

عَنْ أَبِي هُرَيْرَةَ، قَالَ: قَالَ رَسُولُ اللَّهِ صَلَّى اللهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ: «مَنْ غَشَّنَا فَلَيْسَ مِنَّا»

হযরত আবু হুরায়রা রাঃ থেকে বর্ণিত। রাসূল সাঃ ইরশাদ করেছেনঃ যে ধোঁকা দেয়, সে আমার উম্মতের অন্তর্ভূক্ত নয়। {মুসান্নাফ ইবনে আবী শাইবা, হাদীস নং-২৩১৪৭, সহীহ মুসলিম, হাদীস নং-১৬৪, সুনানে দারেমী, হাদীস নং-২৫৮৩, সুনানে ইবনে মাজাহ, হাদীস নং-২২২৫, সহীহ ইবনে হিব্বান, হাদীস নং-৪৯০৫}

قَالَ رَسُولُ اللَّهِ صَلَّى اللهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ: «الْمُسْلِمُونَ عَلَى شُرُوطِهِمْ

হযরত আবূ হুরায়রা রাঃ থেকে বর্ণিত। রাসূল সাঃ ইরশাদ করেছেনঃ মুসলমানগণ তার শর্তের উপর থাকবে। {সুনানে আবু দাউদ, হাদীস নং-৩৫৯৪, সুনানে দারা কুতনী, হাদীস নং-২৮৯০, শুয়াবুল ঈমান, হাদীস নং-৪০৩৯}

★সু-প্রিয় প্রশ্নকারী দ্বীনি বোন,
প্রশ্নের বিবরন মতে আপনারস্বামী যদি সেখান হতে নির্দিষ্ট পরিমাণ পারিশ্রমিক  নেন,সেক্ষেত্রে কোনো সমস্যা নেই।

তবে যদি সেসব কোর্স এ স্টুডেন্ট ভর্তির সময় জানিয়ে দেয়া হয়ে যে "কোর্স এর অর্থ আমরা পারিশ্রমিক হিসেবে নেইনা,আমরা তাহা দ্বীনি কাজেই ব্যয় করি" সেক্ষেত্রে স্টুডেন্ট দের সাথে পারিশ্রমিক এর বিষয়টি নিয়ে সুরাহা করা দরকার।


(আল্লাহ-ই ভালো জানেন)

------------------------
মুফতী ওলি উল্লাহ
ইফতা বিভাগ
Islamic Online Madrasah(IOM)

by
আসসালামু আলাইকুম ওয়া রহমাতুল্লাহ
জাঝাকাল্লাহু খইর শায়েখ 
কোর্সের প্রচারণার সময় (কোর্সের অর্থ আমরা পারিশ্রমিক হিসেবে নেইনা,আমরা তাহা দ্বীনি কাজেই ব্যয় করি") এধরনের কোন কথা বলা হয়নি তবে যেহেতু একটা গ্রুপের অধীনে কোর্স এসেছে স্টুডেন্ট রা এটাই ভাববেন এই টাকা গ্রুপের মালিকানাধীন হবে, 
আর আমার স্বামীর নিয়ত ছিলো উনি পুরো টা ই দ্বীনি কাজে ব্যয় করবেন আর কি, উনি এখনো সেখান থেকে পারিশ্রমিক নিতে চান না কিন্তু আমি ই নিরুপায় হয়ে তাকে বলতে চাচ্ছি, যখন আবার তার স্বচ্ছলতা আসবে তখন পারিশ্রমিক নিবে না বরং সেও তার উপার্জন থেকে এই কাজে ব্যয় করবে ইনশা আল্লাহ। এটা কি ধোঁকা এর শামিল হবে নাকি জায়েয হবে দয়া করে জানাবেন...


by (565,890 points)
উক্ত বিবরণ মতে এটা ধোকার শামিল হবেনা। 
তার জন্য পারিশ্রমিক নেয়া জায়েজ হবে।

আই ফতোয়া  ওয়েবসাইট বাংলাদেশের অন্যতম একটি নির্ভরযোগ্য ফতোয়া বিষয়ক সাইট। যেটি IOM এর ইফতা বিভাগ দ্বারা পরিচালিত।  যেকোন প্রশ্ন করার আগে আপনার প্রশ্নটি সার্চ বক্সে লিখে সার্চ করে দেখুন। উত্তর না পেলে প্রশ্ন করতে পারেন। আপনি প্রতিমাসে সর্বোচ্চ ৪ টি প্রশ্ন করতে পারবেন। এই প্রশ্ন ও উত্তরগুলো আমাদের ফেসবুকেও শেয়ার করা হবে। তাই প্রশ্ন করার সময় সুন্দর ও সাবলীল ভাষা ব্যবহার করুন।

বি.দ্র: প্রশ্ন করা ও ইলম অর্জনের সবচেয়ে ভালো মাধ্যম হলো সরাসরি মুফতি সাহেবের কাছে গিয়ে প্রশ্ন করা যেখানে প্রশ্নকারীর প্রশ্ন বিস্তারিত জানার ও বোঝার সুযোগ থাকে। যাদের এই ধরণের সুযোগ কম তাদের জন্য এই সাইট। প্রশ্নকারীর প্রশ্নের অস্পষ্টতার কারনে ও কিছু বিষয়ে কোরআন ও হাদীসের একাধিক বর্ণনার কারনে অনেক সময় কিছু উত্তরে ভিন্নতা আসতে পারে। তাই কোনো বড় সিদ্ধান্ত এই সাইটের উপর ভিত্তি করে না নিয়ে বরং সরাসরি স্থানীয় মুফতি সাহেবদের সাথে যোগাযোগ করতে হবে।

Related questions

...