আইফতোয়াতে ওয়াসওয়াসা সংক্রান্ত প্রশ্নের উত্তর দেওয়া হবে না। ওয়াসওয়াসায় আক্রান্ত ব্যক্তির চিকিৎসা ও করণীয় সম্পর্কে জানতে এখানে ক্লিক করুন

0 votes
113 views
in বিবিধ মাস’আলা (Miscellaneous Fiqh) by (25 points)
https://play.google.com/store/apps/details?id=com.tos.namajtime

কোন সময় সূর্য উদয় ও অস্ত যায় এবং নামাজের সময় কতক্ষণ থাকে এটা আমি বুঝতে পারিনা। তাই মুসলিম বাংলা এপ্স থেকে দেখে পড়ি।


১)এই এপ্সের নামাজের সময় অনুযায়ী নামাজ পড়া যাবে?অথবা অন্য কোনো মাধ্যম আছে যেটার মাধ্যমে নামাজের সময় গুলো দেখতে পারবো?


২)মাগরিবের নামাজের সময় কি ইশার আগ পর্যন্ত থাকে? এ-ই এপ্সে ইশার আগ পর্যন্ত দেখায়।

নামাজ ওয়াক্তের সাথে সাথে পড়া ঠিক কিন্তু গ্রামের সবাই বলে মাগরিবের টাইম ২০ -২৫মিনিট থাকে।এটা কি ঠিক?

৩)ছোটবেলায় মক্তবে মাদ গুন্নাহ ওয়াকফ এগুলো শিখাতো না । আমরাও ছোটবেলায় এগুলো ছাড়াই পড়ছি।কিন্তু এখন আলহামদুলিল্লাহ তাজবিদ অনুসারে পড়ি।তখন মাখরাজও শিখি নাই।হুজুরের সাথে সাথে অক্ষর বলতাম তাই মাখরাজও ঠিক ছিলনা।


আন্টির  ছেলেকে মাদ্রাসাায় তাজবিদ অনুসারে কোরআন পড়া শিখায়ছে।৷ কিন্তু ওনি বলতেছে এটা ভুল পড়াচ্ছে।আমি বুঝাচ্ছি এটা ভুল না এটা তাজবিদ অনুসারেই পড়াচ্ছে।ওনি এটা মানতে কিছুতেই রাজি না।বলে যে এখনকার আলেমরা সবাই ভুল পড়ে।


কারণ ওনারা ছোটবেলায় মক্তবেই কোরআন পড়া শিখছে।। ওনি মাদ্রাসায় ডিগ্রি পর্যন্ত পড়ছে।আমি বুঝতেছি না ওনাদের কি তখন তাজবিদ শিখায়নি।
প্রশ্ন হচ্ছে ওনাকে এটা কিভাবে বুঝাব যে তাজবিদের রুলস অনুযায়ী না পড়লে কোরআন পড়া ভুল হবে।উনাকে কি দলিল দেখাতে পারি?

1 Answer

0 votes
by (574,080 points)
জবাবঃ-
بسم الله الرحمن الرحيم 

(০১)
জানা মতে এই app নির্ভরযোগ্য।
সুতরাং এই app এ নিজ জেলা সেট করে সেই টাইম অনুপাতে নামাজ আদায় করতে পারবেন।

এক্ষেত্রে ইসলামীক ফাউন্ডেশন কর্তৃক প্রণিত নামাজের স্থায়ী ক্যালেন্ডার দোকান থেকে ক্রয় করে নিতে পারেন।
অথবা "ইসলামি জিন্দেগী" app এর সহায়তা নিতে পারেন।

(০২)
মাগরিবের নামাজের সময় ইশার ওয়াক্তের আগ পর্যন্ত থাকে।

এটাই সঠিক কথা। 

প্রশ্নে উল্লেখিত গ্রামের প্রসিদ্ধ কথাটি সঠিক নয়। 

(০৩)
নামাজে মাখরাজ অনুযায়ী কুরআন তিলাওয়াত জরুরি। 
কেননা মাখরাজ গত ভূল হলে অনেক সময় অন্য অক্ষরের ন্যায় উচ্চারণ হয়ে যায়,যাতে প্রায়ই অর্থ বিকৃত হয়ে যায়।
আর শরীয়তের বিধান হলো নামাজে অর্থ বিকৃত হলে নামাজ ফাসেদ হয়ে যাবে।
,
তাই অবশ্যই মাখরাজ অনুযায়ী প্রত্যেক অক্ষর উচ্চারণ করে নামাজ আদায় করতে হবে।
,    
আরো জানুনঃ  

মদ অনুযায়ী নামাজ আদায় না করলে এক্ষেত্রে বিধান হলো যদি টান থাকা সত্ত্বেও টান না দেওয়া হয়,বা তিন/চার আলিফের জায়গায় এক আলিফ টানা হয়,এক্ষেত্রে নামাজের কোনো সমস্যা হবেনা।
কিন্তু যেখানে টান নেই,সেখানে টান দিলে প্রায়ই অর্থ বিকৃত হয়ে যায়।
আর শরীয়তের বিধান হলো নামাজে অর্থ বিকৃত হলে নামাজ ফাসেদ হয়ে যাবে।

হাদীস শরীফে এসেছেঃ 

রাসূল সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম বলেছেন,

« زَيِّنُوا الْقُرْآنَ بِأَصْوَاتِكُمْ »

“তোমরা সুন্দর কণ্ঠে কুরআন তিলাওয়াত কর।” [হাদিসটি ইমাম আহমদ, ইবনে মাজাহ, নাসায়ী ও হাকেম রহ. হাদিসটি বর্ণনা করেছেন এবং তা সহীহ]

 শাইখ সালেহ আল ফাউযান (হাফিযাহুল্লাহ) বলেন,

“قراءة القرآن بالتجويد مستحبة من غير إفراط، وليست واجبة، وإنما الواجب تجويد القرآن من اللحن والخطأ في الإعراب”

“তাজবিদ সহ কুরআন তিলাওয়াত করা মুস্তাহাব। তবে এ ক্ষেত্রে বাড়াবাড়ি করা যাবে না। এটা ওয়াজিব নয়। বরং ওয়াজিব হল, ইরাব (উচ্চারণ ও প্রকাশ করা) এর ক্ষেত্রে ভুল-ত্রুটি থেকে মুক্ত করে সুন্দরভাবে কুরআন তিলাওয়াত করা।”

★যাদের জন্য পূর্ণ তাজবিদ সহকারে কুরআন তেলাওয়াত সম্ভব। শুধুমাত্র তাদের জন্যই পূর্ণ তাজবিদ সহকারে কুরআন তেলাওয়াত করা ওয়াজিব।আর যাদের বেলায় সম্ভব নয়, তাদের জন্য পূর্ণ তাজবিদ সহকারে কুরআন তেলাওয়াত করা ওয়াজিব নয়।বরং অর্থে পরিবর্তন আসেনা এমনকরে কুরআন পড়াই তাদের জন্য যথেষ্ট হবে।এমনকি তারা পূর্ণ তাজবিদ সহকারে না পড়লেও তাদের কোনোপ্রকার গোনাহগার হবেন না।(শরহু তাইয়্যিবাতুন-নাশর-৬৩)

আরো জানুনঃ https://ifatwa.info/19542/

https://www.ifatwa.info/4350 নং ফাতাওয়ায় আমরা উল্লেখ করা হয়েছে যে,
নামাযের কেরাতে যদি তাজবীদে ভূল হয়,যাকে লাহলে খাফী বলা হয়,তাহলে উক্ত নামাযকে দোহড়ানের প্রয়োজন নেই।তাজবীদ সম্পর্কে বিস্তারিত জানতে ভিজিট করুন-https://www.ifatwa.info/1126

তবে যদি নামাযে এমন কোনো ভূল হয়,যার কারণে অর্থ পরিবর্তন হয়ে যায়,(এক্ষেত্রে তাজবীদ বিভাগের লাহনে জালী গ্রহণযোগ্য নয়,কেননা তাজবীদের পরিভাষায় এক হরফের স্থলে অন্য হরফ পড়ে নিলেই লাহনে জলী হয়ে যায়,চায় নিকটবর্তী মাখরাজ হোক বা দূরবর্তী মাখরাজ হোক,চায় অর্থ সঠিক থাকুক বা নাই থাকুক)কিন্তু ফুকাহায়ে কেরাম দূরবর্তী মাখরাজের উচ্ছারণের সময়ে এবং অর্থ বিগড়ে যাওয়ার সময়ে নামাযকে ফাসিদ হওয়ার ফাতাওয়া দিয়ে থাকেন।

সুতরাং নামাযে কোনো হরফ উচ্ছারণের সময়ে,সেই হরফের স্থলে তার দূরবর্তী মাখরাজের কোনো হরফ উচ্ছারিত হয়ে গেলে,এবং অর্থ বিগড়ে গেলে নামায ফাসিদ হয়ে যাবে।

★সু-প্রিয় প্রশ্নকারী দ্বীনি বোন,
উপরে কিছু দলিল আছে,আর উল্লেখিত লিংক গুলিতেও দলিল আছে।
সেসব দলিলের আলোকে তাকে বুঝাতে পারেন।


(আল্লাহ-ই ভালো জানেন)

------------------------
মুফতী ওলি উল্লাহ
ইফতা বিভাগ
Islamic Online Madrasah(IOM)

আই ফতোয়া  ওয়েবসাইট বাংলাদেশের অন্যতম একটি নির্ভরযোগ্য ফতোয়া বিষয়ক সাইট। যেটি IOM এর ইফতা বিভাগ দ্বারা পরিচালিত।  যেকোন প্রশ্ন করার আগে আপনার প্রশ্নটি সার্চ বক্সে লিখে সার্চ করে দেখুন। উত্তর না পেলে প্রশ্ন করতে পারেন। আপনি প্রতিমাসে সর্বোচ্চ ৪ টি প্রশ্ন করতে পারবেন। এই প্রশ্ন ও উত্তরগুলো আমাদের ফেসবুকেও শেয়ার করা হবে। তাই প্রশ্ন করার সময় সুন্দর ও সাবলীল ভাষা ব্যবহার করুন।

বি.দ্র: প্রশ্ন করা ও ইলম অর্জনের সবচেয়ে ভালো মাধ্যম হলো সরাসরি মুফতি সাহেবের কাছে গিয়ে প্রশ্ন করা যেখানে প্রশ্নকারীর প্রশ্ন বিস্তারিত জানার ও বোঝার সুযোগ থাকে। যাদের এই ধরণের সুযোগ কম তাদের জন্য এই সাইট। প্রশ্নকারীর প্রশ্নের অস্পষ্টতার কারনে ও কিছু বিষয়ে কোরআন ও হাদীসের একাধিক বর্ণনার কারনে অনেক সময় কিছু উত্তরে ভিন্নতা আসতে পারে। তাই কোনো বড় সিদ্ধান্ত এই সাইটের উপর ভিত্তি করে না নিয়ে বরং সরাসরি স্থানীয় মুফতি সাহেবদের সাথে যোগাযোগ করতে হবে।

Related questions

0 votes
1 answer 514 views
...