আসসালামু আলাইকুম হুজুর,
আপনাদের ওয়েবসাইট থেকে জানতে পারলাম যে,
কসমের ধারাবাহিক তিনটি কাফফারার প্রথমটি হল,১০জন মিসকিনকে সকাল-বিকাল দু'বেলা খাদ্য খাওয়ানো বা বস্র পরিধান করানো।খাওয়ানো পড়ানো সম্ভব না হলে,১০জনের প্রত্যেকজনকে একটি ফিতরা সমপরিমাণ টাকা দিলেই কাফফারা আদায় হয়ে যাবে।
ইসলামীক ফাউন্ডেশন থেকে এই রমজানে ১১৫ টাকা বলে ঘোষণা করা হয়েছে।
আমার প্রশ্ন হল –
১. আমি প্রাইমারি স্কুলে চাকরি করি। আমি ৭০ টাকা কেজি দরে চাল কিনে খাই। আমি কসমের কাফফারা বাবদ যদি দশ জন মিসকিন বা গরিব লোককে ১১৫ টাকা করে মোট ১১৫০ টাকা দেই। তাহলে কি কসমের কাফফারা আদায় হয়ে যাবে?
নাকি ৭০ টাকা করে চালের হিসেবে ৩ কেজি ৩০০ গ্রাম চালের দামে ২৩১ টাকা করে মোট ২৩১০ টাকা দিতে হবে।
২. অতীতের একাধিক কসমের জন্য কি একাধিক কাফফারার দিতে হবে নাকি সবগুলোর জন্য একটি দিলেই হবে?
৩. অতীতে কোন বিষয়ে কসম করেছি কিনা তা নিশ্চিত হতে পারছি না বা দিধাদন্ধ/ সন্দেহ রয়েছে এখন কি করণীয়?
৪. আমি যেহেতু প্রাইমারি স্কুলে চাকরি করি তাই নিয়মিত স্কুলের শপথ বাক্য আমি ও ছাত্র ছাত্রীদের বলা হয়। এই শপথ ভঙ্গের কারণে ও কি কাফফারা দিতে হবে?
উত্তর দিলে উপকৃত হব। ধন্যবাদ ।