আইফতোয়াতে ওয়াসওয়াসা সংক্রান্ত প্রশ্নের উত্তর দেওয়া হবে না। ওয়াসওয়াসায় আক্রান্ত ব্যক্তির চিকিৎসা ও করণীয় সম্পর্কে জানতে এখানে ক্লিক করুন

0 votes
27 views
in বিবিধ মাস’আলা (Miscellaneous Fiqh) by (19 points)
السلام عليكم ورحمة الله
১) আমি বাইরে থাকি।আমার আম্মু কাজিনের বিয়ের কিছু মাংস পাঠাইছে আমার জন্য। আমার চাচার ইনকামে হারাম মিশ্রিত আছে।এখন ওনি আয়োজন কোত্থেকে করছে সেটা আমি শিওর নেই।যতটুকু মনে হয় এ-ই হারাম মিশ্রিত টাকা থেকেই করবে।এখন এগুলো খাওয়া কি খাওয়া যাবে? এগুলো কি করবো?

২)মেয়েরা জোহরের নামাজ ওয়াক্তের সাথে সাথে পড়তে পারবে? নাকি ছেলেরা শেষ করা পর্যন্ত অপেক্ষা করতে হবে?

৩)যদি ইতিকাফ অবস্থায় কারো হায়েজ শুরু হয় তাহলে ১০ দিনের মধ্যে বাকি দনগুলো কি পরে কাজা করতে হবে,?

৪)মেয়েরা কি ছেলেদের মতো হাত ফাক রেখে সিজদা দিবে? নাকি জড়োসড়ো হয়ে দিবে?উস্তায এটা একটু দলিলসহ দিলে মুনাসিব হবে।অনেকে জিজ্ঞেস করেন সিজদার নিয়ম কোনটা সঠিক।তাদেরকে কিভাবে বুঝিয়ে বলবো বললে মুনাসিব হয়ে।

এটা নিয়ে বেশিরভাগ মেয়েরাই কনফিউজড।

1 Answer

0 votes
by (686,640 points)
জবাবঃ-
وعليكم السلام ورحمة الله وبركاته 
بسم الله الرحمن الرحيم

(০১)
★সু-প্রিয় প্রশ্নকারী দ্বীনি বোন,
আপনার চাচার অধিকাংশ বা পুরো ইনকাম হারাম হলে সেই খাবার খাবেননা।

তার অধিকাংশ ইনকাম হালাল হলে সেই খাবার খাওয়া যাবে।

(০২)
জোহরের ওয়াক্ত আসার সাথে সাথেই আদায় করবে। এটিই উত্তম

(০৩)
এক্ষেত্রে পরবর্তীতে কাজা হিসেবে শুধুমাত্র এক দিন এক রাত ইতেকাফ করবে।
তবে সেই দিনে রোযা রাখতে হবে।

(০৪)
মহিলারা যখন সেজদা করবে তখন পেট উরুর সাথে মিলিয়ে রেখে দুই হাত মাঠিতে বিছিয়ে সেজদা করবে।

বিস্তারিত জানতে ভিজিট করুন- 498

অর্থাৎ মহিলারা সেজদায় গিয়ে পেট রানের সাথে এবং বাহু কে বগলের সাথে মিলিয়ে রাখবে,কনুই জমিনের উপর বিছিয়ে দিবে।
 হাঁটুর কাছাকাছি সিজদা করবে। দু’পা ডান দিকে বের করা থাকবে।

হাদীস শরীফে এসেছেঃ
  
আলী ইবনে আবী তালিব রা. থেকে বর্ণিত হয়েছে,
 سئل عن صلاة المرأة 
নারীর নামায সম্পর্কে তাঁকে জিজ্ঞাসা করা হল। তিনি বললেন,

إذا سجدت المرأة فلتحتفز ولتلصق فخذيها ببطنها

“নারী যখন সিজদা করবে তখন যেন সে জড়সড় হয়ে সিজদা করে এবং তার দুই উরু পেটের সাথে মিলিয়ে রাখে।” -মুসান্নাফে আব্দুর রায্যাক ৫০৭২; মুসান্নাফে ইবনে আবী শাইবাহ, ২৭৭৭

,
ইমাম বায়হাকী রাহ. তাঁর ‘আসসুনানুল কুবরা’ গ্রন্থে উল্লেখ করেছেন, হযরত আব্দুল্লাহ ইবনে উমর রা. থেকে বর্ণিত, আল্লাহর রাসূল সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম ইরশাদ করেন,

إذا جلست المرأة في الصلاة وضعت فخذها على فخذها الأخرى وإذا سجدت ألصقت بطنها في فخذيها كأستر ما يكون لها وإن الله تعالى ينظر إليها ويقول يا ملائكتي أشهدكم أني قد غفرت لها.

“নারী যখন নামাযে বসবে তখন তার এক উরু অন্য উরুর উপর রাখবে। আর যখন সিজদা করবে তখন তার পেটকে উরুর সাথে মিলিয়ে রাখবে। আল্লাহ পাক ঐ নারীর দিকে তাকান এবং বলেন, হে ফিরিশতাগণ! আমি তোমাদের সাক্ষী রাখছি যে, আমি তাকে মাফ করে দিয়েছি”। 
-সুনানে কুবরা, বায়হাকী, হাদীস ৩১৯৯

,
ইমাম আবু দাউদ রাহ. তাঁর কিতাবুস সুনানের কিতাবুল মারাসীলে বিখ্যাত ইমাম ইয়াযিদ ইবনে আবী হাবীব রাহ.-এর সূত্রে হাদীস বর্ণনা করেন যে,

أن النبى مر على امرأتين تصليان فقال : اذا سجدتما فضما بعض اللحم الى الأرض، فان المرأة ليست فى ذلك كالرجل.

আল্লাহর রাসূল সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম দুইজন মহিলার পাশ দিয়ে অতিক্রম করলেন। তারা নামায পড়ছিল। তিনি তাদের বললেন, “যখন তোমরা সিজদা করবে তোমাদের শরীরের কিছু অংশ, (মানে পিছনের অংশ) মাটির সাথে মিলিয়ে রাখবে। কারণ নারী এই বিষয়ে পুরুষের মত নয়। ” -মারাসীলে আবু দাউদ, হাদীস ৮৭; সুনানে কুবরা, বায়হাকী, হাদীস ৩২০১; মারিফাতুস সুনানি ওয়াল আছার, বায়হাকী, হাদীস ৪০৫৪

রাসূলে কারীম সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম পুরুষকেও সিজদার নিয়ম শিখিয়েছেন, নারীকেও সিজদার নিয়ম শিখিয়েছেন। পুরুষকে সম্বোধন করে বলেছেন, সবগুলো অঙ্গ যেন ফাঁকা ফাঁকা থাকে। দুই বাহু যেন পাঁজরের সাথে মিলে না থাকে। কনুই যেন মাটিতে বিছানো না থাকে। পেট যেন উরুর সাথে মিশে না থাকে। এভাবে পুরুষকে সিজদা শিখিয়েছেন। আর নারীকে বলেছেন

  فان المرأة ليست فى ذلك كالرجل  ‘নারী এই বিষয়ে পুরুষের মত নয়’।
,
আরো জানুনঃ 


(আল্লাহ-ই ভালো জানেন)

------------------------
মুফতী ওলি উল্লাহ
ইফতা বিভাগ
Islamic Online Madrasah(IOM)

আই ফতোয়া  ওয়েবসাইট বাংলাদেশের অন্যতম একটি নির্ভরযোগ্য ফতোয়া বিষয়ক সাইট। যেটি IOM এর ইফতা বিভাগ দ্বারা পরিচালিত।  যেকোন প্রশ্ন করার আগে আপনার প্রশ্নটি সার্চ বক্সে লিখে সার্চ করে দেখুন। উত্তর না পেলে প্রশ্ন করতে পারেন। আপনি প্রতিমাসে সর্বোচ্চ ৪ টি প্রশ্ন করতে পারবেন। এই প্রশ্ন ও উত্তরগুলো আমাদের ফেসবুকেও শেয়ার করা হবে। তাই প্রশ্ন করার সময় সুন্দর ও সাবলীল ভাষা ব্যবহার করুন।

বি.দ্র: প্রশ্ন করা ও ইলম অর্জনের সবচেয়ে ভালো মাধ্যম হলো সরাসরি মুফতি সাহেবের কাছে গিয়ে প্রশ্ন করা যেখানে প্রশ্নকারীর প্রশ্ন বিস্তারিত জানার ও বোঝার সুযোগ থাকে। যাদের এই ধরণের সুযোগ কম তাদের জন্য এই সাইট। প্রশ্নকারীর প্রশ্নের অস্পষ্টতার কারনে ও কিছু বিষয়ে কোরআন ও হাদীসের একাধিক বর্ণনার কারনে অনেক সময় কিছু উত্তরে ভিন্নতা আসতে পারে। তাই কোনো বড় সিদ্ধান্ত এই সাইটের উপর ভিত্তি করে না নিয়ে বরং সরাসরি স্থানীয় মুফতি সাহেবদের সাথে যোগাযোগ করতে হবে।

Related questions

...