বিসমিল্লাহির রাহমানির রাহাম।
জবাবঃ-
চড়ূই পাখির বিষ্ঠা পাক। তাই তা কাপড়ে লাগলে কাপড় নাপাক হয় না।সুতরাং কারো পাঞ্জাবি বা শরীরে চুড়ই পাখির বিষ্টা লাগলে সেই শরীর ববা কাপড় নিয়ে নামায আদায় করা নাজায়েয হবে না।
ফাতাওয়া খানিয়া ১/১০; আদ্দুররুল মুখতার ১/৩২০; ফাতাওয়া হিন্দিয়া ১/৪৬৷
পুজ বের হয়ে মৌজায় লেগে শুকিয়ে গেলে চিহ্ন না থাকলেও উক্ত মোজাকে ধৌত করতে হবে।নতুবা উক্ত মোজা পবিত্র হবে না।
যদি কোন স্থানে নাপাকি লেগেছে,সেটা বুঝতে না পারে,তাহলে এক্ষেত্রে পুরো মোজাকেই ধুতে হবে। মোজার অংশ বিশেষ ধুয়ে নিলে পবিত্র হবে না। হাঁ, নাপাকি কোন স্থানে লেগেছে তা জানা থাকলে শুধু ঐ স্থান ধুয়ে নিলেই কাপড় পবিত্র হয়ে যাবে। পুরো মোজা ধুতে হবে না।
(মুসান্নাফে ইবনে আবী শাইবা, হাদীস ৯০৫; বাদায়েউস সানায়ে ১/২৩৬; ফাতহুল কাদীর ১/১৬৮)
নাপাকি নিশ্চিত হওয়ার পূর্বে শুধুমাত্র সন্দেহের বশবর্তী হয়ে কোনো কাপড় চোপড় কে নাপাক ভাবা যাবে না।
ফিকহের গুরুত্বপূর্ণ একটি মূলনীতি হল,
যা উসূলে ফিকহের গ্রহণযোগ্য কিতাবে বর্ণিত রয়েছে....
ﺍﻟﻴﻘﻴﻦ ﻻ ﻳﺰﻭﻝ ﺑﺎﻟﺸﻚ
(ﺍﻷﺷﺒﺎﻩ ﻭﺍﻟﻨﻈﺎﺋﺮ، ﺍﻟﻘﺎﻋﺪﺓ ﺍﻟﺜﻼﺛﺔ)
ভাবার্থঃ
পূর্ব বিশ্বাস সন্দেহের কারণে দূরবিত হয় না।
(অাল-আশবাহ ওয়াননাযাঈর-তৃতীয় ক্বায়েদা দ্রষ্টব্য)
সুতরাং
যেহেতু সন্দেহ পূর্বের ইয়াকিন-বিশ্বাসকে দূরবিত করে না।সুতরাং পবিত্র কাপড় সন্দেহ দ্বারা নাপাক হবে না।