আইফতোয়াতে ওয়াসওয়াসা সংক্রান্ত প্রশ্নের উত্তর দেওয়া হবে না। ওয়াসওয়াসায় আক্রান্ত ব্যক্তির চিকিৎসা ও করণীয় সম্পর্কে জানতে এখানে ক্লিক করুন

0 votes
105 views
in পবিত্রতা (Purity) by (5 points)
edited by
স্বপ্নদোষের বীর্য বেডশিটে লাগায় আমি হাত পানিতে ভিজিয়ে বেডশিটের ওই স্থান মুছে নিয়েছি। পানি শুকানোর পর বীর্যের কোনো দাগ দেখা যাচ্ছে না।
১. বেটশিটটা এখনো অপবিত্র আছে কিনা? এবং ওই বেডশিট থাকা অবস্থায় বিছানায় বসলে, ঘুমালে নিজে অপবিত্র হব কিনা? এবং যেই কাপড় পরিধান করে ওই বিছানায় বসব, ঘুমাব ওই কাপড় অপবিত্র হবে কিনা এবং ওই কাপড় পড়ে নামাজ পরা যাবে কিনা?

২. উক্ত ঘটনার ১ দিন পর, আমি ভুলবশত ওই বেডশিটে পা দিয়ে ফেলি তখন আমার পা ভেজা ছিল। পা কোন জায়গায় দিয়েছি ঠিক মনে পরছে না, তবে বীর্য যেই জায়গায় লেগেছে ওই খানে পা লেগেছে বলে আমার মনে হয় না। এরপরপরই আমি ওয়াশরুমের দিকে যাই পা ধোয়ার জন্য কিন্তু যাওয়ার সময় একটা পা মুছার কাপড়ে আমার পা পড়ে যাই। তো আমি ওয়াশরুমে গিয়ে সাবার দিয়ে পা ধুয়ে নিলাম। কিন্তু বের হয়ে আমি আবার ওই পামুছার কাপড়ে পা মুছে ফেলি (এরপরে আমি ওই পাপোশটা উল্টিয়ে রাখি, অবশ্য পাপোশটা ভালোই মোটা ছিল), এরপর আমি ওয়াশরুমে গিয়ে আবার ২/৩ বার করে পানি দিয়ে পা ধুই, অতোটা ভালো করে বা সাবান দিয়ে ধুই নি, এমনেই ২/৩ বার পানি প্রবাহিত করার মত। এখন আমার পা এবং শরীর পবিত্র আছে কিনা?

৩. এরপরে আমি ওযু করে নামাজ পরি, এখন আমার মনে হচ্ছে আমি যেই জাইনামাজে নামাজ পরি ওইটাও অপবিত্র হয়ে গেছে।, যেহেতু ভেজা পা জাইনামাজে লাগে।

৪. ২ নং এ যেই পাপোশের কথা বললাম ওইটা ওইরকম উলটানো অবস্থায় থাকলে ব্যাবহার করতে পারব কিনা?

1 Answer

0 votes
by (573,960 points)
بسم الله الرحمن الرحيم

ওয়াসওয়াসা হল এমন এক মানসিক রোগ যা একজন মুসলিমকে বিভ্রান্ত করার জন্য শয়তানের পক্ষ থেকে মনে আসা  কুমন্ত্রনার ফাঁদ। এই রোগে আক্রান্ত রোগীর সংখ্যা এখন কম নয়।  কিন্তু এই রোগ সম্পর্কে ধারনা বা ইলমে জ্ঞান না থাকার ফলে একজন সাধারন ব্যক্তি ধীরে ধীরে মানসিক রোগীতে পরিণত করতে পারে। কারণ শুরুতেই যদি এর চিকিৎসা না করা হয়, তাহলে এটি বাড়তে থাকে।

আমরা আমাদের বিগত সহস্রাধিক প্রশ্ন রিসার্চ করে দেখেছি যে ওয়াসওয়াসা আক্রান্ত ব্যক্তি বিভিন্ন মাসলা মাসায়েল বা ফতোয়ার প্রশ্নের উত্তর ঘাটাঘাটি করে আরও বেশি ওয়াসওয়াসাতে আক্রান্ত হয়ে যায়। এবং প্রশ্নের উত্তর হল একজন ওয়াসওয়াসা আক্রান্ত রোগীদের রোগ বৃদ্ধির খোরাক। এবং একটা প্রশ্ন উত্তর পাওয়ার পর একজন ওয়াসওয়াসা আক্রান্ত ব্যক্তি ক্রমাগত একই প্রশ্ন বারবার ঘুরিয়ে পেচিয়ে শতাধিকবার করতে থাকেন।  যেটা উনাকে বরং ক্রমাগত অধিকতরও খারাপের দিকে নিয়ে যেতে থাকে। 

বিষয়গুলো পর্যালোচনা করে সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে ওয়াসওয়াসা আক্রান্ত রোগীদের ক্ষেত্রে নিচের দেওয়া বাধ্যতামূলক সুস্থ হওয়ার কোর্সটি কমপ্লিট না হওয়া পর্যন্ত কোনো প্রশ্নের উত্তর দেয়া হবে না । 

এবং আমরা আশা করছি এবং আল্লাহর উপরে ভরসা রেখে বলছি যারা নিচের এই কোর্সটি করবেন ইনশাআল্লাহ সুস্থ হয়ে যাবেন। 

আর কোর্সের ভিতরে একটা অংশে আমাদের মুফতি সাহেবদের সাথে সরাসরি জুম মিটিংয়ের মাধ্যমে প্রশ্ন-উত্তরের ব্যবস্থা থাকবে। 

আল্লাহ আমাদের সমস্ত শারীরিক ও মানসিক রোগ থেকে হেফাজত করুন। 


(আল্লাহ-ই ভালো জানেন)

------------------------
মুফতী ওলি উল্লাহ
ইফতা বিভাগ
Islamic Online Madrasah(IOM)

আই ফতোয়া  ওয়েবসাইট বাংলাদেশের অন্যতম একটি নির্ভরযোগ্য ফতোয়া বিষয়ক সাইট। যেটি IOM এর ইফতা বিভাগ দ্বারা পরিচালিত।  যেকোন প্রশ্ন করার আগে আপনার প্রশ্নটি সার্চ বক্সে লিখে সার্চ করে দেখুন। উত্তর না পেলে প্রশ্ন করতে পারেন। আপনি প্রতিমাসে সর্বোচ্চ ৪ টি প্রশ্ন করতে পারবেন। এই প্রশ্ন ও উত্তরগুলো আমাদের ফেসবুকেও শেয়ার করা হবে। তাই প্রশ্ন করার সময় সুন্দর ও সাবলীল ভাষা ব্যবহার করুন।

বি.দ্র: প্রশ্ন করা ও ইলম অর্জনের সবচেয়ে ভালো মাধ্যম হলো সরাসরি মুফতি সাহেবের কাছে গিয়ে প্রশ্ন করা যেখানে প্রশ্নকারীর প্রশ্ন বিস্তারিত জানার ও বোঝার সুযোগ থাকে। যাদের এই ধরণের সুযোগ কম তাদের জন্য এই সাইট। প্রশ্নকারীর প্রশ্নের অস্পষ্টতার কারনে ও কিছু বিষয়ে কোরআন ও হাদীসের একাধিক বর্ণনার কারনে অনেক সময় কিছু উত্তরে ভিন্নতা আসতে পারে। তাই কোনো বড় সিদ্ধান্ত এই সাইটের উপর ভিত্তি করে না নিয়ে বরং সরাসরি স্থানীয় মুফতি সাহেবদের সাথে যোগাযোগ করতে হবে।

Related questions

...