আইফতোয়াতে ওয়াসওয়াসা সংক্রান্ত প্রশ্নের উত্তর দেওয়া হবে না। ওয়াসওয়াসায় আক্রান্ত ব্যক্তির চিকিৎসা ও করণীয় সম্পর্কে জানতে এখানে ক্লিক করুন

0 votes
156 views
in ঈমান ও বিশ্বাস (Faith and Belief) by (4 points)
আসসালামু আলাইকুম। আমার বিষয়টা একটু ভালো করে দেখবেন। আসলে আমি মাঝে মাঝে  শরীয়তের ব্যাপারে অন্তরে  খারাপ চিন্তা ভাবনা উপলব্ধি করি এবং সেগুলোকে ওয়াসওয়াসা ভেবে পাত্তা দিতাম না। কিন্তু এখন এটা াানেক বাড়াবাড়ি পর্যায়ের হয়ে যাচ্ছে। বর্তমানে শরীয়তের ব্যাপারে যা শুনছি যা ভাবছি সবক্ষেত্রে  খারাপ চিন্তা যে চিন্তাগুলো সাধারণত নাস্তিক, মুশরিক কাফিরদের হয়ে থাকে। যেমন :  রাসুলুল্লাহ সল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম এর ব্যাপারে জানার জনয় এবং তাকে ভালোবাসার জন্য সিরাহ পড়তে যাচ্ছি কিন্তু পারছি না যতসব নাস্তিকদের মতো উদ্ভট চিন্তা ভাবনা চলে আসছে, রাসুল(সা.) এর কষ্টে ব্যথিত না হয়ে বরং অন্তরে এর বিপরীত প্রতিক্রিয়া দেখা দিচ্ছে, সাহাবীদের ক্ষেত্রেও তাই। আল্লাহ তায়ালার ক্ষেত্রে তার নাম,গুণাবলি  পড়ার সময় অনেক সময় অনেক রকমের চিন্তা মানে শরীয়তের যাবতীয় ক্ষেত্রে আমার এসব চিন্তাভাবনা হচ্ছে তবে এগুলোর জন্য মাঝে মাঝে  মন ব্যথিত হয় আবার মাঝে মাঝে এর বিপরীত টাও ঘটে।আমি বুঝতে পারছি না কেন এসব হচ্ছে আমি আল্লাহ কে  বিশ্বাস করি। এগুলো কি ওয়াসওয়াসা নাকি অন্যকিছু শরীয়ত মোতাবেক আমি আদৈও আমার অবস্থান কি? কিভাবে এসব থেকে মুক্তি পাবো?আর আল্লাহ,  সিরাহ,সাহাবীদের জীবনী এসব কিবাবে জানবো?অনুগ্রহ করে উত্তর জানাবেন।

1 Answer

0 votes
by (597,330 points)
ওয়া আলাইকুমুস-সালাম ওয়া রাহমাতুল্লাহি ওয়া বারাকাতুহু। 
বিসমিল্লাহির রাহমানির রাহিম।
জবাবঃ-
রাসূলুল্লাহ সাঃ কে আল্লাহ তা'আলা ৪ টি বিশেষ দায়িত্ব দিয়ে প্রেরণ করেছেন।এ সম্পর্কে আল্লাহ বলেন,
هُوَ الَّذِي بَعَثَ فِي الْأُمِّيِّينَ رَسُولًا مِّنْهُمْ يَتْلُو عَلَيْهِمْ آيَاتِهِ وَيُزَكِّيهِمْ وَيُعَلِّمُهُمُ الْكِتَابَ وَالْحِكْمَةَ وَإِن كَانُوا مِن قَبْلُ لَفِي ضَلَالٍ مُّبِينٍ
তিনিই নিরক্ষরদের মধ্য থেকে একজন রসূল প্রেরণ করেছেন, যিনি তাদের কাছে পাঠ করেন তার আয়াতসমূহ, তাদেরকে পবিত্র করেন এবং শিক্ষা দেন কিতাব ও হিকমত। ইতিপূর্বে তারা ছিল ঘোর পথভ্রষ্টতায় লিপ্ত।(সূরা-জুমুআহ-২)

রাসূলুল্লাহ সাঃ এর ৪ টি দায়িত্বের একটি দায়িত্ব হল,আত্মসুদ্ধি। এই আত্মসুদ্ধির অপর নাম তাসাউফ।তাসাউফ সম্পর্কে জানতে ভিজিট করুন- https://www.ifatwa.info/1037

সুপ্রিয় প্রশ্নকারী দ্বীনি ভাই/বোন!
আপনার অন্তরের চিকিৎসার প্রয়োজনিয়তা রয়েছে, কাজেই আপনি নেককার লোকের সংস্পর্শ গ্রহণ করবেন।আপনার আশপাশের নেককার লোকের সাথে কিছুদিন উঠাবসা করেন।সম্ভব হলে তাবলীগে সময় লাগান, মহল্লার মসজিদের ইমাম সাহেবের সাথে সুসম্পর্ক গড়ে তুলুন।আল্লাহ আপনাকে তাওফিক দান করুক, আমীন।


(আল্লাহ-ই ভালো জানেন)

--------------------------------
মুফতী ইমদাদুল হক
ইফতা বিভাগ
Islamic Online Madrasah(IOM)

by
১.আমি একজন মেয়ে এবং আশেপাশে নেককার সহবত না পেলে কি করণীয়?? 
২.এসব মনোভাবের কারণে কি আমার ঈমান ভঙ্গ হবে?
৩.এসব মনোভাবকে পাত্তা না দিয়ে সীরাহ,সাহাবীদের জীবনী এসব পড়লে কি সমস্যা হবে?
by (597,330 points)
এসব মনোভাবকে পাত্তা না দিয়ে সীরাহ,সাহাবীদের জীবনী এসব পড়লেও হবে। তারপরও নেককার নারীদের সাথে যোগাযোগ রাখার চেষ্টা করবেন। IOM এ ভর্তি হয়ে যাবেন, এখানে অনেক দ্বীনের প্যাক্টিসিন নারীদের সন্ধান পেয়ে যাবেন। 

আই ফতোয়া  ওয়েবসাইট বাংলাদেশের অন্যতম একটি নির্ভরযোগ্য ফতোয়া বিষয়ক সাইট। যেটি IOM এর ইফতা বিভাগ দ্বারা পরিচালিত।  যেকোন প্রশ্ন করার আগে আপনার প্রশ্নটি সার্চ বক্সে লিখে সার্চ করে দেখুন। উত্তর না পেলে প্রশ্ন করতে পারেন। আপনি প্রতিমাসে সর্বোচ্চ ৪ টি প্রশ্ন করতে পারবেন। এই প্রশ্ন ও উত্তরগুলো আমাদের ফেসবুকেও শেয়ার করা হবে। তাই প্রশ্ন করার সময় সুন্দর ও সাবলীল ভাষা ব্যবহার করুন।

বি.দ্র: প্রশ্ন করা ও ইলম অর্জনের সবচেয়ে ভালো মাধ্যম হলো সরাসরি মুফতি সাহেবের কাছে গিয়ে প্রশ্ন করা যেখানে প্রশ্নকারীর প্রশ্ন বিস্তারিত জানার ও বোঝার সুযোগ থাকে। যাদের এই ধরণের সুযোগ কম তাদের জন্য এই সাইট। প্রশ্নকারীর প্রশ্নের অস্পষ্টতার কারনে ও কিছু বিষয়ে কোরআন ও হাদীসের একাধিক বর্ণনার কারনে অনেক সময় কিছু উত্তরে ভিন্নতা আসতে পারে। তাই কোনো বড় সিদ্ধান্ত এই সাইটের উপর ভিত্তি করে না নিয়ে বরং সরাসরি স্থানীয় মুফতি সাহেবদের সাথে যোগাযোগ করতে হবে।

Related questions

...