বিসমিল্লাহির রাহমানির রাহিম।
জবাবঃ-
স্বামী যদি তার স্ত্রীকে রাগ করে বলে, 'বেয়াদব মেয়ে' এবং প্রতিউত্তরে স্ত্রী বলে, 'বলেন ভাই'
তাহলে তাদের বিয়েতে কোনো প্রভাব পড়বে না।এবং তাদের কোনো প্রকার গোনাহও হবে না।যদিও তাদের সাংসারিক জীবন আরও মধুময় হওয়া উচিৎ ছিলো।ভবিষ্যতে মধুময় সংসারের জন্য প্রস্তুতি নিতে হবে।
আল্লাহ তা'আলা বলেন,
الَّذِينَ يُظَاهِرُونَ مِنكُم مِّن نِّسَائِهِم مَّا هُنَّ أُمَّهَاتِهِمْ إِنْ أُمَّهَاتُهُمْ إِلَّا اللَّائِي وَلَدْنَهُمْ وَإِنَّهُمْ لَيَقُولُونَ مُنكَرًا مِّنَ الْقَوْلِ وَزُورًا وَإِنَّ اللَّهَ لَعَفُوٌّ غَفُورٌ
তোমাদের মধ্যে যারা তাদের স্ত্রীগণকে মাতা বলে ফেলে, তাদের স্ত্রীগণ তাদের মাতা নয়। তাদের মাতা কেবল তারাই, যারা তাদেরকে জন্মদান করেছে। তারা তো অসমীচীন ও ভিত্তিহীন কথাই বলে। নিশ্চয় আল্লাহ মার্জনাকারী, ক্ষমাশীল।
وَالَّذِينَ يُظَاهِرُونَ مِن نِّسَائِهِمْ ثُمَّ يَعُودُونَ لِمَا قَالُوا فَتَحْرِيرُ رَقَبَةٍ مِّن قَبْلِ أَن يَتَمَاسَّا ذَلِكُمْ تُوعَظُونَ بِهِ وَاللَّهُ بِمَا تَعْمَلُونَ خَبِيرٌ
যারা তাদের স্ত্রীগণকে মাতা বলে ফেলে, অতঃপর নিজেদের উক্তি প্রত্যাহার করে, তাদের কাফফারা এই একে অপরকে স্পর্শ করার পূর্বে একটি দাসকে মুক্তি দিবে। এটা তোমাদের জন্যে উপদেশ হবে। আল্লাহ খবর রাখেন তোমরা যা কর।
فَمَن لَّمْ يَجِدْ فَصِيَامُ شَهْرَيْنِ مُتَتَابِعَيْنِ مِن قَبْلِ أَن يَتَمَاسَّا فَمَن لَّمْ يَسْتَطِعْ فَإِطْعَامُ سِتِّينَ مِسْكِينًا ذَلِكَ لِتُؤْمِنُوا بِاللَّهِ وَرَسُولِهِ وَتِلْكَ حُدُودُ اللَّهِ وَلِلْكَافِرِينَ عَذَابٌ أَلِيمٌ
যার এ সামর্থ্য নেই, সে একে অপরকে স্পর্শ করার পূর্বে একাদিক্রমে দুই মাস রোযা রাখবে। যে এতেও অক্ষম হয় সে ষাট জন মিসকীনকে আহার করাবে। এটা এজন্যে, যাতে তোমরা আল্লাহ ও তাঁর রসূলের প্রতি বিশ্বাস স্থাপন কর। এগুলো আল্লাহর নির্ধারিত শাস্তি। আর কাফেরদের জন্যে রয়েছে যন্ত্রণা দায়ক আযাব।(সূরা মুজাদালাহ-২-৪)
যিহার হল,স্বামী কর্তৃক স্ত্রীকে নিজ মাহারাম মহিলা বা তার অঙ্গের সাথে তুলনা করা।
আবার স্ত্রী এমনটা বললে যিহার হবে না।যেমনঃ
(ﻭَﻇِﻬَﺎﺭُﻫَﺎ ﻣِﻨْﻪُ ﻟَﻐْﻮٌ) ﻓَﻼَ ﺣُﺮْﻣَﺔَ ﻋَﻠَﻴْﻬَﺎ ﻭَﻻَ ﻛَﻔَّﺎﺭَﺓَ ﻭَﺑِﻪِ ﻳُﻔْﺘَﻰ ﺟَﻮْﻫَﺮَﺓٌ ﻭَﺭَﺟَّﺢَ اﺑْﻦُ اﻟﺸِّﺤْﻨَﺔِ ﺇﻳﺠَﺎﺏَ ﻛَﻔَّﺎﺭَﺓِ ﻳَﻤِﻴﻦٍ.
মহিলা কর্তৃক যিহার তথা স্বামীকে নিজ পিতা ইত্যাদির সাথে তুলনা করলে কোনোপ্রকার হুরমত প্রমাণিত হবে না।এবং কাফফরা ও আসবে না।এটাই গ্রহণযোগ্য মতামত।তবে ইবনুশ শিহনাহ রাহ শপথ ভঙ্গের কাফফরা অনাদায়ের কথা বলেছেন।
(আদ্দুর্রুল মুখতার-৩/৪৬৭,ফাতাওয়ায়ে মাহমুদিয়্যা-১৩/৩৩০)
সুতরাং
স্বামী স্ত্রী পরস্পর পরস্পরকে ভাই বোন ডাকলে যিহার হবে না।এবং পরস্পর পরস্পরের জন্য হারামও হবে না।তবে এমনটা মাকরুহ হবে।
ويكره قوله أنت أمي ويا ابنتي ويا أختي ونحوه
(রদ্দুল মুহতার-৩/৪৭০)
সু-প্রিয় প্রশ্নকারী দ্বীনী বোন!
মহিলা কর্তৃক যিহার হয় না।যিহার শুধুমাত্র পুরুষ কর্তৃক হয়ে থাকে।বিস্তারিত জানতে ভিজিট করুন-